নিবন্ধনের দাবিতে নির্বাচন ভবনের সামনে অনশন করা আমজনতার দলের সাধারণ সম্পাদক তারেক রহমানের দাবি অবশেষে পূরণ হতে যাচ্ছে। তার নেতৃত্বাধীন দলসহ আরও দুটি রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন—বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছেন ইসি সচিব আখতার আহমেদ।
এদিনই আমজনতার দলকে প্রজাপতি প্রতীক এবং জনতার দলকে কলম প্রতীক বরাদ্দ দিয়ে নিবন্ধন সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। দল দুটির বিষয়ে আপত্তি থাকলে আগামী ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে লিখিতভাবে ইসিকে জানাতে হবে।
এর আগে ১৮ নভেম্বর জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলকে (মার্কসবাদী) নিবন্ধন দেওয়া হয়েছিল।
নিবন্ধনের তালিকা থেকে বাদ পড়ায় ৪ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনের সামনে অনশনে বসেন আমজনতার দলের সাধারণ সম্পাদক তারেক রহমান। ছয় দিন পর, ৯ নভেম্বর রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের আশ্বাসে তিনি অনশন ভাঙেন।
তারেকের দলসহ নতুন করে দুটি দল নিবন্ধন পেলে নাসির কমিশনের আমলে মোট চারটি দলের নিবন্ধন সম্পন্ন হবে।
নতুন দলগুলোর কাছ থেকে আবেদন নেওয়া হয় এ বছরের ১০ মার্চ। একদফা সময় বাড়ানোর পর ২২ জুন পর্যন্ত মোট ১৪৩টি দল আবেদন করে। নিবন্ধনের শর্ত পূরণ না করায় প্রাথমিক বাছাইয়ে বাদ পড়ে ১২১টি দল। বাকি ২২টি দলের বিষয়ে সরেজমিন তদন্ত চালায় ইসির সংশ্লিষ্ট কমিটি।
৩০ সেপ্টেম্বর জানানো হয়, দুটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে একটি দলের বিরুদ্ধে আপত্তি ওঠায় পুনঃতদন্ত শুরু করে কমিশন।
সবশেষ ৪ নভেম্বর আবার জানানো হয়—তিনটি দল নিবন্ধন পাবে। এনসিপিকে শাপলা কলি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলকে (মার্কসবাদী) কাঁচি, এবং বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টিকে হ্যান্ডশ্যাক প্রতীক দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। আপত্তি থাকলে ১২ নভেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে বলা হয়। আপত্তি আসায় আমজনগণ পার্টিকে বাদ দেওয়া হয় এবং বাকি দুই দলের নিবন্ধন চূড়ান্ত হয়।
এরপর অনশনকারী তারেক রহমানের ‘আমজনতার দল’-এর বিষয়ে পুনঃতদন্তের আশ্বাস দেয় কমিশন।
২০০৮ সালে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে দলগুলোর নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৫৯টি দল নিবন্ধন পেয়েছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত; বাতিল হয়েছে ফ্রিডম পার্টি, ঐকবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন ও পিডিপির নিবন্ধন।
বর্তমান নির্বাচন কমিশন ১০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ১৩তম সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তুতি তুলে ধরবে। এরপরই তফসিল ঘোষণা করবে ইসি।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫
নিবন্ধনের দাবিতে নির্বাচন ভবনের সামনে অনশন করা আমজনতার দলের সাধারণ সম্পাদক তারেক রহমানের দাবি অবশেষে পূরণ হতে যাচ্ছে। তার নেতৃত্বাধীন দলসহ আরও দুটি রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন—বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছেন ইসি সচিব আখতার আহমেদ।
এদিনই আমজনতার দলকে প্রজাপতি প্রতীক এবং জনতার দলকে কলম প্রতীক বরাদ্দ দিয়ে নিবন্ধন সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। দল দুটির বিষয়ে আপত্তি থাকলে আগামী ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে লিখিতভাবে ইসিকে জানাতে হবে।
এর আগে ১৮ নভেম্বর জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলকে (মার্কসবাদী) নিবন্ধন দেওয়া হয়েছিল।
নিবন্ধনের তালিকা থেকে বাদ পড়ায় ৪ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনের সামনে অনশনে বসেন আমজনতার দলের সাধারণ সম্পাদক তারেক রহমান। ছয় দিন পর, ৯ নভেম্বর রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের আশ্বাসে তিনি অনশন ভাঙেন।
তারেকের দলসহ নতুন করে দুটি দল নিবন্ধন পেলে নাসির কমিশনের আমলে মোট চারটি দলের নিবন্ধন সম্পন্ন হবে।
নতুন দলগুলোর কাছ থেকে আবেদন নেওয়া হয় এ বছরের ১০ মার্চ। একদফা সময় বাড়ানোর পর ২২ জুন পর্যন্ত মোট ১৪৩টি দল আবেদন করে। নিবন্ধনের শর্ত পূরণ না করায় প্রাথমিক বাছাইয়ে বাদ পড়ে ১২১টি দল। বাকি ২২টি দলের বিষয়ে সরেজমিন তদন্ত চালায় ইসির সংশ্লিষ্ট কমিটি।
৩০ সেপ্টেম্বর জানানো হয়, দুটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে একটি দলের বিরুদ্ধে আপত্তি ওঠায় পুনঃতদন্ত শুরু করে কমিশন।
সবশেষ ৪ নভেম্বর আবার জানানো হয়—তিনটি দল নিবন্ধন পাবে। এনসিপিকে শাপলা কলি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলকে (মার্কসবাদী) কাঁচি, এবং বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টিকে হ্যান্ডশ্যাক প্রতীক দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। আপত্তি থাকলে ১২ নভেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে বলা হয়। আপত্তি আসায় আমজনগণ পার্টিকে বাদ দেওয়া হয় এবং বাকি দুই দলের নিবন্ধন চূড়ান্ত হয়।
এরপর অনশনকারী তারেক রহমানের ‘আমজনতার দল’-এর বিষয়ে পুনঃতদন্তের আশ্বাস দেয় কমিশন।
২০০৮ সালে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে দলগুলোর নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৫৯টি দল নিবন্ধন পেয়েছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত; বাতিল হয়েছে ফ্রিডম পার্টি, ঐকবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন ও পিডিপির নিবন্ধন।
বর্তমান নির্বাচন কমিশন ১০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ১৩তম সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তুতি তুলে ধরবে। এরপরই তফসিল ঘোষণা করবে ইসি।