ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে আয়োজনের বিষয়ে সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) চিঠি দিয়েছে। শনিবার ইসি সচিব আখতার আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও গণভোট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতবিরোধের মধ্যে গত ১৩ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের ঘোষণা দেন। তার এক সপ্তাহ পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ইসিকে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠায়।
চিঠিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনেই গণভোট আয়োজন করতে বলা হয়েছে এবং সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানান, “বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এই চিঠি পেয়েছি। সরকার জানিয়েছে, গণভোট করা ইসির দায়িত্ব। একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের জন্য বলা হয়েছে।”
এখন নির্বাচন কমিশন গণভোট অধ্যাদেশ জারির অপেক্ষায় রয়েছে। শনিবার বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন এক অনুষ্ঠানে বলেন, সংসদ নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে, তবে একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজন করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে।
তিনি বলেন, “আইন হওয়ার পরই বলা যাবে গণভোটের জন্য কী ধরনের প্রস্তুতি প্রয়োজন। আইন হওয়ার পরই গণভোটের প্রস্তুতি পুরোপুরি নেবে নির্বাচন কমিশন।” আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, আগামী দু–তিন দিনের মধ্যে গণভোট অধ্যাদেশ প্রণয়ন সম্পন্ন হবে।
সিইসি আরও বলেন, “যত চ্যালেঞ্জই আসুক, গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একইদিনে করবে ইসি। সামনে এগোনো ছাড়া আমাদের কোনো পথ নেই। গণভোট আয়োজনের চিঠি পেয়েছি। এখন আইন হলে বলতে পারবো কীভাবে গণভোট হবে।” তিনি সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের জন্য আলাদা ব্যালট পেপারসহ অন্যান্য প্রাসঙ্গিক প্রস্তুতির কথাও উল্লেখ করেন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে আয়োজনের বিষয়ে সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) চিঠি দিয়েছে। শনিবার ইসি সচিব আখতার আহমেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও গণভোট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতবিরোধের মধ্যে গত ১৩ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের ঘোষণা দেন। তার এক সপ্তাহ পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ইসিকে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠায়।
চিঠিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনেই গণভোট আয়োজন করতে বলা হয়েছে এবং সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানান, “বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এই চিঠি পেয়েছি। সরকার জানিয়েছে, গণভোট করা ইসির দায়িত্ব। একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের জন্য বলা হয়েছে।”
এখন নির্বাচন কমিশন গণভোট অধ্যাদেশ জারির অপেক্ষায় রয়েছে। শনিবার বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন এক অনুষ্ঠানে বলেন, সংসদ নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে, তবে একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজন করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে।
তিনি বলেন, “আইন হওয়ার পরই বলা যাবে গণভোটের জন্য কী ধরনের প্রস্তুতি প্রয়োজন। আইন হওয়ার পরই গণভোটের প্রস্তুতি পুরোপুরি নেবে নির্বাচন কমিশন।” আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, আগামী দু–তিন দিনের মধ্যে গণভোট অধ্যাদেশ প্রণয়ন সম্পন্ন হবে।
সিইসি আরও বলেন, “যত চ্যালেঞ্জই আসুক, গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একইদিনে করবে ইসি। সামনে এগোনো ছাড়া আমাদের কোনো পথ নেই। গণভোট আয়োজনের চিঠি পেয়েছি। এখন আইন হলে বলতে পারবো কীভাবে গণভোট হবে।” তিনি সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের জন্য আলাদা ব্যালট পেপারসহ অন্যান্য প্রাসঙ্গিক প্রস্তুতির কথাও উল্লেখ করেন।