তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের রায় দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন বিএনপি নেতারা। তারা বলছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় দেশের রাজনীতিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে এবং বিএনপির দীর্ঘদিনের আন্দোলন এ রায়ের মাধ্যমে সফলতা পাবে।
বৃহস্পতিবার, (২০ নভেম্বর ২০২৫) ভিন্ন ভিন্ন অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মহামুদ চৌধুরী এবং দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আগামী নির্বাচন সুসংহত করবে বলে মন্তব্য করেছেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্রি মেডিকেল ও স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচি শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অনুপস্থিতিতে মানুষকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে উল্লেখ করে খসরু বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরত এসেছে, এটা কিভাবে গঠন হবে সেটা নিয়ে আলোচনা হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। কারণ এই ব্যবস্থায় গ্রহণযোগ্য অনেকগুলো নির্বাচন ইতোমধ্যেই অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি দলের নিজস্ব দর্শন ও ভাবনা আছে। আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি সামনে রেখে দলগুলো জনগণের কাছে নিজেদের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে। বিগত দিনের অপসংস্কৃতি থেকে বের হয়ে রাজনীতিতে ইতিবাচক সংস্কৃতি চালুর পক্ষে বিএনপি। অনির্বাচিত সরকারের অধীনে দেশ কতটা পিছিয়েছে তা মানুষ দেখেছে। জনগণের রায় বাস্তবায়ন করা সহজ হয় না অনির্বাচিত সরকারের সময়। তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পুনর্বহাল দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতেই আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করেছিল মন্তব্য করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের রায় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রাখবে, এ রায়ের মাধ্যমে গণতন্ত্রের প্রাণভোমরা আবারও পুনরুজ্জীবিত হয়েছে।’
রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারসহ অসহায় এবং দুঃস্থদের চিকিৎসা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘ক্ষমতায় টিকে থাকতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করেছেন শেখ হাসিনা। তত্ত্বাবধায়ক সরকার
পুনর্বহালের রায় ফ্যাসিস্ট তৈরির পথরুদ্ধ করবে। এ জন্যই এই রায় অত্যন্ত ইতিবাচক।’
এর আগে বৃহস্পতিবার, সকাল ১০টার দিকে আপিল বিভাগের সাতজন বিচারপতির বেঞ্চ ত্রয়োদশ সংশোধনী বৈধ ঘোষণা করে এবং নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল করার রায় দেন। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের অন্য ছয় বিচারপতি হলেন মো. আশফাকুল ইসলাম, জুবায়ের রহমান চৌধুরী, মো. রেজাউল হক, এস এম ইমদাদুল হক, এ কে এম আসাদুজ্জামান ও ফারাহ মাহবুব।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের রায় দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন বিএনপি নেতারা। তারা বলছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় দেশের রাজনীতিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে এবং বিএনপির দীর্ঘদিনের আন্দোলন এ রায়ের মাধ্যমে সফলতা পাবে।
বৃহস্পতিবার, (২০ নভেম্বর ২০২৫) ভিন্ন ভিন্ন অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মহামুদ চৌধুরী এবং দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আগামী নির্বাচন সুসংহত করবে বলে মন্তব্য করেছেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্রি মেডিকেল ও স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচি শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অনুপস্থিতিতে মানুষকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে উল্লেখ করে খসরু বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরত এসেছে, এটা কিভাবে গঠন হবে সেটা নিয়ে আলোচনা হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। কারণ এই ব্যবস্থায় গ্রহণযোগ্য অনেকগুলো নির্বাচন ইতোমধ্যেই অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি দলের নিজস্ব দর্শন ও ভাবনা আছে। আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি সামনে রেখে দলগুলো জনগণের কাছে নিজেদের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে। বিগত দিনের অপসংস্কৃতি থেকে বের হয়ে রাজনীতিতে ইতিবাচক সংস্কৃতি চালুর পক্ষে বিএনপি। অনির্বাচিত সরকারের অধীনে দেশ কতটা পিছিয়েছে তা মানুষ দেখেছে। জনগণের রায় বাস্তবায়ন করা সহজ হয় না অনির্বাচিত সরকারের সময়। তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পুনর্বহাল দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতেই আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করেছিল মন্তব্য করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের রায় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রাখবে, এ রায়ের মাধ্যমে গণতন্ত্রের প্রাণভোমরা আবারও পুনরুজ্জীবিত হয়েছে।’
রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারসহ অসহায় এবং দুঃস্থদের চিকিৎসা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘ক্ষমতায় টিকে থাকতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করেছেন শেখ হাসিনা। তত্ত্বাবধায়ক সরকার
পুনর্বহালের রায় ফ্যাসিস্ট তৈরির পথরুদ্ধ করবে। এ জন্যই এই রায় অত্যন্ত ইতিবাচক।’
এর আগে বৃহস্পতিবার, সকাল ১০টার দিকে আপিল বিভাগের সাতজন বিচারপতির বেঞ্চ ত্রয়োদশ সংশোধনী বৈধ ঘোষণা করে এবং নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল করার রায় দেন। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের অন্য ছয় বিচারপতি হলেন মো. আশফাকুল ইসলাম, জুবায়ের রহমান চৌধুরী, মো. রেজাউল হক, এস এম ইমদাদুল হক, এ কে এম আসাদুজ্জামান ও ফারাহ মাহবুব।