রাজশাহীতে এনসিপির জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক নাহিদুল ইসলাম সাজুর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার, (১২ ডিসেম্বর ২০২৫) দুপুর ১২টার দিকে কাটাখালি পৌরসভার দেওয়ানপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে তিনি সামান্য আহত হন এবং স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেন।
সাজুকে উদ্ধার করার সময় ধাক্কাধাক্কিতে তিন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন বলে জানান কাটাখালি থানার ওসি মুমন কাদেরী।
নাহিদুল ইসলাম সাজু রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে এনসিপির সম্ভাব্য প্রার্থী। তিনি দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন; যদিও এই আসনে এখনো প্রার্থী ঘোষণা হয়নি।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার, সকাল ১০টার দিকে পূর্বশত্রুতার জেরে শ্যামপুর এলাকার কয়েকজন যুবক কাটাখালি বাজারে ব্যবসায়ী শিমুলকে মারধর ও দোকান ভাঙচুর করে। এতে তিনি আহত হন এবং স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা কাটাখালি বাজারের সব দোকান-পাট বন্ধ করে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেন এবং টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান। এ সময় প্রায় এক ঘণ্টা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে।
কাটাখালি থানার ওসি মুমন কাদেরী বলেন, বিক্ষোভকারীরা শ্যামপুর এলাকার এক ব্যক্তির চায়ের দোকানের টেবিল-চেয়ার এনে আগুনে ফেলে দেয়। পরে এলাকায় গুজব ছড়িয়ে পড়ে- শ্যামপুরে নাকি ব্যবসায়ীদের দোকানপাটে লুটপাট চলছে।
‘এতে স্থানীয় লোকজন দেওয়ানপাড়ায় জড়ো হয়ে উত্তেজনা বাড়ায়। খবর পেয়ে এনসিপি নেতা সাজু ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছান। গাড়ি থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গেই সাজুর ওপর হামলা হয়। পুলিশ দ্রুত তাকে উদ্ধার করে সেখান থেকে নিয়ে যায়।’
ঘটনার বিষয়ে নাহিদুল ইসলাম সাজু বলেন, ‘আমার বাবা কাটাখালি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি। পরিস্থিতি শান্ত করতে সেখানে গিয়েছিলাম। কিন্তু অস্ত্রধারীরা আমার ওপর হামলা করে। পুলিশ যখন আমাকে উদ্ধার করছিল, তখন তারা দুই রাউন্ড গুলিও ছোড়ে।’ তিনি অভিযোগ করেন, ‘আমি রাজশাহী-৩ আসনে এনসিপির প্রার্থী। যারা আমার ওপর হামলা করেছে, তারা বিএনপি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাওয়ায় আমার উপর এ হামলা।’
তিনি আরও জানান, এর আগে গত ৮ ডিসেম্বর একই এলাকায় তাকে মাইক্রোবাসের চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। সে ঘটনায় থানায় মামলা করলেও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এই ঘটনাতেও তিনি মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।
ওসি মুমন কাদেরী বলেন, গুলির ঘটনা ঘটেছে কিনা সেটি তদন্ত করে জানা যাবে। তবে হামলার ঘটনায় অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে জানতে বিএনপির এক নেতাকে মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে এসবের মধ্যে জড়াবেন না।’