আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই দেশের দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক পথরেখা ও জাতির ভাগ্য ‘নির্ধারণ হবে’ হবে বলে মন্তব্য করেছেন মাহী বি চৌধুরী।প্রয়াত রাষ্ট্রপতি একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর ছেলে মাহী তার ফেইসবুক পোস্টে এ কথা বলেছেন।
বিকল্পধারা বাংলাদেশের মুখপাত্র মাহী তার পোস্টের শুরুতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনায় সবাইকে দোয়া করার আহ্বান জানিয়েছেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এবং বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পুরনো দুটি ছবি যুক্ত করা হয়েছে পোস্টে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ এই অঙ্গীকারের প্রশংসা করে পোস্টে মাহী বি চৌধুরী বলেন, “তারেক রহমান যে অঙ্গীকার উচ্চারণ করেছেন-‘সবার আগে বাংলাদেশ’-এটি কেবল একটি রাজনৈতিক স্লোগান নয়; এটি আমাদের জাতীয় ইতিহাস ও দায়বদ্ধতার ধারাবাহিকতা।”
“১৯৭১ সালে এক তরুণ মেজর জিয়া তার পরিবার, ছোট সন্তান কিংবা ব্যক্তিগত নিরাপত্তার কথা ভাবেননি-তিনি দেশকে বেছে নিয়েছিলেন।
জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে তার স্বাধীনতার ঘোষণা একটি জাতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করেছিল। আজ বাংলাদেশ আবারও এক ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে। সামনের কয়েক সপ্তাহেই এই দেশের দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক পথরেখা ও জাতির ভাগ্য নির্ধারিত হবে।”
১৯৭৫ সালের পটপরিবর্তনের কথা মন্তব্য করে তিনি লিখেছেন, “১৯৭৫ সালে জনগণ ও সৈনিকেরা জিয়াউর রহমানকে তুলে এনেছিল এক জীবনঘাতী রাজনৈতিক অগ্নিপরীক্ষার কেন্দ্রে। সেখানে তিনি শুধু একজন সেনা কর্মকর্তা, স্বামী বা পিতা ছিলেন না- তিনি হয়ে উঠেছিলেন একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক নেতা, যিনি সাহস, প্রজ্ঞা এবং কর্তব্যবোধ দিয়ে একটি বিপর্যস্ত জাতিকে পথ দেখিয়েছিলেন। তার সেই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের ভবিষ্যৎকে নতুন রূপ দিয়েছিল।
“আজ ইতিহাস তার ছেলেকেও একই অবস্থানে দাঁড় করিয়েছে।”
মাহী বি চৌধুরীর কথায়, “এখন তার প্রয়োজন ব্যক্তিগত পরিচয়, আবেগ ও সম্পর্কের ঊর্ধ্বে উঠে একজন জাতীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা। কথায় নয়- কর্মে প্রমাণ করতে হবে।
“সবার আগে বাংলাদেশ।”
মতবিরোধের প্রসঙ্গ টেনে মাহী বলেন, ‘রাজনৈতিক নানা কারণে আমাদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে- এটি সকলেরই জানা। এসব কারণ এখানে আলোচ্য নয় এবং হওয়া উচিতও নয়।
কিন্তু জাতির এই সংকটময় সময়ে প্রত্যাশা একটাই- যেমন তার পিতা কঠিনতম মুহূর্তে জাতিকে বাঁচাতে দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তেমনি তিনিও যেন দেশের স্বার্থকে সর্বোচ্চে রেখে ইতিহাসের আহ্বানে সাড়া দেন।’
‘বাংলাদেশ আজ নেতৃত্ব, সাহস এবং সত্যিকার দেশপ্রেমের অপেক্ষায়।’
পোস্টে মাহী প্রার্থনা করে বলেন, ‘আল্লাহ আমাদের দেশকে হেফাজত করুন। সবার আগে বাংলাদেশ।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫
আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই দেশের দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক পথরেখা ও জাতির ভাগ্য ‘নির্ধারণ হবে’ হবে বলে মন্তব্য করেছেন মাহী বি চৌধুরী।প্রয়াত রাষ্ট্রপতি একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর ছেলে মাহী তার ফেইসবুক পোস্টে এ কথা বলেছেন।
বিকল্পধারা বাংলাদেশের মুখপাত্র মাহী তার পোস্টের শুরুতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনায় সবাইকে দোয়া করার আহ্বান জানিয়েছেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এবং বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পুরনো দুটি ছবি যুক্ত করা হয়েছে পোস্টে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ এই অঙ্গীকারের প্রশংসা করে পোস্টে মাহী বি চৌধুরী বলেন, “তারেক রহমান যে অঙ্গীকার উচ্চারণ করেছেন-‘সবার আগে বাংলাদেশ’-এটি কেবল একটি রাজনৈতিক স্লোগান নয়; এটি আমাদের জাতীয় ইতিহাস ও দায়বদ্ধতার ধারাবাহিকতা।”
“১৯৭১ সালে এক তরুণ মেজর জিয়া তার পরিবার, ছোট সন্তান কিংবা ব্যক্তিগত নিরাপত্তার কথা ভাবেননি-তিনি দেশকে বেছে নিয়েছিলেন।
জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে তার স্বাধীনতার ঘোষণা একটি জাতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করেছিল। আজ বাংলাদেশ আবারও এক ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে। সামনের কয়েক সপ্তাহেই এই দেশের দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক পথরেখা ও জাতির ভাগ্য নির্ধারিত হবে।”
১৯৭৫ সালের পটপরিবর্তনের কথা মন্তব্য করে তিনি লিখেছেন, “১৯৭৫ সালে জনগণ ও সৈনিকেরা জিয়াউর রহমানকে তুলে এনেছিল এক জীবনঘাতী রাজনৈতিক অগ্নিপরীক্ষার কেন্দ্রে। সেখানে তিনি শুধু একজন সেনা কর্মকর্তা, স্বামী বা পিতা ছিলেন না- তিনি হয়ে উঠেছিলেন একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক নেতা, যিনি সাহস, প্রজ্ঞা এবং কর্তব্যবোধ দিয়ে একটি বিপর্যস্ত জাতিকে পথ দেখিয়েছিলেন। তার সেই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের ভবিষ্যৎকে নতুন রূপ দিয়েছিল।
“আজ ইতিহাস তার ছেলেকেও একই অবস্থানে দাঁড় করিয়েছে।”
মাহী বি চৌধুরীর কথায়, “এখন তার প্রয়োজন ব্যক্তিগত পরিচয়, আবেগ ও সম্পর্কের ঊর্ধ্বে উঠে একজন জাতীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা। কথায় নয়- কর্মে প্রমাণ করতে হবে।
“সবার আগে বাংলাদেশ।”
মতবিরোধের প্রসঙ্গ টেনে মাহী বলেন, ‘রাজনৈতিক নানা কারণে আমাদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে- এটি সকলেরই জানা। এসব কারণ এখানে আলোচ্য নয় এবং হওয়া উচিতও নয়।
কিন্তু জাতির এই সংকটময় সময়ে প্রত্যাশা একটাই- যেমন তার পিতা কঠিনতম মুহূর্তে জাতিকে বাঁচাতে দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তেমনি তিনিও যেন দেশের স্বার্থকে সর্বোচ্চে রেখে ইতিহাসের আহ্বানে সাড়া দেন।’
‘বাংলাদেশ আজ নেতৃত্ব, সাহস এবং সত্যিকার দেশপ্রেমের অপেক্ষায়।’
পোস্টে মাহী প্রার্থনা করে বলেন, ‘আল্লাহ আমাদের দেশকে হেফাজত করুন। সবার আগে বাংলাদেশ।