সাবেক অর্থ মন্ত্রী, আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এম এস কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া এবার বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। সোমবার,( ০১ ডিসেম্বর ২০২৫) সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাতে ফুল দিয়ে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দেন।
আমি বিএনপিতে যোগ দিয়ে গর্বিত
হবিগঞ্জ-১ আসনে ধানের শীষে নির্বাচন করতে চান
বিএনপিতে রেজা কিবরিয়াকে স্বাগত জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে দেশের একজন অত্যন্ত বিশিষ্ট সন্তান, যিনি তার নিজের যোগ্যতা বলে আইএমএফ এর অত্যন্ত উচ্চ পদে কাজ করেছেন এবং পরবর্তীকালে দেশে এসে ২০১৮ সালে তিনি গণফোরাম থেকে আমাদের যে যুক্ত ফ্রন্টের (নির্বাচনী জোট) মনোনয়ন নিয়ে ধানের শীষ নিয়ে তিনি নির্বাচন করেছিলেন। পরবর্তীকালে আপনারা দেখেছেন তিনি রাজনীতির সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন এবং আমরা অত্যন্ত আনন্দিত এবং গর্বিত যে ড. রেজা কিবরিয়া আজকে আমাদের মাঝে এসে আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন। আমি আমার দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তাকে আমাদের দলে স্বাগত জানাচ্ছি।’
২০১৮ সালের নির্বাচনে রেজা কিবরিয়া হবিগঞ্জ-১ আসনে (বাহুবল-নবীনগর) ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেন। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনেও তিনি ওই আসনে নির্বাচন করতে চান। বিএনপির আগামী সংসদ নির্বাচনে জন্য ২২৭ আসনের যে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। সেখানে হবিগঞ্জ-১ আসনটি ফাঁকা রাখা হয়েছে।
ফুলের তোড়া তুলে দিয়ে তাকে বিএনপিতে স্বাগত জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রেজা কিবরিয়া তার অতীত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বাংলাদেশের নতুন বিনির্মাণে তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে অবদান রাখবেন।’
অর্থনীতিবিদ রেজা কিবরিয়া আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) চাকরি করেছেন দীর্ঘদিন। ২০১৮ সালে ওই চাকরি ছেড়ে বাংলাদেশে ফিরে ড. কামাল হোসেন গণফোরামে যোগ দেন এবং কিছু দিনের মধ্যে দলের সাধারণ সম্পাদক হন। কিন্তু দলের ভেতরে দ্বন্দ্বের কারণে তিনি পদত্যাগ করেন। পরে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদ গঠন করেন। সেখানে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু সেই দলও দুই ভাগ হয়ে যায়। পরে বিভক্ত দল নিয়ে আমজনতার দলের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন রেজা কিবরিয়া।
তার পিতা শাহ এএমএস কিবরিয়া ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ছিলেন। ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি তার নির্বাচনী এলাকা হবিগঞ্জ-৩ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি সিলেটের হবিগঞ্জে এক জনসভায় গ্রেনেড হামলায় কিবরিয়া নিহত হন।
আমি বিএনপিতে যোগ দিয়ে গর্বিত
রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘আমি বিএনপিতে যোগ দিয়ে খুবই গর্বিত। আমি বিএনপিতে আজকে ফরমালি জয়েন করলাম। এই দলটার ইতিহাসটা হলো গণতন্ত্রের ইতিহাস। দুই দুইবার তারা গণতন্ত্রকে রক্ষা করেছে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের থেকে। একবার শেখ মুজিবের গণতন্ত্র ধ্বংসÑ সেখান থেকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এটাকে রক্ষা করলেন। আর দ্বিতীয় বার শেখ হাসিনা জেনারেলের এরশাদের সঙ্গে গণতন্ত্র ধ্বংস এবং আমাদের বেগম খালেদা জিয়া যিনি এখন অনেক অসুস্থৃসবাই দোয়া করবেন উনার জন্য। উনি আবার এটা রক্ষা করলেন।’
তারেকের প্রশংসা
রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘আমরা মনে করি, বিএনপির এখন যে নেতৃত্বে আছে এবং যারা আছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা, আমাদের দেশের নতুন প্রজন্ম, তাদের সব স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে। তাদের যে ভিশন দেশের জন্য, এটা আগের ভিশন না। অনেক কিছু বদলে গেছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেব উনার যে রক্ত, এটা কোন কোয়ালিটির আপনারা যদি চিন্তা করেন, উনার বাপ কী ছিলেন, মা কী আছেনÑ এটা ইনক্রিডিবল, এটা বাংলাদেশে আর কারও ওই কোয়ালিটির ব্লাড লাইন নাই আপনাদের বলতে পারি। আমরা সবাই উনাকে (তারেক রহমান) সাহায্য করব একটা নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে।’
রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘বাংলাদেশটাকে উন্নত করা, এশিয়ার মধ্যে প্রথম তিন দেশের মধ্যে আনা অসম্ভব কিছু না। আপনারা ভাবছেন, আমি কি রূপকথার মতো বলছি? এটা পরে দেখবেন। আমি ৩৫টা দেশে কাজ করেছি প্রায় ৪০ বছর। আপনাদের বলতে পারি, আমাদের দেশের মানুষের কোয়ালিটি এটা হলো ‘টপ ক্লাস’ এবং এই মানুষগুলোকে দিয়ে একটা ‘টপ ক্লাস’ দেশ প্রথম সারির দেশ তৈরি করা যাবে ইনশাল্লাহ।”
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫
সাবেক অর্থ মন্ত্রী, আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এম এস কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া এবার বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। সোমবার,( ০১ ডিসেম্বর ২০২৫) সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাতে ফুল দিয়ে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দেন।
আমি বিএনপিতে যোগ দিয়ে গর্বিত
হবিগঞ্জ-১ আসনে ধানের শীষে নির্বাচন করতে চান
বিএনপিতে রেজা কিবরিয়াকে স্বাগত জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে দেশের একজন অত্যন্ত বিশিষ্ট সন্তান, যিনি তার নিজের যোগ্যতা বলে আইএমএফ এর অত্যন্ত উচ্চ পদে কাজ করেছেন এবং পরবর্তীকালে দেশে এসে ২০১৮ সালে তিনি গণফোরাম থেকে আমাদের যে যুক্ত ফ্রন্টের (নির্বাচনী জোট) মনোনয়ন নিয়ে ধানের শীষ নিয়ে তিনি নির্বাচন করেছিলেন। পরবর্তীকালে আপনারা দেখেছেন তিনি রাজনীতির সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন এবং আমরা অত্যন্ত আনন্দিত এবং গর্বিত যে ড. রেজা কিবরিয়া আজকে আমাদের মাঝে এসে আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন। আমি আমার দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে তাকে আমাদের দলে স্বাগত জানাচ্ছি।’
২০১৮ সালের নির্বাচনে রেজা কিবরিয়া হবিগঞ্জ-১ আসনে (বাহুবল-নবীনগর) ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেন। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনেও তিনি ওই আসনে নির্বাচন করতে চান। বিএনপির আগামী সংসদ নির্বাচনে জন্য ২২৭ আসনের যে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। সেখানে হবিগঞ্জ-১ আসনটি ফাঁকা রাখা হয়েছে।
ফুলের তোড়া তুলে দিয়ে তাকে বিএনপিতে স্বাগত জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রেজা কিবরিয়া তার অতীত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বাংলাদেশের নতুন বিনির্মাণে তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে অবদান রাখবেন।’
অর্থনীতিবিদ রেজা কিবরিয়া আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) চাকরি করেছেন দীর্ঘদিন। ২০১৮ সালে ওই চাকরি ছেড়ে বাংলাদেশে ফিরে ড. কামাল হোসেন গণফোরামে যোগ দেন এবং কিছু দিনের মধ্যে দলের সাধারণ সম্পাদক হন। কিন্তু দলের ভেতরে দ্বন্দ্বের কারণে তিনি পদত্যাগ করেন। পরে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদ গঠন করেন। সেখানে আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু সেই দলও দুই ভাগ হয়ে যায়। পরে বিভক্ত দল নিয়ে আমজনতার দলের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন রেজা কিবরিয়া।
তার পিতা শাহ এএমএস কিবরিয়া ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ছিলেন। ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি তার নির্বাচনী এলাকা হবিগঞ্জ-৩ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি সিলেটের হবিগঞ্জে এক জনসভায় গ্রেনেড হামলায় কিবরিয়া নিহত হন।
আমি বিএনপিতে যোগ দিয়ে গর্বিত
রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘আমি বিএনপিতে যোগ দিয়ে খুবই গর্বিত। আমি বিএনপিতে আজকে ফরমালি জয়েন করলাম। এই দলটার ইতিহাসটা হলো গণতন্ত্রের ইতিহাস। দুই দুইবার তারা গণতন্ত্রকে রক্ষা করেছে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের থেকে। একবার শেখ মুজিবের গণতন্ত্র ধ্বংসÑ সেখান থেকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এটাকে রক্ষা করলেন। আর দ্বিতীয় বার শেখ হাসিনা জেনারেলের এরশাদের সঙ্গে গণতন্ত্র ধ্বংস এবং আমাদের বেগম খালেদা জিয়া যিনি এখন অনেক অসুস্থৃসবাই দোয়া করবেন উনার জন্য। উনি আবার এটা রক্ষা করলেন।’
তারেকের প্রশংসা
রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘আমরা মনে করি, বিএনপির এখন যে নেতৃত্বে আছে এবং যারা আছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা, আমাদের দেশের নতুন প্রজন্ম, তাদের সব স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে। তাদের যে ভিশন দেশের জন্য, এটা আগের ভিশন না। অনেক কিছু বদলে গেছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেব উনার যে রক্ত, এটা কোন কোয়ালিটির আপনারা যদি চিন্তা করেন, উনার বাপ কী ছিলেন, মা কী আছেনÑ এটা ইনক্রিডিবল, এটা বাংলাদেশে আর কারও ওই কোয়ালিটির ব্লাড লাইন নাই আপনাদের বলতে পারি। আমরা সবাই উনাকে (তারেক রহমান) সাহায্য করব একটা নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে।’
রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘বাংলাদেশটাকে উন্নত করা, এশিয়ার মধ্যে প্রথম তিন দেশের মধ্যে আনা অসম্ভব কিছু না। আপনারা ভাবছেন, আমি কি রূপকথার মতো বলছি? এটা পরে দেখবেন। আমি ৩৫টা দেশে কাজ করেছি প্রায় ৪০ বছর। আপনাদের বলতে পারি, আমাদের দেশের মানুষের কোয়ালিটি এটা হলো ‘টপ ক্লাস’ এবং এই মানুষগুলোকে দিয়ে একটা ‘টপ ক্লাস’ দেশ প্রথম সারির দেশ তৈরি করা যাবে ইনশাল্লাহ।”