নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই দলের শীর্ষস্থানীয় নেতার বাসভবনে হামলা চালানোর অভিযোগ তুলেছে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি। শনিবার,(২০ ডিসেম্বর ২০২৫) সকালে ঢাকার গুলশানে হাওলাদার টাওয়ারে দলের জরুরি প্রেসিডিয়াম বৈঠকে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
বৈঠকের পরে দলের দপ্তর সম্পাদক এম এ রাজ্জাক খানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘প্রেসিডিয়াম সভার প্রস্তাবে বলা হয়, জাতীয় পার্টিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার উদ্দেশ্যেই পরিকল্পিতভাবে পার্টির চেয়ারম্যানের বাসভবনে এ বর্বর হামলা ও অগ্নিসংযোগ চালানো হয়েছে।’
গতকাল শুক্রবার রাত পোনে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান, ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।প্রত্যক্ষ্যদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রাত আনুমানিক পোনে ১২টার দিকে শতাধিক দুর্বৃত্ত বাড়ির প্রধান ফটক ও বাসভবনের ফটক ভেঙে বাড়ির নিচ তলা, দোতলা ও বাড়ি ঘেঁষা গাড়ির গ্যারেজ, জেনারেটর ও কেয়ারটেকারের রুমে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। একপর্যায়ে গান পাউডার ব্যবহার করে বাড়ির নিচ তলা ও গ্যারেজে অগ্নিসংযোগ করলে একটি প্রাইভেট কার (চট্টমেট্রো গ ১১-৯৪২৯), জেনারেটরসহ রুমের আসবাবপত্র পুড়ে যায়। পরে দ্রুত সশ্রস্ত্র দুর্বৃত্তরা চলে গেলে বাড়ির লোকজন ও এলাকাবাসী মাইকে ঘোষণা দিয়ে ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। বাড়ির প্রধান ফটক ভেঙে ভাঙচুরের আওয়াজ শুনলেও শতাধিক দুর্বৃত্তের ভয়ে কেউ ঘর থেকে বের হওয়ার সাহস করেনি।
ঘটনাস্থলে ষাটোর্ধ্ব শাহ আলম নামে এক ব্যক্তি আফসোস করে বলেন, হাটহাজারীতে এ ঘটনা ইতিহাসে এটাই প্রথম। নির্বাচনকে সামনে রেখে শান্তির জনপদ খ্যাত হাটহাজারীকে যারা অশান্ত করতে চায় তারা অন্তত ভালো মানুষ হতে পারে না।
গৃহ পরিচারিকা রোকেয়া বলেন, ঘটনার সময় তিনি বাড়ির অভ্যন্তরে রাতের খাবার খাচ্ছিলেন। সশ্রস্ত্র দুর্বৃত্তরা ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকেই ব্যারিস্টারকে মেরে ফেলার হুমকি দিতে থাকেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা নিহত হাদির রক্তের বদলা নিতে এসেছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আজিজ বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। দোষীদের শনাক্তে পুলিশ মাঠে কাজ করছে। পরিবারের পক্ষ থেকে আজ (শনিবার) রাতে মামলার করার কথা জানিয়েছে।