ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
জাতীয় পার্টি যদি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ পায়, তা প্রকারান্তে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেয়া হলো বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। রোববার, (২৬ অক্টোবর ২০২৫) দুপুরে ঢাকার কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে গণঅধিকার পরিষদের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বক্তব্যে আখতার হোসেন এসব কথা বলেন।
তার ভাষায়, ‘আওয়ামী লীগ দলটির আওয়ামী লীগ হয়ে ওঠার পেছনে সবচেয়ে বেশি দায়ী জাতীয় পার্টি। এই জাতীয় পার্টি আসলে জাতীয় পার্টি নয়, জাতীয় পার্টি মানেই আওয়ামী লীগ।’ এনসিপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগকে নির্বাচনের বাইরে রাখলেও জাতীয় পার্টির সুযোগ পাওয়ার অর্থ হলো, আওয়ামী লীগই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলো।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না, সেটি সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে। আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে নিয়ে আসার জন্য যারা বক্তব্য দিচ্ছেন, দেশবিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন, তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।’
বাংলাদেশের প্রতিটি দল জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি চায় দাবি করে আখতার হোসেন বলেন, ‘বাধা কোথায়, সেটি খুঁজে বের করতে হবে। যদি কারও দলীয় স্বার্থের কারণে সনদ বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হয়, সেই দলের সঙ্গে কথা বলে তাদের দলীয় স্বার্থ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাতে হবে। বাংলাদেশের প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোকে এক হতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেয়ার বিষয়েও এক হয়েছে দলগুলো। তারপরও এখান থেকে কিছু অর্জন করা যায়নি। দেশকে এ সংকট থেকে উত্তরণ করতে হলে জুলাই সনদের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হকের সভাপতিত্বে এবং মুখপাত্র ফারুক হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব জালালুদ্দীন আহমদ, খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান হামিদী, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ্ কায়সার, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য আকবর খান, এনডিপির চেয়ারম্যান আবু তাহের প্রমুখ।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রোববার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
জাতীয় পার্টি যদি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ পায়, তা প্রকারান্তে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেয়া হলো বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। রোববার, (২৬ অক্টোবর ২০২৫) দুপুরে ঢাকার কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে গণঅধিকার পরিষদের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বক্তব্যে আখতার হোসেন এসব কথা বলেন।
তার ভাষায়, ‘আওয়ামী লীগ দলটির আওয়ামী লীগ হয়ে ওঠার পেছনে সবচেয়ে বেশি দায়ী জাতীয় পার্টি। এই জাতীয় পার্টি আসলে জাতীয় পার্টি নয়, জাতীয় পার্টি মানেই আওয়ামী লীগ।’ এনসিপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগকে নির্বাচনের বাইরে রাখলেও জাতীয় পার্টির সুযোগ পাওয়ার অর্থ হলো, আওয়ামী লীগই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলো।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না, সেটি সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে। আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে নিয়ে আসার জন্য যারা বক্তব্য দিচ্ছেন, দেশবিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন, তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।’
বাংলাদেশের প্রতিটি দল জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি চায় দাবি করে আখতার হোসেন বলেন, ‘বাধা কোথায়, সেটি খুঁজে বের করতে হবে। যদি কারও দলীয় স্বার্থের কারণে সনদ বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হয়, সেই দলের সঙ্গে কথা বলে তাদের দলীয় স্বার্থ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাতে হবে। বাংলাদেশের প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোকে এক হতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেয়ার বিষয়েও এক হয়েছে দলগুলো। তারপরও এখান থেকে কিছু অর্জন করা যায়নি। দেশকে এ সংকট থেকে উত্তরণ করতে হলে জুলাই সনদের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হকের সভাপতিত্বে এবং মুখপাত্র ফারুক হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব জালালুদ্দীন আহমদ, খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান হামিদী, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ্ কায়সার, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য আকবর খান, এনডিপির চেয়ারম্যান আবু তাহের প্রমুখ।