আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) ও ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ) যৌথভাবে আয়োজিত ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাক্সক্ষা ও নির্বাচনী ঐক্য: ক্ষমতা না জনতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, আগামী নির্বাচন কেবল ক্ষমতা বদলের জন্য নয়, জুলাইয়ের আকাক্সক্ষা বাস্তবায়নের জন্য হতে হবে। তারা বলেন, নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলো জোট ও আসন ভাগাভাগিতে ব্যস্ত, তাদের ভাবনায় জুলাইয়ের আকাক্সক্ষা স্থান পায়নি।
বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫সকালে পুরানা পল্টনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ুম বলেন, দেশে যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে, সেটি ব্যতিক্রমী নির্বাচন। এই নির্বাচন কেবল ক্ষমতায় যাওয়ার নির্বাচন নয়। নির্বাচনের দুটি বিষয়বস্তু সরকার গঠন করা এবং সংবিধান সংশোধনের ক্ষমতা।
হাসনাত কাইয়ুম বলেন, অভ্যুত্থান শেষ হয়ে যায়নি। অভ্যুত্থান শেষ হয় না। অভ্যুত্থান যে কারণে হয়েছে, সেই কারণ সমাধান না হওয়া পর্যন্ত লড়াই শেষ হয় না। অভ্যুত্থান নির্বাচনের ভেতর দিয়ে যেতে পারে, রাজপথের ভেতর দিয়ে যেতে পারে, অন্য কিছু হতে পারে। কিন্তু যে জন্য মানুষ জীবন দিয়েছে, সেই অধিকার আদায় না করে লড়াই শেষ হবে না।
আন্দোলনের শরিকদের মনে রাখতে হবে বলেন হাসনাত কাইয়ুম। তিনি বলেন, মনে রাখলে আন্দোলনে হতাশা তৈরি করা কঠিন হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আনাসের শেষ চিঠি পড়ে বক্তব্য শুরু করেন তিনি। তিনি বলেন, শুধু ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য আনাস জীবন দেয়নি। আনাসের কাছে জীবন দেয়ার অর্থ ছিল ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আদর্শ রাষ্ট্র গঠন করা। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। মাত্র ১৪ মাসে সেই জায়গা থেকে অনেক দূরে সরে আসা হয়েছে।
মাহমুদুর রহমান আরও বলেন, দলগুলো যে কোনো মূল্যে ভোটে জিততে চায়। প্রধান তিনটি দল কয়দিন ধরে বৈঠক করছে। যার উদ্দেশ্য নির্বাচনের সময় যেন তাদের পছন্দের প্রশাসন থাকে। ডিসি, এসপি, কমিশনার কে থাকবে, এটা হলো- আলোচনার প্রধান বিষয়বস্তু। এমন গণতন্ত্রের চর্চা থেকে বের হয়ে আসতে হলে জুলাই বিপ্লবকে অব্যাহত রাখতে হবে।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু। তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানে বিজয়ী হলেও এর আকাক্সক্ষা বাস্তবায়িত হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। অভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে বিভেদ শুরু করেছে। ছাত্রদের অবজ্ঞা করে কথা বলা শুরু করেছে। ছাত্রনেতৃত্বের কেউ কেউ কেউ এমন কথা বলেছেন, যা প্রাজ্ঞ মহলদের ব্যথিত করেছে। গণঅভ্যুত্থানের নায়কদের গ্রহণযোগ্যতা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে।
সভায় আরও বক্তব্য দেন- এবি পার্টির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মেজর আবদুল ওহাব মিনার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসরিন সুলতানা মিলি, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ওয়ারেসুল করিম, আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জোনায়েদ প্রমুখ।
বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) ও ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ) যৌথভাবে আয়োজিত ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাক্সক্ষা ও নির্বাচনী ঐক্য: ক্ষমতা না জনতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, আগামী নির্বাচন কেবল ক্ষমতা বদলের জন্য নয়, জুলাইয়ের আকাক্সক্ষা বাস্তবায়নের জন্য হতে হবে। তারা বলেন, নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলো জোট ও আসন ভাগাভাগিতে ব্যস্ত, তাদের ভাবনায় জুলাইয়ের আকাক্সক্ষা স্থান পায়নি।
বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫সকালে পুরানা পল্টনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ুম বলেন, দেশে যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে, সেটি ব্যতিক্রমী নির্বাচন। এই নির্বাচন কেবল ক্ষমতায় যাওয়ার নির্বাচন নয়। নির্বাচনের দুটি বিষয়বস্তু সরকার গঠন করা এবং সংবিধান সংশোধনের ক্ষমতা।
হাসনাত কাইয়ুম বলেন, অভ্যুত্থান শেষ হয়ে যায়নি। অভ্যুত্থান শেষ হয় না। অভ্যুত্থান যে কারণে হয়েছে, সেই কারণ সমাধান না হওয়া পর্যন্ত লড়াই শেষ হয় না। অভ্যুত্থান নির্বাচনের ভেতর দিয়ে যেতে পারে, রাজপথের ভেতর দিয়ে যেতে পারে, অন্য কিছু হতে পারে। কিন্তু যে জন্য মানুষ জীবন দিয়েছে, সেই অধিকার আদায় না করে লড়াই শেষ হবে না।
আন্দোলনের শরিকদের মনে রাখতে হবে বলেন হাসনাত কাইয়ুম। তিনি বলেন, মনে রাখলে আন্দোলনে হতাশা তৈরি করা কঠিন হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আনাসের শেষ চিঠি পড়ে বক্তব্য শুরু করেন তিনি। তিনি বলেন, শুধু ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য আনাস জীবন দেয়নি। আনাসের কাছে জীবন দেয়ার অর্থ ছিল ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আদর্শ রাষ্ট্র গঠন করা। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। মাত্র ১৪ মাসে সেই জায়গা থেকে অনেক দূরে সরে আসা হয়েছে।
মাহমুদুর রহমান আরও বলেন, দলগুলো যে কোনো মূল্যে ভোটে জিততে চায়। প্রধান তিনটি দল কয়দিন ধরে বৈঠক করছে। যার উদ্দেশ্য নির্বাচনের সময় যেন তাদের পছন্দের প্রশাসন থাকে। ডিসি, এসপি, কমিশনার কে থাকবে, এটা হলো- আলোচনার প্রধান বিষয়বস্তু। এমন গণতন্ত্রের চর্চা থেকে বের হয়ে আসতে হলে জুলাই বিপ্লবকে অব্যাহত রাখতে হবে।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু। তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানে বিজয়ী হলেও এর আকাক্সক্ষা বাস্তবায়িত হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। অভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে বিভেদ শুরু করেছে। ছাত্রদের অবজ্ঞা করে কথা বলা শুরু করেছে। ছাত্রনেতৃত্বের কেউ কেউ কেউ এমন কথা বলেছেন, যা প্রাজ্ঞ মহলদের ব্যথিত করেছে। গণঅভ্যুত্থানের নায়কদের গ্রহণযোগ্যতা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে।
সভায় আরও বক্তব্য দেন- এবি পার্টির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মেজর আবদুল ওহাব মিনার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসরিন সুলতানা মিলি, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ওয়ারেসুল করিম, আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জোনায়েদ প্রমুখ।