রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বর্তমানে সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত পুরোপুরিই নির্ভর করছে তাঁর শারীরিক অবস্থার ওপর, যা এখন সবচেয়ে বড় বিবেচ্য বিষয়।
শনিবার বিকেল চারটার দিকে এভার কেয়ার হাসপাতালের সামনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান তিনি।
১৪ দিন ধরে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত ২৩ নভেম্বর রাতে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে দেশি–বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত একটি মেডিকেল বোর্ড তাঁর চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
আজ ব্রিফিংয়ে জাহিদ হোসেন জানান, খালেদা জিয়ার জন্য কাতার থেকে আসার কথা থাকা এয়ার অ্যাম্বুলেন্স যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আসতে পারেনি। তবে সেই সময় মেডিকেল বোর্ড জরুরি সভা করে সিদ্ধান্ত নেয় যে তখন বিদেশে নেওয়া ঠিক হবে না।
তিনি বলেন, এখন মেডিকেল অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রয়েছে এবং চিকিৎসাকেন্দ্রিক নিরাপত্তাই এখন মূল অগ্রাধিকার। দেশি–বিদেশি চিকিৎসকেরা তাঁর শারীরিক অবস্থাকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছেন।
এ সময় তিনি আরও জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলেছেন।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে কোনো গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানান জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া অতীতেও আরও খারাপ অবস্থা থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন; তাই এবারও তাঁর সুস্থ হয়ে ফেরার আশা করছেন সবাই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়ানোর বিষয়ে তিনি সতর্ক করে বলেন, “দয়া করে যেটা ফ্যাক্ট, সেটার বাইরে গুজব ছড়িয়ে কাউকে বিভ্রান্ত করবেন না।”
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫
রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বর্তমানে সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত পুরোপুরিই নির্ভর করছে তাঁর শারীরিক অবস্থার ওপর, যা এখন সবচেয়ে বড় বিবেচ্য বিষয়।
শনিবার বিকেল চারটার দিকে এভার কেয়ার হাসপাতালের সামনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান তিনি।
১৪ দিন ধরে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত ২৩ নভেম্বর রাতে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে দেশি–বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত একটি মেডিকেল বোর্ড তাঁর চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
আজ ব্রিফিংয়ে জাহিদ হোসেন জানান, খালেদা জিয়ার জন্য কাতার থেকে আসার কথা থাকা এয়ার অ্যাম্বুলেন্স যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আসতে পারেনি। তবে সেই সময় মেডিকেল বোর্ড জরুরি সভা করে সিদ্ধান্ত নেয় যে তখন বিদেশে নেওয়া ঠিক হবে না।
তিনি বলেন, এখন মেডিকেল অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রয়েছে এবং চিকিৎসাকেন্দ্রিক নিরাপত্তাই এখন মূল অগ্রাধিকার। দেশি–বিদেশি চিকিৎসকেরা তাঁর শারীরিক অবস্থাকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছেন।
এ সময় তিনি আরও জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলেছেন।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে কোনো গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানান জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া অতীতেও আরও খারাপ অবস্থা থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন; তাই এবারও তাঁর সুস্থ হয়ে ফেরার আশা করছেন সবাই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়ানোর বিষয়ে তিনি সতর্ক করে বলেন, “দয়া করে যেটা ফ্যাক্ট, সেটার বাইরে গুজব ছড়িয়ে কাউকে বিভ্রান্ত করবেন না।”