যুগপৎ আন্দোলনে থাকা জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি দল আসন সমঝোতার ভিত্তিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। পাঁচ দফা দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা উপলক্ষে আজ বুধবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ।
সংবাদ সম্মেলনে হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, আট দল পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে। তিনি আরও জানান, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের জন্যও জোটের দরজা খোলা রয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য ঘোষণা রয়েছে। অতীতে জামায়াতসহ বিভিন্ন ইসলামী দল বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটে থাকলেও গত জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক চিত্র পাল্টে যায়। আওয়ামী লীগকে বাইরে রেখে নির্বাচনমুখী এই নতুন বাস্তবতায় জামায়াত ইসলামী দলগুলোকে নিয়ে আলাদা রাজনৈতিক উদ্যোগ নিতে চায়।
জামায়াতের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলো হলো—ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি এবং জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)।
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়া, দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের ভিত্তিতে সংসদের উচ্চকক্ষে আসন বণ্টন, এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আলাদাভাবে গণভোট আয়োজনসহ পাঁচ দফা দাবিতে এই আট দল আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার জানিয়ে দিয়েছে যে ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গেই গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের সক্ষমতা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সংশয় প্রকাশ করেন জামায়াত নেতা আযাদ।
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে সংসদের উচ্চকক্ষে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে আসন বণ্টনের কথা উল্লেখ থাকলেও নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করার দাবি এবার জোরালোভাবে সামনে এনেছে আট দল। একই সঙ্গে গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোটের পক্ষে প্রচারণা চালানোর সিদ্ধান্তও জানিয়েছে তারা।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির ইউসুফ আশরাফ সংবাদ সম্মেলনে আট দলের নতুন কর্মসূচি হিসেবে ৩০ নভেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাত বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা দেন। তাঁর ঘোষণা অনুযায়ী—
৩০ নভেম্বর রংপুর
১ ডিসেম্বর রাজশাহী
২ ডিসেম্বর খুলনা
৩ ডিসেম্বর বরিশাল
৪ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ
৫ ডিসেম্বর সিলেট
৬ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম
এ সাত বিভাগীয় শহরে আট দলের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে এবং গণভোটে ‘হ্যাঁ’ নিশ্চিত করতে তারা ব্যাপক প্রচার চালাবে।
রাজধানীর পল্টনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আট দলের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন—বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব জালালুদ্দীন আহমদ, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের, সিনিয়র নায়েবে আমির সাখাওয়াত হোসাইন, যুগ্ম মহাসচিব মো. আবদুল জলিল, ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব আশরাফুল আলম, ফজলে বারী মাসউদ, খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব ইউসুফ সাদেক হক্কানী, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য তওহিদুজ্জামান, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সিনিয়র নায়েবে আমির আবদুল মাজেদ আতহারী, মহাসচিব মুসা বিন ইজহার এবং জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি–জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রবীণ।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
যুগপৎ আন্দোলনে থাকা জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি দল আসন সমঝোতার ভিত্তিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। পাঁচ দফা দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা উপলক্ষে আজ বুধবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ।
সংবাদ সম্মেলনে হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, আট দল পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবে। তিনি আরও জানান, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের জন্যও জোটের দরজা খোলা রয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য ঘোষণা রয়েছে। অতীতে জামায়াতসহ বিভিন্ন ইসলামী দল বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটে থাকলেও গত জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক চিত্র পাল্টে যায়। আওয়ামী লীগকে বাইরে রেখে নির্বাচনমুখী এই নতুন বাস্তবতায় জামায়াত ইসলামী দলগুলোকে নিয়ে আলাদা রাজনৈতিক উদ্যোগ নিতে চায়।
জামায়াতের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলো হলো—ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি এবং জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)।
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়া, দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের ভিত্তিতে সংসদের উচ্চকক্ষে আসন বণ্টন, এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আলাদাভাবে গণভোট আয়োজনসহ পাঁচ দফা দাবিতে এই আট দল আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার জানিয়ে দিয়েছে যে ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গেই গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের সক্ষমতা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সংশয় প্রকাশ করেন জামায়াত নেতা আযাদ।
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে সংসদের উচ্চকক্ষে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে আসন বণ্টনের কথা উল্লেখ থাকলেও নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করার দাবি এবার জোরালোভাবে সামনে এনেছে আট দল। একই সঙ্গে গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোটের পক্ষে প্রচারণা চালানোর সিদ্ধান্তও জানিয়েছে তারা।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির ইউসুফ আশরাফ সংবাদ সম্মেলনে আট দলের নতুন কর্মসূচি হিসেবে ৩০ নভেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাত বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা দেন। তাঁর ঘোষণা অনুযায়ী—
৩০ নভেম্বর রংপুর
১ ডিসেম্বর রাজশাহী
২ ডিসেম্বর খুলনা
৩ ডিসেম্বর বরিশাল
৪ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ
৫ ডিসেম্বর সিলেট
৬ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম
এ সাত বিভাগীয় শহরে আট দলের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে এবং গণভোটে ‘হ্যাঁ’ নিশ্চিত করতে তারা ব্যাপক প্রচার চালাবে।
রাজধানীর পল্টনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আট দলের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন—বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব জালালুদ্দীন আহমদ, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের, সিনিয়র নায়েবে আমির সাখাওয়াত হোসাইন, যুগ্ম মহাসচিব মো. আবদুল জলিল, ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব আশরাফুল আলম, ফজলে বারী মাসউদ, খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব ইউসুফ সাদেক হক্কানী, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য তওহিদুজ্জামান, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সিনিয়র নায়েবে আমির আবদুল মাজেদ আতহারী, মহাসচিব মুসা বিন ইজহার এবং জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি–জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রবীণ।