রোববার নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির সংবাদ সম্মেলন -সংবাদ
বাংলাদেশে ‘নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা’ চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি শঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, দেশের শত্রুরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা প্রচার চালিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করছে।
রোববার,(০২ নভেম্বর ২০২৫) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে দল ও অঙ্গসংগঠনের যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভার পর সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দেশ এক অনিশ্চয়তা ও হতাশার মধ্যে আছে। প্রতিটি মানুষ এখন ভাবছে- কী হবে, দেশ কোন দিকে যাচ্ছে? আমরা দেখছি, বাংলাদেশের শত্রুরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। যত সময় যাচ্ছে, দেশে একটা এনার্কিক পরিস্থিতি, সম্পূর্ণ নৈরাজ্য সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে দেখা যাচ্ছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সেই প্রপাগান্ডা ও মিথ্যা তথ্য প্রচার করে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রক্রিয়া চলছে। এই প্রোপাগান্ডার মাধ্যমে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।”
৭ নভেম্বরকে ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন’ হিসেবে বর্ণনা
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন’। এই দিনটিকে তিনি জাতির ঐক্যের প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যেভাবে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সেই ঐক্যের ধারাবাহিকতা রক্ষা করেছেন। এখন তারই উত্তরসূরি তারেক রহমান লন্ডন থেকে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার কাজ করছেন, নতুন আশার সঞ্চার করছেন।’
তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে গৃহবন্দী অবস্থা থেকে মুক্ত করা হয়। দেশপ্রেমিক সৈনিক ও জনগণ তাকে মুক্ত করে নিয়ে আসে, যার মাধ্যমে শুরু হয় বাংলাদেশের নতুন সাফল্যের অধ্যায়।”
### ৭ নভেম্বরের দর্শন আজও প্রাসঙ্গিক
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘৭ নভেম্বরের দর্শন হচ্ছে জাতীয় ঐক্যের দর্শন, জাতীয়তাবাদের দর্শন। এই দর্শন কখনও পরাজিত হতে পারে না। বিএনপি বারবার ধ্বংসস্তূপ থেকে উঠে দাঁড়িয়েছে, কারণ আমরা সেই জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাস করি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এই দিনটিকে স্মরণ করি কারণ এটি শুধু ইতিহাসের একটি দিন নয়, এটি আমাদের রাজনৈতিক জীবনের প্রেরণার উৎস।’
জিয়ার শাসনামল ও ‘কর্মযজ্ঞে দেশ’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ এক নতুন কর্মযজ্ঞে নেমেছিল। তার সময় দেশে সর্বজনীন উদ্দীপনা তৈরি হয়েছিল। অর্থনীতি, প্রশাসন, শিক্ষা, কৃষি, শিল্প ও গণমাধ্যমসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল। নারীর ক্ষমতায়নেও তিনি ভূমিকা রাখেন।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘বাংলাদেশের শত্রুরা সেই সময়ও তাকে মেনে নিতে পারেনি, তাই নির্মমভাবে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউজে তাকে হত্যা করা হয়। সেই হত্যার মধ্য দিয়েই শুরু হয় একটি অন্ধকার অধ্যায়।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, আবদুস সালাম আজাদ, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
রোববার নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির সংবাদ সম্মেলন -সংবাদ
রোববার, ০২ নভেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশে ‘নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা’ চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি শঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, দেশের শত্রুরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা প্রচার চালিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করছে।
রোববার,(০২ নভেম্বর ২০২৫) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে দল ও অঙ্গসংগঠনের যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভার পর সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দেশ এক অনিশ্চয়তা ও হতাশার মধ্যে আছে। প্রতিটি মানুষ এখন ভাবছে- কী হবে, দেশ কোন দিকে যাচ্ছে? আমরা দেখছি, বাংলাদেশের শত্রুরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। যত সময় যাচ্ছে, দেশে একটা এনার্কিক পরিস্থিতি, সম্পূর্ণ নৈরাজ্য সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে দেখা যাচ্ছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সেই প্রপাগান্ডা ও মিথ্যা তথ্য প্রচার করে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রক্রিয়া চলছে। এই প্রোপাগান্ডার মাধ্যমে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।”
৭ নভেম্বরকে ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন’ হিসেবে বর্ণনা
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন’। এই দিনটিকে তিনি জাতির ঐক্যের প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যেভাবে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সেই ঐক্যের ধারাবাহিকতা রক্ষা করেছেন। এখন তারই উত্তরসূরি তারেক রহমান লন্ডন থেকে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার কাজ করছেন, নতুন আশার সঞ্চার করছেন।’
তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে গৃহবন্দী অবস্থা থেকে মুক্ত করা হয়। দেশপ্রেমিক সৈনিক ও জনগণ তাকে মুক্ত করে নিয়ে আসে, যার মাধ্যমে শুরু হয় বাংলাদেশের নতুন সাফল্যের অধ্যায়।”
### ৭ নভেম্বরের দর্শন আজও প্রাসঙ্গিক
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘৭ নভেম্বরের দর্শন হচ্ছে জাতীয় ঐক্যের দর্শন, জাতীয়তাবাদের দর্শন। এই দর্শন কখনও পরাজিত হতে পারে না। বিএনপি বারবার ধ্বংসস্তূপ থেকে উঠে দাঁড়িয়েছে, কারণ আমরা সেই জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাস করি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এই দিনটিকে স্মরণ করি কারণ এটি শুধু ইতিহাসের একটি দিন নয়, এটি আমাদের রাজনৈতিক জীবনের প্রেরণার উৎস।’
জিয়ার শাসনামল ও ‘কর্মযজ্ঞে দেশ’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ এক নতুন কর্মযজ্ঞে নেমেছিল। তার সময় দেশে সর্বজনীন উদ্দীপনা তৈরি হয়েছিল। অর্থনীতি, প্রশাসন, শিক্ষা, কৃষি, শিল্প ও গণমাধ্যমসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল। নারীর ক্ষমতায়নেও তিনি ভূমিকা রাখেন।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘বাংলাদেশের শত্রুরা সেই সময়ও তাকে মেনে নিতে পারেনি, তাই নির্মমভাবে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউজে তাকে হত্যা করা হয়। সেই হত্যার মধ্য দিয়েই শুরু হয় একটি অন্ধকার অধ্যায়।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, আবদুস সালাম আজাদ, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।