মানবতাবিরোধী অপরাধে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। সোমবার,(১৭ নভেম্বর ২০২৫) তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই মামলার রায় ঘোষণা করে।
দেড় দশক দেশ শাসন করা হাসিনা ১৫ মাস আগের অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে শেখ হাসিনাই প্রথম সাবেক সরকারপ্রধান, যার ওপর মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করা হলো। যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তার সরকার একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য গঠন করেছিল, সেই আদালত থেকেই তার সর্বোচ্চ সাজার রায় এলো।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ এই রায়ে ‘ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন। রায় ঘোষণার পর তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। তবে তিনি মনে করেন, এই সাজা যথেষ্ট নয় যদিও আইনে এর ওপরে কোনো সাজা নেই।
তিনি বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার যত শক্তিশালীই হোক না কেন, একদিন না একদিন তাকে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে ও বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। তিনি আরও বলেন, এই রায় ভবিষ্যতের জন্য একটি বার্তা দিয়েছে যাতে রাষ্ট্রে আর কোনোদিন ফ্যাসিবাদী শাসন বা স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা না হয়।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল গোলাম পরওয়ার মন্তব্য করেছেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাণদণ্ডের রায়ে দেশের ‘১৮ কোটি মানুষের গণআকাক্সক্ষা’ পূরণ হয়েছে। জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘ঘৃণ্য মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচনের আগে করে যাবে, দেশের ১৮ কোটি মানুষের এই গণআকাক্সক্ষা ছিল।’
শেখ হাসিনা ছাড়াও তার সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকেও এ মামলায় প্রাণদণ্ড দেয়া হয়েছে। তিনিও ভারতে পালিয়ে আছেন। আরেক আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। তিনি নিজেকে রাজসাক্ষী হিসেবে উপস্থাপন করায় ট্রাইব্যুনাল তাকে লঘুদণ্ড দিয়েছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
মানবতাবিরোধী অপরাধে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। সোমবার,(১৭ নভেম্বর ২০২৫) তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই মামলার রায় ঘোষণা করে।
দেড় দশক দেশ শাসন করা হাসিনা ১৫ মাস আগের অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে শেখ হাসিনাই প্রথম সাবেক সরকারপ্রধান, যার ওপর মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করা হলো। যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তার সরকার একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য গঠন করেছিল, সেই আদালত থেকেই তার সর্বোচ্চ সাজার রায় এলো।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ এই রায়ে ‘ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন। রায় ঘোষণার পর তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। তবে তিনি মনে করেন, এই সাজা যথেষ্ট নয় যদিও আইনে এর ওপরে কোনো সাজা নেই।
তিনি বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার যত শক্তিশালীই হোক না কেন, একদিন না একদিন তাকে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে ও বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। তিনি আরও বলেন, এই রায় ভবিষ্যতের জন্য একটি বার্তা দিয়েছে যাতে রাষ্ট্রে আর কোনোদিন ফ্যাসিবাদী শাসন বা স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা না হয়।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল গোলাম পরওয়ার মন্তব্য করেছেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাণদণ্ডের রায়ে দেশের ‘১৮ কোটি মানুষের গণআকাক্সক্ষা’ পূরণ হয়েছে। জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘ঘৃণ্য মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচনের আগে করে যাবে, দেশের ১৮ কোটি মানুষের এই গণআকাক্সক্ষা ছিল।’
শেখ হাসিনা ছাড়াও তার সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকেও এ মামলায় প্রাণদণ্ড দেয়া হয়েছে। তিনিও ভারতে পালিয়ে আছেন। আরেক আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। তিনি নিজেকে রাজসাক্ষী হিসেবে উপস্থাপন করায় ট্রাইব্যুনাল তাকে লঘুদণ্ড দিয়েছে।