ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসতে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি আচরণবিধি পরিপালনে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
বুধবার সকালে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপের চতুর্থ দিনের উদ্বোধনী বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।
সিইসি বলেন, “আমাদের সংলাপের মূল উদ্দেশ্য দুটো—আচরণবিধি জারি হয়েছে, এখন এর পরিপালন ও সহযোগিতা চাওয়াই আমাদের লক্ষ্য।”
সকালের সেশনে জামায়াতে ইসলামীসহ সাতটি দলের প্রতিনিধি সংলাপে অংশ নেন। এ সময় নির্বাচন কমিশনার এবং ইসি সচিবও উপস্থিত ছিলেন।
তিনি জানান, নির্বাচনের আগে ধারাবাহিকভাবে কমিশন বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করছে। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চললেও এবার নির্বাচনের বিষয়ে আলাদা সংলাপ আয়োজন করা হয়েছে।
কিছুটা বিলম্বে সংলাপ হওয়া নিয়ে তিনি বলেন, “আমরা আনন্দিত যে আপনারা ইসির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছেন। সংস্কার কমিশন ও ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে পর্যালোচনা শেষে আলোচনা হয়েছে, এতে আমাদের কাজ আরও সহজ হয়েছে।”
সিইসি বলেন, “নির্বাচন কমিশন একা নয়—দলগুলোসহ সবাই মিলে সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য জাতির কাছে ওয়াদা দিয়েছেন। দলগুলো দেশের মঙ্গলের জন্য কাজ করছে, আমরাও ওয়াদা দিয়েছি, প্রধান উপদেষ্টাও দিয়েছেন। আমাদের লক্ষ্য একটাই।”
তিনি জানান, আচরণবিধিতে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের অনেক সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। খসড়াটি ওয়েবসাইটে প্রকাশের পর দল ও জনগণের দেওয়া মতামত যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত করা হয়েছে।
সিইসির ভাষায়, “আচরণবিধি প্রস্তুত করা বড় কাজ নয়, পরিপালনটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের প্রত্যাশা—দলগুলো প্রত্যাশিত ভূমিকা পালন করবে।”
ভোটার উপস্থিতি বাড়াতেও দলগুলোর সহযোগিতা চান তিনি।
নাসির উদ্দিন বলেন, “গত ১৫ বছরে দেশের ভোটাররা ভোটকেন্দ্র বিমুখ হয়েছে। ফলাফলের আগাম ধারণাও তাদের মধ্যে মানসিকতা তৈরি করেছিল। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের কথায় তৃণমূল সরাসরি প্রভাবিত হয়। তাই আপনারা ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করুন কেন্দ্রেতে আনতে, প্রার্থীরা যেন আচরণবিধি মেনে চলে সে বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিন।”
তিনি আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় রাজনৈতিক দলগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।
“দল, ভোটার, ইসি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী—সবাই মিলে কীভাবে জাতিকে একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে পারি, সে বিষয়ে চিন্তা করতে হবে। আপনাদের সহযোগিতা চাই। আপনাদের পরামর্শ পেলে সুন্দরভাবে এগিয়ে যেতে পারব।”
বুধবারের ধারাবাহিক সংলাপে মোট ১৩টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সংলাপে অংশ নেয়—
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি), ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণসংহতি আন্দোলন, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) এবং বাংলাদেশ লেবার পার্টি।
দুপুর ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত সংলাপে অংশ নেবে—
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি), নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টি (বিআরপি) এবং বাসদ (মার্কসবাদী)।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসতে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি আচরণবিধি পরিপালনে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
বুধবার সকালে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপের চতুর্থ দিনের উদ্বোধনী বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।
সিইসি বলেন, “আমাদের সংলাপের মূল উদ্দেশ্য দুটো—আচরণবিধি জারি হয়েছে, এখন এর পরিপালন ও সহযোগিতা চাওয়াই আমাদের লক্ষ্য।”
সকালের সেশনে জামায়াতে ইসলামীসহ সাতটি দলের প্রতিনিধি সংলাপে অংশ নেন। এ সময় নির্বাচন কমিশনার এবং ইসি সচিবও উপস্থিত ছিলেন।
তিনি জানান, নির্বাচনের আগে ধারাবাহিকভাবে কমিশন বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করছে। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চললেও এবার নির্বাচনের বিষয়ে আলাদা সংলাপ আয়োজন করা হয়েছে।
কিছুটা বিলম্বে সংলাপ হওয়া নিয়ে তিনি বলেন, “আমরা আনন্দিত যে আপনারা ইসির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছেন। সংস্কার কমিশন ও ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে পর্যালোচনা শেষে আলোচনা হয়েছে, এতে আমাদের কাজ আরও সহজ হয়েছে।”
সিইসি বলেন, “নির্বাচন কমিশন একা নয়—দলগুলোসহ সবাই মিলে সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য জাতির কাছে ওয়াদা দিয়েছেন। দলগুলো দেশের মঙ্গলের জন্য কাজ করছে, আমরাও ওয়াদা দিয়েছি, প্রধান উপদেষ্টাও দিয়েছেন। আমাদের লক্ষ্য একটাই।”
তিনি জানান, আচরণবিধিতে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের অনেক সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। খসড়াটি ওয়েবসাইটে প্রকাশের পর দল ও জনগণের দেওয়া মতামত যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত করা হয়েছে।
সিইসির ভাষায়, “আচরণবিধি প্রস্তুত করা বড় কাজ নয়, পরিপালনটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের প্রত্যাশা—দলগুলো প্রত্যাশিত ভূমিকা পালন করবে।”
ভোটার উপস্থিতি বাড়াতেও দলগুলোর সহযোগিতা চান তিনি।
নাসির উদ্দিন বলেন, “গত ১৫ বছরে দেশের ভোটাররা ভোটকেন্দ্র বিমুখ হয়েছে। ফলাফলের আগাম ধারণাও তাদের মধ্যে মানসিকতা তৈরি করেছিল। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের কথায় তৃণমূল সরাসরি প্রভাবিত হয়। তাই আপনারা ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করুন কেন্দ্রেতে আনতে, প্রার্থীরা যেন আচরণবিধি মেনে চলে সে বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিন।”
তিনি আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় রাজনৈতিক দলগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।
“দল, ভোটার, ইসি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী—সবাই মিলে কীভাবে জাতিকে একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে পারি, সে বিষয়ে চিন্তা করতে হবে। আপনাদের সহযোগিতা চাই। আপনাদের পরামর্শ পেলে সুন্দরভাবে এগিয়ে যেতে পারব।”
বুধবারের ধারাবাহিক সংলাপে মোট ১৩টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সংলাপে অংশ নেয়—
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি (বিএমজেপি), ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণসংহতি আন্দোলন, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) এবং বাংলাদেশ লেবার পার্টি।
দুপুর ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত সংলাপে অংশ নেবে—
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি), নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টি (বিআরপি) এবং বাসদ (মার্কসবাদী)।