ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য যে ধরনের ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ থাকা দরকার তা নেই দাবি করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম। চট্টগ্রাম জামায়াতে ইসলামীর এক নেতার বক্তব্যের সূত্র ধরে তিনি বলেছেন, নির্বাচন করতে হলে প্রশাসনকে কীভাবে দখল করতে হবে, বিভিন্ন দলের নেতারা তা প্রকাশ্যে বলে বেড়াচ্ছেন।
রোববার,(২৩ নভেম্বর ২০২৫) ঢাকার শাহবাগে ‘শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন সেন্টারে’ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নাহিদ ইসলাম এ কথা বলেন।
এর আগে গতকাল শনিবার রাতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়, যা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে জামায়াতে ইসলামী। ভিডিওতে দেখা যায়, জামায়াতের চট্টগ্রামের নেতা শাহাজাহান চৌধুরী বলছেন, ‘আমিরে জামাত যদি থাকতো আমি বলতাম নির্বাচন শুধু জনগণ দিয়ে নয়, প্রশাসনকে অবশ্যই আমি ন্যাশনালি বলবো না, যার যার নির্বাচনী এলাকায় প্রশাসনের যারা আছে তাদের সবাইকে আমাদের আন্ডারে নিয়ে আসতে হবে। আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে, আমাদের কথায় গ্রেপ্তার করবে, আমাদের কথায় মামলা...’
তিনি ওই বক্তব্য দেন তার দলের ‘নির্বাচনী দায়িত্বশীল সম্মেলন’-এ। অর্থাৎ উপস্থিত নেতারাই দলটির হয়ে নির্বাচনে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবেন। জামায়াত নেতা শাহাজাহান চৌধুরীকে বলতে শোনা যায়, ‘নির্বাচন মানে কেবল জনগণ বা পার্টি না, প্রশাসনরে রাখা লাগবে হাতের মুঠোয়।’
সেই প্রসঙ্গ ধরে রোববার সংবাদ সম্মেলনে এনসিপি প্রধান নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা খুবই উদ্বেগ জানাচ্ছি যে নির্বাচনের জন্য যে ধরনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকার কথা সে ধরনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি না।’ জুলাই সনদ নিয়ে দর কষাকষির জেরে যে রাজনৈতিক দলগুলো এখন মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে তারা একসময় ‘বন্ধু ছিল’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘তারা কিন্তু একটা চক্রান্ত করছে।’
কী সেই চক্রান্ত, তা স্পষ্ট না করলেও আওয়ামী লীগ আমলের নির্বাচনের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা আগে থেকেই বলে আসছিলাম যে, বাংলাদেশের যে নির্বাচনী সংস্কৃতি, যেখানে জবরদখল, প্রশাসনের দখল এবং টাকার ব্যবহার, মাসল পাওয়ারের ব্যবহার ইত্যাদি নির্বাচনে আমরা সবসময় দেখে এসেছি। শুনে এসেছি এর আগের সময়গুলোতে। এবং এর আগের ফ্যাসিবাদী সময়ে তো মানুষ ভোট দিতেও যেতে পারেনি। ফলে এবারের নির্বাচন একটি গণতান্ত্রিক ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে। অনেক তরুণ ও স্বপ্নবাজ দেশপ্রেমিক মানুষরা সংসদে আসবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন, সরকার ও প্রশাসনের যে শক্ত এবং স্বচ্ছ অবস্থায় থাকা প্রয়োজন, সেটা আমাদের কাছে মনে হচ্ছে না।’
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
রোববার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের জন্য যে ধরনের ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ থাকা দরকার তা নেই দাবি করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম। চট্টগ্রাম জামায়াতে ইসলামীর এক নেতার বক্তব্যের সূত্র ধরে তিনি বলেছেন, নির্বাচন করতে হলে প্রশাসনকে কীভাবে দখল করতে হবে, বিভিন্ন দলের নেতারা তা প্রকাশ্যে বলে বেড়াচ্ছেন।
রোববার,(২৩ নভেম্বর ২০২৫) ঢাকার শাহবাগে ‘শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন সেন্টারে’ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নাহিদ ইসলাম এ কথা বলেন।
এর আগে গতকাল শনিবার রাতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়, যা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে জামায়াতে ইসলামী। ভিডিওতে দেখা যায়, জামায়াতের চট্টগ্রামের নেতা শাহাজাহান চৌধুরী বলছেন, ‘আমিরে জামাত যদি থাকতো আমি বলতাম নির্বাচন শুধু জনগণ দিয়ে নয়, প্রশাসনকে অবশ্যই আমি ন্যাশনালি বলবো না, যার যার নির্বাচনী এলাকায় প্রশাসনের যারা আছে তাদের সবাইকে আমাদের আন্ডারে নিয়ে আসতে হবে। আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে, আমাদের কথায় গ্রেপ্তার করবে, আমাদের কথায় মামলা...’
তিনি ওই বক্তব্য দেন তার দলের ‘নির্বাচনী দায়িত্বশীল সম্মেলন’-এ। অর্থাৎ উপস্থিত নেতারাই দলটির হয়ে নির্বাচনে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবেন। জামায়াত নেতা শাহাজাহান চৌধুরীকে বলতে শোনা যায়, ‘নির্বাচন মানে কেবল জনগণ বা পার্টি না, প্রশাসনরে রাখা লাগবে হাতের মুঠোয়।’
সেই প্রসঙ্গ ধরে রোববার সংবাদ সম্মেলনে এনসিপি প্রধান নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা খুবই উদ্বেগ জানাচ্ছি যে নির্বাচনের জন্য যে ধরনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকার কথা সে ধরনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি না।’ জুলাই সনদ নিয়ে দর কষাকষির জেরে যে রাজনৈতিক দলগুলো এখন মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে তারা একসময় ‘বন্ধু ছিল’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘তারা কিন্তু একটা চক্রান্ত করছে।’
কী সেই চক্রান্ত, তা স্পষ্ট না করলেও আওয়ামী লীগ আমলের নির্বাচনের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা আগে থেকেই বলে আসছিলাম যে, বাংলাদেশের যে নির্বাচনী সংস্কৃতি, যেখানে জবরদখল, প্রশাসনের দখল এবং টাকার ব্যবহার, মাসল পাওয়ারের ব্যবহার ইত্যাদি নির্বাচনে আমরা সবসময় দেখে এসেছি। শুনে এসেছি এর আগের সময়গুলোতে। এবং এর আগের ফ্যাসিবাদী সময়ে তো মানুষ ভোট দিতেও যেতে পারেনি। ফলে এবারের নির্বাচন একটি গণতান্ত্রিক ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে। অনেক তরুণ ও স্বপ্নবাজ দেশপ্রেমিক মানুষরা সংসদে আসবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন, সরকার ও প্রশাসনের যে শক্ত এবং স্বচ্ছ অবস্থায় থাকা প্রয়োজন, সেটা আমাদের কাছে মনে হচ্ছে না।’