নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মিছিল ও শোডাউন করার অভিযোগে যশোর-৪ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী টি এস আইয়ুবকে শোকজ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আগামী দুই দিনের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে প্রার্থীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার বাঘারপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ভুপালী সরকারের স্বাক্ষর করা শোকজ নোটিসে প্রার্থীকে এ জবাব দিতে বলা হয়। এর মধ্যে মঙ্গলবার শোকজের জবাব দেওয়ার কথা জানিয়েছেন টি এস আইয়ুব।
যশোর জেলার বাঘারপাড়া ও অভয়নগর উপজেলা এবং সদর উপজেলার বসুন্দিয়া ইউনিয়ন নিয়ে যশোর-৪ সংসদীয় আসন গঠিত।
শোকজ নোটিসে উল্লেখ করা হয়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০২৫-এর বিধি ১৮ অনুযায়ী কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষে অন্য কেউ ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিনের আগের তিন সপ্তাহের মধ্যে কোনো ধরনের নির্বাচনি প্রচার চালাতে পারবেন না।
নোটিসে আরও বলা হয়, এ বিধান উপেক্ষা করে সোমবার বিকেলে বাঘারপাড়া উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নে প্রার্থী বা তার দলের সমর্থকেরা নির্বাচনি প্রচারের উদ্দেশ্যে মিছিল ও শোডাউন করেছেন। এ কার্যক্রম সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০২৫-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
এমতাবস্থায়, কেন প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, সে বিষয়ে আগামী দুই দিনের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে অনুরোধ জানানো হয় শোকজ নোটিসে।
এ বিষয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ভুপালী সরকার সাংবাদিকদের বলেন, “স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা অভিযানে যাই। তবে আমরা পৌঁছানোর আগেই কর্মসূচি শেষ করেন নেতাকর্মীরা। শোডাউনের সময় বিএনপির প্রার্থী উপস্থিত না থাকলেও তার দলের নেতাকর্মীরা সেখানে ছিলেন।”
তিনি আরও বলেন, “প্রার্থীর পক্ষে শোডাউন করায় আচরণবিধি ভঙ্গ হয়েছে। সে কারণে তাকে প্রাথমিকভাবে শোকজ করা হয়েছে। শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হলে বিধি অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অন্যদিকে শোকজ প্রসঙ্গে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী টি এস আইয়ুব সাংবাদিকদের বলেন, “আমি শোকজের জবাব দিয়েছি। হাটবারের দিন নেতাকর্মীরা অজ্ঞতাবশত মিছিল করেছেন। এ জন্য বিষয়টি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার আবেদন জানিয়েছি। তবে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত বা জবাব পাইনি।”