ব্যাটারি রিকশা শ্রমিকদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে মধ্যরাতে তুলে নিয়ে সিপিবি নেতা আনোয়ার হোসেন সুমনকে দ্রুত বিচার আইনে এবং বাসদ-এর ২২ নেতাকর্মীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রোববার, (০২ নভেম্বর ২০২৫) সন্ধ্যায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এ তথ্য জানান। গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
ব্যাটারি রিকশা শ্রমিকদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে মধ্যরাতে তুলে নিয়ে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতা আনোয়ার হোসেন সুমনকে দ্রুত বিচার আইনে এবং বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)-এর সিলেট কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে ২২ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। পরে তাদেরকে বিভিন্ন ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, সিপিবি নেতা আনোয়ার হোসেন সুমনকে পূর্বে সিলেট সিটি কর্পোরেশনে সংঘটিত একটি ঘটনায় তাকে দ্রুত বিচার আইনে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বাসদ নেতাদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে তিনি বলেন, তাদেরকে মেট্টো অ্যাক্টসহ বিভিন্ন ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তিনি বলেন, কারো নামে পূর্বে মামলাও ছিল এমনকি কাউকে শোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে।
রোববার, সকালে নগরের আম্বরখানায় বাসদের কার্যালয় থেকে ২২ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের পর বাসদ নেতারা বলছেন, পাঠচক্র চলাকালে বাসদ কার্যালয় ঘেরাও করে তাদের আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম জানা যায়নি।
এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ঐদিন বলেছিলেন, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ব্যাটারি রিকশা শ্রমিকরা নগরে কর্মসূচি করতে চেয়েছিল। এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা সন্দেহে কয়েকজনকে আটক করা হয়। যাচাই-বাছাই শেষে অভিযোগের সত্যতা পেলে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে। তবে রোববার, তার বক্তব্যে এর মিল পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ যাচাই-বাছাই শেষে সবাইকে ‘অপরাধী’ মনে করে বিভিন্ন মামলায় বা ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বাসদের সিলেট জেলা সভাপতি আবু জাফর গতকাল শনিবার বলেন, ‘ব্যাটারিরিকশার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়াসহ বিভিন্ন দাবিতে নগরের চৌহাট্টা থেকে আমাদের পূর্বঘোষিত ‘ভুখা মিছিল’ কর্মসূচি ছিলো। কিন্তু গত শুক্রবার রাতে পুলিশ এ কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এরপর আমরা কর্মসূচি স্থগিত করি। কিন্তু রাতে সকল শ্রমিককে বিষয়টি অবহিত করতে পারিনি। তাই আজ সকালে শহীদ মিনার এলাকায় কয়েকজন জড়ো হন।’
তিনি বলেন, ‘কার্যালয়ে আমাদের নিয়মিত পাঠচক্র চলছিল। সেখানে আচমকা অভিযান চালিয়ে পুরো অফিস ঘেরাও করের ২২ নেতাকর্মীকে ধরে নিয়ে আসে পুলিশ।’
এর আগে একই ইস্যুতে গত শুক্রবার মধ্যরাতে নগরের আখালিয়া কালীবাড়ি এলাকার বাসা থেকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সিলেটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সুমন আটক করে পুলিশ।
গত মঙ্গলবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নগরের চৌহাট্টা-জিন্দাবাজার সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালকেরা। এতে আনোয়ার হোসেন সুমনসহ কয়েকজন রাজনীতিক অংশ নেন। ওইদিন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচলের ওপর
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ ১১ দফা দাবি জনিয়ে রোববার, পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে আন্দোলন স্থগিত করেন শ্রমিকেরা। ওই আলটিমেটাম শেষ হওয়ার এক দিন আগে সিপিবির সুমন ও বাসদের ২২ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।
গত সেপ্টেম্বরের শেষ দিক থেকে সিলেট মহানগরীতে ব্যাটারি চালিত রিকশা চলাচল বন্ধে অভিযান শুরু করে পুলিশ। এই অভিযানে অনেক রিকশা জব্দ ও একাধিক চার্জিং পয়েন্টের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এরপর থেকে নগরে ব্যাটারি রিকশা চলতে দেয়া হচ্ছে না।
সিলেটে সিপিবি-বাসদের ২৩ নেতাকর্মী গ্রেপ্তারে বাম জোটের নিন্দা
সিলেটে ব্লক রেইড দিয়ে বাসদ অফিস থেকে ২২ জন কর্মীকে এবং সিপিবি নেতা আনোয়ার হোসেন সুমনসহ ১৫ জনকে গ্রেপ্তারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট সিলেট জেলা।
রোববার, এক বিবৃতিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট সিলেট এবং বাসদ (মার্কসবাদী) সিলেট জেলার সমন্বয়ক সঞ্জয় কান্ত দাস, সিপিবি সিলেট জেলার সভাপতি সৈয়দ ফরহাদ হোসেন, বাসদ সিলেট জেলার আহ্বায়ক আবু জাফর এবং বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ সিলেট জেলার সম্পাদক সিরাজ আহমেদ এই নিন্দা জানান।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অফিসে পুলিশী অভিযান ও মিথ্যা হয়রানি মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের এবং শ্রমজীবী মানুষের উপর নির্যাতন নিপীড়ন চালানো হতো। কিন্তু গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও রাজনৈতিক দলের অফিসে পুলিশি হামলা, মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার নির্যাতন দেশবাসী প্রত্যাশা করে নাই।
তারা আরো বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে একদিকে নতুন কর্মসংস্থান নাই, শত শত কারখানা বন্ধ হয়ে শ্রমিক বেকার হচ্ছে। স্ব-কর্মসংস্থানে যেসব মানুষ রিকশা, হকারি করে জীবিকা নির্বাহ করছে, সেই রিকশা উচ্ছেদ করে শ্রমজীবী মানুষদের জীবিকার পথ বন্ধ করে তাদের পরিবার-পরিজনসহ অনিশ্চয়তায় ঠেলে দিচ্ছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, গত কয়েকদিনে প্রায় ৩৮ জনকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার, গ্রেপ্তারের ২৪ ঘন্টা পার হলেও তাদের সম্পর্কে পুলিশ এখন কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারেনি। ভিন্নমত প্রকাশ এবং সভা সমাবেশে অংশ নেয়ার কারণে গ্রেপ্তার পুরনো ফ্যাসিবাদী শাসনকেই স্মরণ করিয়ে দেয়।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
রোববার, ০২ নভেম্বর ২০২৫
ব্যাটারি রিকশা শ্রমিকদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে মধ্যরাতে তুলে নিয়ে সিপিবি নেতা আনোয়ার হোসেন সুমনকে দ্রুত বিচার আইনে এবং বাসদ-এর ২২ নেতাকর্মীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রোববার, (০২ নভেম্বর ২০২৫) সন্ধ্যায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এ তথ্য জানান। গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
ব্যাটারি রিকশা শ্রমিকদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে মধ্যরাতে তুলে নিয়ে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতা আনোয়ার হোসেন সুমনকে দ্রুত বিচার আইনে এবং বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)-এর সিলেট কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে ২২ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। পরে তাদেরকে বিভিন্ন ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, সিপিবি নেতা আনোয়ার হোসেন সুমনকে পূর্বে সিলেট সিটি কর্পোরেশনে সংঘটিত একটি ঘটনায় তাকে দ্রুত বিচার আইনে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বাসদ নেতাদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে তিনি বলেন, তাদেরকে মেট্টো অ্যাক্টসহ বিভিন্ন ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তিনি বলেন, কারো নামে পূর্বে মামলাও ছিল এমনকি কাউকে শোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে।
রোববার, সকালে নগরের আম্বরখানায় বাসদের কার্যালয় থেকে ২২ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের পর বাসদ নেতারা বলছেন, পাঠচক্র চলাকালে বাসদ কার্যালয় ঘেরাও করে তাদের আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম জানা যায়নি।
এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ঐদিন বলেছিলেন, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ব্যাটারি রিকশা শ্রমিকরা নগরে কর্মসূচি করতে চেয়েছিল। এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা সন্দেহে কয়েকজনকে আটক করা হয়। যাচাই-বাছাই শেষে অভিযোগের সত্যতা পেলে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে। তবে রোববার, তার বক্তব্যে এর মিল পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ যাচাই-বাছাই শেষে সবাইকে ‘অপরাধী’ মনে করে বিভিন্ন মামলায় বা ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বাসদের সিলেট জেলা সভাপতি আবু জাফর গতকাল শনিবার বলেন, ‘ব্যাটারিরিকশার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়াসহ বিভিন্ন দাবিতে নগরের চৌহাট্টা থেকে আমাদের পূর্বঘোষিত ‘ভুখা মিছিল’ কর্মসূচি ছিলো। কিন্তু গত শুক্রবার রাতে পুলিশ এ কর্মসূচিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এরপর আমরা কর্মসূচি স্থগিত করি। কিন্তু রাতে সকল শ্রমিককে বিষয়টি অবহিত করতে পারিনি। তাই আজ সকালে শহীদ মিনার এলাকায় কয়েকজন জড়ো হন।’
তিনি বলেন, ‘কার্যালয়ে আমাদের নিয়মিত পাঠচক্র চলছিল। সেখানে আচমকা অভিযান চালিয়ে পুরো অফিস ঘেরাও করের ২২ নেতাকর্মীকে ধরে নিয়ে আসে পুলিশ।’
এর আগে একই ইস্যুতে গত শুক্রবার মধ্যরাতে নগরের আখালিয়া কালীবাড়ি এলাকার বাসা থেকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সিলেটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সুমন আটক করে পুলিশ।
গত মঙ্গলবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নগরের চৌহাট্টা-জিন্দাবাজার সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালকেরা। এতে আনোয়ার হোসেন সুমনসহ কয়েকজন রাজনীতিক অংশ নেন। ওইদিন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচলের ওপর
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ ১১ দফা দাবি জনিয়ে রোববার, পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে আন্দোলন স্থগিত করেন শ্রমিকেরা। ওই আলটিমেটাম শেষ হওয়ার এক দিন আগে সিপিবির সুমন ও বাসদের ২২ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।
গত সেপ্টেম্বরের শেষ দিক থেকে সিলেট মহানগরীতে ব্যাটারি চালিত রিকশা চলাচল বন্ধে অভিযান শুরু করে পুলিশ। এই অভিযানে অনেক রিকশা জব্দ ও একাধিক চার্জিং পয়েন্টের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এরপর থেকে নগরে ব্যাটারি রিকশা চলতে দেয়া হচ্ছে না।
সিলেটে সিপিবি-বাসদের ২৩ নেতাকর্মী গ্রেপ্তারে বাম জোটের নিন্দা
সিলেটে ব্লক রেইড দিয়ে বাসদ অফিস থেকে ২২ জন কর্মীকে এবং সিপিবি নেতা আনোয়ার হোসেন সুমনসহ ১৫ জনকে গ্রেপ্তারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট সিলেট জেলা।
রোববার, এক বিবৃতিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট সিলেট এবং বাসদ (মার্কসবাদী) সিলেট জেলার সমন্বয়ক সঞ্জয় কান্ত দাস, সিপিবি সিলেট জেলার সভাপতি সৈয়দ ফরহাদ হোসেন, বাসদ সিলেট জেলার আহ্বায়ক আবু জাফর এবং বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ সিলেট জেলার সম্পাদক সিরাজ আহমেদ এই নিন্দা জানান।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অফিসে পুলিশী অভিযান ও মিথ্যা হয়রানি মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের এবং শ্রমজীবী মানুষের উপর নির্যাতন নিপীড়ন চালানো হতো। কিন্তু গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও রাজনৈতিক দলের অফিসে পুলিশি হামলা, মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার নির্যাতন দেশবাসী প্রত্যাশা করে নাই।
তারা আরো বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে একদিকে নতুন কর্মসংস্থান নাই, শত শত কারখানা বন্ধ হয়ে শ্রমিক বেকার হচ্ছে। স্ব-কর্মসংস্থানে যেসব মানুষ রিকশা, হকারি করে জীবিকা নির্বাহ করছে, সেই রিকশা উচ্ছেদ করে শ্রমজীবী মানুষদের জীবিকার পথ বন্ধ করে তাদের পরিবার-পরিজনসহ অনিশ্চয়তায় ঠেলে দিচ্ছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, গত কয়েকদিনে প্রায় ৩৮ জনকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার, গ্রেপ্তারের ২৪ ঘন্টা পার হলেও তাদের সম্পর্কে পুলিশ এখন কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারেনি। ভিন্নমত প্রকাশ এবং সভা সমাবেশে অংশ নেয়ার কারণে গ্রেপ্তার পুরনো ফ্যাসিবাদী শাসনকেই স্মরণ করিয়ে দেয়।