দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার এ প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও ঐতিহাসিক সংবর্ধনার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিদর্শন করেছে বিএনপির একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল।
বৃহস্পতিবার, (১৮ ডিসেম্বর ২০২৫) দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও অভ্যর্থনা কমিটির আহ্বায়ক সালাহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলটি বিমানবন্দরের সার্বিক নিরাপত্তা ও রুট ম্যাপ সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন অভ্যর্থনা কমিটির সদস্যসচিব ও বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মিডিয়া সেলের প্রধান মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল এবং নিরাপত্তা টিমের প্রধানসহ অন্য সদস্যরা।
পরিদর্শন শেষে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিমানবন্দর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতাল এবং গুলশানের বাসা পর্যন্ত যাতায়াতের পথ পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘বিমানবন্দরের অবতরণস্থল থেকে শুরু করে গাড়িতে ওঠা এবং যাতায়াতের রুট আমরা সরেজমিনে পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করেছি।’
ব্রিফিংয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ উল্লেখ করেন, বিগত ১৬-১৭ বছর ধরে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক সংগ্রামে নেতৃত্ব দেয়া তারেক রহমানের দেশে ফেরা হবে স্মরণীয়। তিনি বলেন, ‘নেতার প্রত্যাবর্তন যেন বিগত ৫৫ বছরের সব দৃষ্টান্ত ছাড়িয়ে যায় এবং আগামী ৫৫ বছরেও এমন ঐতিহাসিক ঘটনা না ঘটে সেই লক্ষ্যে প্রস্তুতি চলছে।’
তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে ২৪ ডিসেম্বর রাত অথবা ২৫ ডিসেম্বর সকালের মধ্যে সারাদেশের জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ঢাকায় উপস্থিত থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশের গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ হিসেবে নেতাকে একনজর দেখার জন্য সারাদেশে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা রয়েছে।
বিএনপির এ সিনিয়র নেতা নিশ্চিত করেন, তারেক রহমান বাংলাদেশ বিমানের একটি নিয়মিত বাণিজ্যিক ফ্লাইটে দেশে ফিরছেন। তার বহনকারী বিমানটি ২৫ ডিসেম্বর দুপুর ১১টা ৫৫ মিনিট নাগাদ ঢাকায় অবতরণ করবে। নিরাপত্তা ইস্যুতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল ও বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে এবং সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
জনগণের ব্যাপক উপস্থিতি নিশ্চিত করার পাশাপাশি জনদুর্ভোগ এড়াতে সংবর্ধনার স্থান নির্ধারণে সতর্কতা অবলম্বন করছে বিএনপি। রুহুল কবির রিজভী বলেন, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন ঘিরে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ থাকলেও দলীয়ভাবে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করেই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। নেতারা আশা প্রকাশ করেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরা বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে।