বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন এবং ‘আগের মতোই চিকিৎসা নিতে পারছেন’ বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন।
বুধবার রাতে হাসপাতালের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, উনাকে যে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, সেটি উনি আগের মতোই গ্রহণ করতে পারছেন এবং চিকিৎসার প্রতিক্রিয়াও দেখাচ্ছেন। আমাদের মেডিকেল সায়েন্সের ভাষায় বলতে গেলে, ‘শি ক্যান কন্টিনিউ অর মেইনটেইনিং হার ট্রিটমেন্ট’।”
চিকিৎসক জাহিদ আরও বলেন, “কোনো গুজব ছড়িয়ে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করবেন না। ম্যাডাম আইসিইউতে আছেন এবং সর্বোচ্চ চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রাপ্ত সংকটাপন্ন রোগীর জন্য প্রয়োজনীয় সব চিকিৎসা চলছে। এই বিষয়ে কোনো গুজবে কান না দেওয়ার জন্য সকলের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানাই।”
খালেদা জিয়া গত ২৩ নভেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি চিকিৎসকরা একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করে তার চিকিৎসা করছেন। উনার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ভার্চুয়ালি বোর্ডে যুক্ত আছেন। এছাড়া চীন ও ব্রিটেনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরাও ঢাকায় এসে উনাকে দেখেছেন।
লন্ডন থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমানও ঢাকায় এসে খালেদা জিয়ার সঙ্গে আছেন।
অধ্যাপক জাহিদ বলেন, “দেশবাসীর উৎকণ্ঠা, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার কারণে আমরা সর্বশেষ পরিস্থিতি জানাতে আপনার সামনে এসেছি। তবে উনি একজন রোগী এবং তার কিছু ‘এথিক্যাল রাইটস’ আছে। মেডিকেল সায়েন্সের নিয়ম অনুযায়ী সব তথ্য প্রকাশ করা যায় না।”
তিনি আরও বলেন, “দেশি ও বিদেশি চিকিৎসক পরামর্শক্রমে চিকিৎসা অব্যাহত রয়েছে এবং আমরা আশাবাদী যে উনার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। প্রয়োজনে ভবিষ্যতে উনাকে দেশের বাইরে নেওয়ার বিষয়টি ভাবা হতে পারে, তবে এখন সেই তথ্য প্রকাশের সময় হয়নি।”
অধ্যাপক জাহিদ শেষ করেন, “আল্লাহর রহমত, মানুষের দোয়া এবং চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত সকল চিকিৎসক ও নার্সদের অব্যাহত প্রচেষ্টায় উনার চিকিৎসা চলছে। আমরা খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দোয়া চাই।”