নির্বাচনের আগে বিভিন্ন পরাশক্তি ও নানা এজেন্সি সক্রিয় হয়ে উঠবে: গোলাম পরওয়ার
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
গণঅধিকার পরিষদের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমদ জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আবেগের চেয়ে বাস্তবতাকে প্রাধান্য দেয়ার পক্ষে মত জানিয়ে বলেছেন, এমন কোনো পদ্ধতির মধ্যে যেন না যাওয়া হয়, যা নিয়ে ভবিষ্যতে প্রশ্ন উঠতে পারে।
অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পর?ওয়ার জাতীয় নির্বাচনের আগে বিভিন্ন পরাশক্তি ও নানা এজেন্সি সক্রিয় হয়ে উঠবে বলে রাজনৈতিক দলগুলোকে সতর্ক করে বলেছেন, এজন্য সব দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
রোববার, (২৬ অক্টোবর ২০২৫) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে গণঅধিকার পরিষদের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এ অনুষ্ঠান হয়। গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হকের সভাপতিত্বে এবং মুখপাত্র ফারুক হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব জালালুদ্দীন আহমদ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান, খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান হামিদী, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ্ কায়সার, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য আকবর খান, এনডিপির চেয়ারম্যান আবু তাহের বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘জনগণের কনস্টিটিউয়েন্ট পাওয়ার (সাংবিধানিক ক্ষমতা) গণভোটের মাধ্যমে প্রকাশিত হবে বলেই সংসদের বাইরে যেতে পারবে না। এখন যদি আবেগপ্রবণ হয়ে রাজনৈতিকভাবে গণভোট করার জন্য বাক্য ব্যয় করা হয়, বিভিন্ন আদেশ কার্যকর করা হয়, তাহলে এগুলো নিয়ে সামনে প্রশ্ন উঠতে পারে। সেটা না করে সবার ঐক্যের ভিত্তিতে যাতে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন করা হয়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।’
এনসিপিসহ কয়েকটি দলের সনদে সই না করার বিষয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, তাদের কিছু দাবিদাওয়া আছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। আশা করা যায়, সুষ্ঠু একটা সমাধান হবে। তারপর তারাও সই করতে পারবে। তাহলে জুলাই সনদ হবে রাজনীতিতে সমঝোতার একটি ঐতিহাসিক দলিল, যা বাস্তবায়নের জন্য রাজনৈতিক দলগুলো অঙ্গীকারবদ্ধ।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য নির্বাচিত জাতীয় সংসদই সুনির্দিষ্ট ফোরাম- এ মন্তব্য করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘এখানে কোনো দলের বিশেষ দ্বিমত নেই। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য জাতীয় সংসদ যাতে বাধ্য থাকে, সেটার একটি আইনি ভিত্তি রচনার জন্য একটা প্রস্তাব বা সুপারিশ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে দেয়া হবে। এরপর কী প্রক্রিয়ায় আইনি ভিত্তি দিতে চাচ্ছে, সেটি জানা যাবে। নোট অব ডিসেন্টসহ যেভাবে জুলাই জাতীয় সনদ সই হয়েছে, হুবহু সেই সনদ বাস্তবায়নের জন্য জনগণের সম্মতির ভিত্তিতে যখন একটি বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি করা হবে, তখন সেখান থেকে জাতীয় সংসদ বা কোনো সংসদ সদস্য সরতে পারবে না।’
আবেগের চেয়ে বাস্তবতাকে প্রাধান্য দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘অনেকে আবেগের বশে বলে থাকেন, জুলাই অভ্যুত্থানে জনগণের যে অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে, সে অভিপ্রায়ের শক্তিবলে অনেক বৈপ্লবিক আদেশ জারি করা যায়। এগুলো আবেগী বক্তব্য। কারণ, জনগণের অভিপ্রায় বাস্তবায়নের জন্যই সংবিধানের আশ্রয় নেয়া হয়েছে। সাংবিধানিকভাবেই এই সরকার গঠিত হয়েছে। এখনও সাংবিধানিকভাবে এই রাষ্ট্র পরিচালিত হচ্ছে।’
এনসিপির উদ্দেশ্যে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘বাস্তবতার ভিত্তিতে কথা বলতে হবে। এমন কোনো প্রস্তাব দেয়া যাবে না, যেগুলো প্রশ্নবিদ্ধ হবে। এমন কোনো আদেশ দেয়া যাবে না, যেগুলো প্রশ্নবিদ্ধ হবে। পুরো প্রক্রিয়াকে যাতে কেউ কখনো অবৈধ বলে আওয়াজ দিতে না পারে। ১০-১৫ বছর পরও যাতে কেউ এই প্রশ্ন নিয়ে আদালতে যেতে না পারে। সে রকম একটা ভিত্তি এখনই রচনা করতে হবে। অতি সাবধানে অর্জিত সাফল্যকে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’
নির্বাচন ঘিরে সক্রিয় হবে অনেক পরাশক্তি, নানা এজেন্সি
অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করে গোলাম পরওয়ার বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে দেশের ভেতরে অনেক পরাশক্তি এবং নানা এজেন্সি (সংস্থা) সক্রিয় হবে। ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ, একটি মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে অনেক বাধা আসবে। সে জন্য রাজনৈতিক মত-পথের ভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও দেশ গঠনের মূল ইস্যুতে দলগুলো যেন ঐক্য ধরে রাখতে পারে।
আশঙ্কা থাকলেও তা না ঘটার আশা প্রকাশ করে গোলাম পর?ওয়ার বলেন, জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে প্রকৃত মতামতের প্রতিফলনের মধ্য দিয়ে যেন সরকার গঠিত হয়, সে বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনো ভিন্নমত নেই। অনেক জাতীয় ইস্যুতে দলগুলোর মধ্যে যেহেতু ঐকমত্য আছে, দেশ গঠনে পরাশক্তি ও অভ্যন্তরীণ শক্তি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারবে না বলে আশা করা যায়।
অন্তর্বর্তী সরকার আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছে। সেই নির্বাচনের অভিযাত্রা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্যও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
নির্বাচনের আগে বিভিন্ন পরাশক্তি ও নানা এজেন্সি সক্রিয় হয়ে উঠবে: গোলাম পরওয়ার
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রোববার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
গণঅধিকার পরিষদের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমদ জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আবেগের চেয়ে বাস্তবতাকে প্রাধান্য দেয়ার পক্ষে মত জানিয়ে বলেছেন, এমন কোনো পদ্ধতির মধ্যে যেন না যাওয়া হয়, যা নিয়ে ভবিষ্যতে প্রশ্ন উঠতে পারে।
অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পর?ওয়ার জাতীয় নির্বাচনের আগে বিভিন্ন পরাশক্তি ও নানা এজেন্সি সক্রিয় হয়ে উঠবে বলে রাজনৈতিক দলগুলোকে সতর্ক করে বলেছেন, এজন্য সব দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
রোববার, (২৬ অক্টোবর ২০২৫) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে গণঅধিকার পরিষদের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এ অনুষ্ঠান হয়। গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হকের সভাপতিত্বে এবং মুখপাত্র ফারুক হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব জালালুদ্দীন আহমদ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান, খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান হামিদী, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ্ কায়সার, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য আকবর খান, এনডিপির চেয়ারম্যান আবু তাহের বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘জনগণের কনস্টিটিউয়েন্ট পাওয়ার (সাংবিধানিক ক্ষমতা) গণভোটের মাধ্যমে প্রকাশিত হবে বলেই সংসদের বাইরে যেতে পারবে না। এখন যদি আবেগপ্রবণ হয়ে রাজনৈতিকভাবে গণভোট করার জন্য বাক্য ব্যয় করা হয়, বিভিন্ন আদেশ কার্যকর করা হয়, তাহলে এগুলো নিয়ে সামনে প্রশ্ন উঠতে পারে। সেটা না করে সবার ঐক্যের ভিত্তিতে যাতে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন করা হয়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।’
এনসিপিসহ কয়েকটি দলের সনদে সই না করার বিষয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, তাদের কিছু দাবিদাওয়া আছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। আশা করা যায়, সুষ্ঠু একটা সমাধান হবে। তারপর তারাও সই করতে পারবে। তাহলে জুলাই সনদ হবে রাজনীতিতে সমঝোতার একটি ঐতিহাসিক দলিল, যা বাস্তবায়নের জন্য রাজনৈতিক দলগুলো অঙ্গীকারবদ্ধ।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য নির্বাচিত জাতীয় সংসদই সুনির্দিষ্ট ফোরাম- এ মন্তব্য করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘এখানে কোনো দলের বিশেষ দ্বিমত নেই। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য জাতীয় সংসদ যাতে বাধ্য থাকে, সেটার একটি আইনি ভিত্তি রচনার জন্য একটা প্রস্তাব বা সুপারিশ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে দেয়া হবে। এরপর কী প্রক্রিয়ায় আইনি ভিত্তি দিতে চাচ্ছে, সেটি জানা যাবে। নোট অব ডিসেন্টসহ যেভাবে জুলাই জাতীয় সনদ সই হয়েছে, হুবহু সেই সনদ বাস্তবায়নের জন্য জনগণের সম্মতির ভিত্তিতে যখন একটি বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি করা হবে, তখন সেখান থেকে জাতীয় সংসদ বা কোনো সংসদ সদস্য সরতে পারবে না।’
আবেগের চেয়ে বাস্তবতাকে প্রাধান্য দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘অনেকে আবেগের বশে বলে থাকেন, জুলাই অভ্যুত্থানে জনগণের যে অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়েছে, সে অভিপ্রায়ের শক্তিবলে অনেক বৈপ্লবিক আদেশ জারি করা যায়। এগুলো আবেগী বক্তব্য। কারণ, জনগণের অভিপ্রায় বাস্তবায়নের জন্যই সংবিধানের আশ্রয় নেয়া হয়েছে। সাংবিধানিকভাবেই এই সরকার গঠিত হয়েছে। এখনও সাংবিধানিকভাবে এই রাষ্ট্র পরিচালিত হচ্ছে।’
এনসিপির উদ্দেশ্যে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘বাস্তবতার ভিত্তিতে কথা বলতে হবে। এমন কোনো প্রস্তাব দেয়া যাবে না, যেগুলো প্রশ্নবিদ্ধ হবে। এমন কোনো আদেশ দেয়া যাবে না, যেগুলো প্রশ্নবিদ্ধ হবে। পুরো প্রক্রিয়াকে যাতে কেউ কখনো অবৈধ বলে আওয়াজ দিতে না পারে। ১০-১৫ বছর পরও যাতে কেউ এই প্রশ্ন নিয়ে আদালতে যেতে না পারে। সে রকম একটা ভিত্তি এখনই রচনা করতে হবে। অতি সাবধানে অর্জিত সাফল্যকে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’
নির্বাচন ঘিরে সক্রিয় হবে অনেক পরাশক্তি, নানা এজেন্সি
অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করে গোলাম পরওয়ার বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে দেশের ভেতরে অনেক পরাশক্তি এবং নানা এজেন্সি (সংস্থা) সক্রিয় হবে। ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ, একটি মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে অনেক বাধা আসবে। সে জন্য রাজনৈতিক মত-পথের ভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও দেশ গঠনের মূল ইস্যুতে দলগুলো যেন ঐক্য ধরে রাখতে পারে।
আশঙ্কা থাকলেও তা না ঘটার আশা প্রকাশ করে গোলাম পর?ওয়ার বলেন, জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে প্রকৃত মতামতের প্রতিফলনের মধ্য দিয়ে যেন সরকার গঠিত হয়, সে বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনো ভিন্নমত নেই। অনেক জাতীয় ইস্যুতে দলগুলোর মধ্যে যেহেতু ঐকমত্য আছে, দেশ গঠনে পরাশক্তি ও অভ্যন্তরীণ শক্তি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারবে না বলে আশা করা যায়।
অন্তর্বর্তী সরকার আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছে। সেই নির্বাচনের অভিযাত্রা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্যও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল।