তারেক রহমানের আগমনে রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ হবে, গণতান্ত্রিক রূপান্তর হবে মসৃণ: শফিকুল আলম
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে আগমন বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিদ্যমান শূন্যতা পূরণে ভূমিকা রাখবে এবং চলমান গণতান্ত্রিক রূপান্তরকে আরও মসৃণ করবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বৃহস্পতিবার বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রাণী গির্জায় যান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি তারেক রহমানের আগমন ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে এসব কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, “আমরা তাকে স্বাগত জানাই। তিনি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পার্টির লিডার। তার বাংলাদেশে আসা আমি বলবো একটি পজিটিভ ইমপ্যাক্ট করবে। বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থে কিছু রাজনৈতিক শূন্যতা রয়েছে। তিনি এলে সেই শূন্যতা পূরণ হবে।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের সামনে একটি বড় নির্বাচন রয়েছে। আমরা একটি ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। তার আগমনের পর এই ট্রানজিশন আরও স্মুথ হবে বলে আমরা আশা করছি।”
তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, “তার নিরাপত্তার বিষয়টি তার দল দেখছে। তবে তারা যে ধরনের সহযোগিতা আমাদের কাছে চাচ্ছেন, আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করছি।”
দেড় যুগের দীর্ঘ নির্বাসন ভেঙে বৃহস্পতিবার দেশে পৌঁছান বিএনপি নেতা তারেক রহমান। তার সঙ্গে রয়েছেন স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৪৩ মিনিটে তাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-২০২ ফ্লাইটটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে তারেক রহমানকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা। এ সময় আলিঙ্গন ও করমর্দনের মাধ্যমে তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। মাতৃভূমিতে ফিরে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তারেক রহমান।
বিমানবন্দর থেকেই প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে নিরাপত্তাসহ যাবতীয় আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানান তারেক রহমান। এরপর লাল-সবুজ পতাকার রঙে সাজানো একটি বাসে চড়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে তিনি পূর্বাচলের ৩০০ ফিট সড়কের উদ্দেশে রওনা হন। সেখানে তাকে সংবর্ধনা দেওয়ার আয়োজন করা হয়।
বিমানবন্দর থেকে তারেক রহমানের গাড়িবহর ধীরগতিতে এগিয়ে যাওয়ার সময় সড়কের দুই পাশে অবস্থান নেওয়া নেতাকর্মীরা একের পর এক স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে আশপাশের এলাকা। কুড়িল থেকে পূর্বাচলের ৩০০ ফিট সড়কজুড়ে বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো সড়ক।
‘রাজনীতি’ : আরও খবর
