বিএনপি ক্ষমতায় গেলে অবশ্যই ‘ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার’ বা এনইআইআর নীতিমালা ‘পুনর্বিবেচনা’ করার কথা বলেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এই নীতিমালার আওতায় মোবাইল হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের বিরোধিতা করে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ চলার মধ্যে রোববার,(০৭ ডিসেম্বর ২০২৫) ঢাকায় এক আলোচনা সভায় তিনি ঘোষণা দিয়ে বলেন, আল্লাহ যদি আমাদের ক্ষমতায় নিয়ে আসে তবে ‘ডেফিনিটলি’ এনইআইআর নীতিমালাসহ যেসব নীতিমালা মুক্তবাজারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক সেগুলো ‘রিভিউ’ করা হবে। মুক্তবাজারের কথা বলে সরকার নিয়ন্ত্রিত বাজার তৈরি করা চলবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
‘এনইআইআর: বাস্তবায়ন কাঠামো, জাতীয় স্বার্থ এবং নাগরিক উদ্বেগ’ বিষয়ক এই গোলটেবিল আলোচনা সভার আয়োজন করে সেন্টার ফর টেকনোলোজি জার্নালিজম (সিটিজে) নামে একটি সংগঠন। সভায় বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা সব অংশীজনের সঙ্গে কথা বলবো। তারপর সেই অনুযায়ী সেগুলো রিভিউ করা হবে। সাবেক আওয়ামী লীগ বা বর্তমান সরকারের যেসব নীতিমালা মুক্তবাজার অর্থনীতির পরিপন্থি, সেগুলো আমরা অবশ্যই রিভিউ করবো। আপনি একদিকে মুক্তবাজারের কথা বলবেন আরেক দিকে সরকার নিয়ন্ত্রিত বাজার তৈরি করবেন সেটা হবে না।’
‘মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশের’ ব্যানারে এদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মোবাইল ফোনসেট ব্যবসায়ীরা আগারগাঁও এলাকায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ভবনের সামনে সড়ক আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন। প্রথমে সড়কে একপাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুপুর ১টার দিকে আগারগাঁও এলাকার সব সড়ক বন্ধ করে দেন আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, এনইআইআর প্রক্রিয়ার কিছু সংস্কার, ন্যায্য করনীতি প্রণয়ন, একচেটিয়া সিন্ডিকেট বিলোপ এবং মুক্ত বাণিজ্যের স্বার্থে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে তাদের কিছু দাবি ও প্রস্তাব রয়েছে। এ বিষয়ে তাদের কথা না শুনেই সরকার একতরফা এনইআইআর চালু করতে যাচ্ছে।
আগামী ১৬ ডিসেম্বর দেশে কার্যকর হতে যাচ্ছে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিফিকেশন রেজিস্ট্রার বা এনইআইআর। মোবাইল হ্যান্ডসেট নিবন্ধনের এই বাধ্যবাধকতা কার্যকর হওয়ার পর কেবল সরকার অনুমোদিত বৈধ হ্যান্ডসেটই নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকতে পারবে। তবে ১৬ ডিসেম্বরের আগে নেটওয়ার্কে সচল থাকা কোনো হ্যান্ডসেটই বন্ধ করা হবে না বলে সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেয়া হচ্ছে।
আলোচনা সভায় সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু বলেন, ‘যে পণ্য সবার দরকার সেটার দাম বেশি হতে হবে কেন? ৬৭ হাজার কোটি টাকা ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য বিনিয়োগ করেছে তার ফল কী?’ কর কমালে সরকার বেশি টাকা পায় মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি ট্যাক্স কমিয়ে দিলে সরকারের খাতে বেশি টাকা আসে।