আত্মপ্রকাশের দশ মাসের মাথায় বৈষম্যবিরোধীদের গড়া দল জাতীয় নাগরিক পার্টিতে ফাটল/ভাঙন ধরেছে। দলটি থেকে একে একে পদত্যাগ করছেন কেন্দ্রীয় ও জ্যেষ্ঠ নেতারা। অনেকে আবার দলটির মনোনয়ন পেয়েও নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন জাতীয় নির্বাচন থেকে।
দল ছেড়েছেন জারা, তাজনূভা, মনিরাসহ অনেকে
‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’ শরিকদের মধ্যেও ফাটল
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আত্মপ্রকাশ করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলীয় সূত্র বলছে, জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জোটে যাওয়ার সিদ্ধান্তেই ভাঙন শুরু হয়েছে তারুণ্যনির্ভর দলটিতে।
জামায়াতের সঙ্গে জোট গঠন নিয়ে আপত্তি ছিল এনসিপির একটি অংশের। বিষয়টি জানিয়ে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ৩০ নেতা আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলামকে চিঠি দিয়েছেন, তাতে কাজ হয়নি। মূল নেতৃত্ব জামায়াতের সঙ্গে জোট গঠনের কাজ এগিয়ে নিচ্ছিল। এই প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতা দল থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।
বিষয়টি ব্যাপক আলোচনায় আসে এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারার পদত্যাগের ঘোষণায়। পেশায় চিকিৎসক জারা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একপর্যায়ে অতি পরিচিত মুখ হয়ে উঠেন। ঢাকা-৯ আসন থেকে এনসিপি তাকে মনোনয়ন দেয়।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন জমার সময় শেষ হবে আজ। গতকাল শনিবার তাসনিম জারা এনসিপি থেকে পদত্যাগ করে ঢাকা-৯ আসন থেকেই স্বতন্ত্র নির্বাচন করার ঘোষণা দেন। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোরগোল পড়ে যায়।
পরদিন রোববার পদত্যাগ করে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর ঘোষণা দেন এনসিপির আরেক নেত্রী তাজনূভা জাবীন। দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে ফেইসবুক পোস্টে তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। চিকিৎসক তাজনূভা এনসিপিতে যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্বে ছিলেন।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গত ১০ ডিসেম্বর ১২৫ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে এনসিপি। এর মধ্যে ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী হিসেবে তাসনূভা জাবীনের নাম ছিল। এ আসনে বিএনপি থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।
এদিকে রোববার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেইজবুকের এক পোস্টে নিজের পদত্যাগের ঘোষণা দেন নওগাঁ-৫ আসনে এনসিপির মনোনীত প্রার্থী মনিরা শারমিন। তিনি দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।
এর আগে, এনসিপির পদ ও সংসদ সদস্য প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়ান ফেনী-৩ আসনে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আবুল কাশেম। রোববার ফেইসবুকে ঘোষণা দিয়ে তিনি এ কথা জানান।
সম্প্রতি আরও কয়েকজন নেতা এনসিপি থেকে পদত্যাগ করেন। জামায়াতের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে দলটির আলোচনা শুরুর পর থেকেই দলে ভিন্নমত তৈরি হয়। ‘দল ও বড় অংশের নেতারা ভুল পথে আছে’ উল্লেখ করে এনসিপি থেকে সম্প্রতি পদত্যাগ করেন দলের যুগ্ম সদস্য সচিব মীর আরশাদুল হক। এর আগে দলটির আরও তিনজন কেন্দ্রীয় নেতা অনিক রায়, তুহিন খান এবং অলিক মৃ দলটি থেকে পদত্যাগ করেন।
তরুণদের দল এনসিপি নিয়ে দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যেও একটা প্রত্যাশা তৈরী হয়েছিল বলে মনে করেন পদত্যাগী এক নেতা। তাদের মতে, উপদেষ্টা পদ থেকে পদত্যাগ করে নাহিদ ইসলামের দলের দায়িত্ব নেয়ার ঘটনায় ওই প্রত্যাশা আরও বেড়ে যায়। অন্য দুই ছাত্র উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং মাহফুজ আলমের আরও আগে পদত্যাগ করে এনসিপিতে যোগ দিলে জনগণের কাছে দলের ভাবমূর্তি আরও বাড়তো বলে মনে করেন তিনি।
জামায়াতের জোটে
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জামায়াতের সঙ্গে এনসিপির জোট বাধার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসে তা নিশ্চিত করেন জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান। জামায়াত নেতৃত্বাধীন আট দলীয় জোটে এনসিপি ও লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) যোগ দেয়ার কথা জানান তিনি।
নির্বাচন সামনে রেখে গত ৭ ডিসেম্বর এনসিপি, এবি পার্টি ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মিলে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’ গঠন করে। জামায়াতের সঙ্গে জোট গঠনে এনসিপির সিদ্ধান্তে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’-এর শরিকদের মধ্যেও ফাটল ধরেছে।
আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মনজু জামায়াতের সঙ্গে জোটে রাজি থাকলেও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান হাসনাত কাইয়ুম জামায়াত, বিএনপি বা অন্য কোনো দলের সঙ্গে জোটের বিরোধিতা করেছেন।
গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট
গত শুক্রবার তোপখানা রোডে এক সংবাদ সম্মেলনে হাসনাত কাইয়ুম বলেন, এনসিপি ও এবি পার্টির জোটের বিষয়টি তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি। জোটের নামের সঙ্গে ‘গণতান্ত্রিক’ শব্দের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জামায়াত একটি অগণতান্ত্রিক ও ধর্মীয় ফ্যাসিবাদী শক্তি।’ তিনি আরও বলেন, ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট গঠিত হয়েছিল জামায়াত ও বিএনপির বাইরে স্বতন্ত্র অবস্থান তৈরির জন্য।’
এনসিপির অবস্থান
এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন গতকাল শনিবার রাতে এক বিবৃতিতে নির্বাচনী জোট নিয়ে দলের অবস্থান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘সর্বদলীয় সংলাপের সময় সংস্কার ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে অন্যান্য দলের মতপার্থক্য ছিল। কিন্তু এনসিপি, জামায়াত ও অন্যদের মধ্যে মূল বিষয়গুলোতে স্বাভাবিক মিল পাওয়া গেছে। ফলে রাষ্ট্র পুনর্গঠন ও সংস্কারের প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতেই জোট বা সমঝোতাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে দল।’
তাজনূভার পদত্যাগ
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনূভা জাবীন দল থেকে পদত্যাগের বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা তুলে ধরেন তার ফেইসবুক পোস্টে। তিনি লিখেন, ‘ভেবেছিলাম, জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার পর আমি পদত্যাগ দেবো। শেষ আশাই ছিলাম। কিন্তু রোববার সবাই নিশ্চিত করেছে এই জোটে সিল পরেছে। আর আবারও বলি, আমার পদত্যাগের কারণ যতটা না জোট তার চেয়ে বেশি যে প্রক্রিয়ায় জোট হয়েছে। অবিশ্বাস ও অনাস্থা মূল কারণ। দল অনেক বড় হয়ে স্টাবলিশ করতে পারলে অনেক কিছু বিবেচনা করে ছাড় দেয়া যেত কিন্তু গঠনের শুরুটাই নাকি আগে সংসদে যেতে হবে, তারপর ওই যে ক’জন এমপি বের হবে তাদের কেন্দ্র করে নাকি সংগঠন বড় হবে, কী একটা অবস্থা।’
চট্টগ্রামের মেয়ে তাজনূভা লিখেন, ‘আপনারা অনেকে ভাবছেন, হয়তো জামায়াতের সঙ্গে জোটে ঐতিহাসিক কারণ বা নারী বিষয়ের কারণে আমার আপত্তি। এর চেয়েও ভয়ংকর যে কারণ, সেটা হলো যে প্রক্রিয়ায় এটা হয়েছে। এটাকে রাজনৈতিক কৌশল, নির্বাচনী জোট ইত্যাদি লেবেল দেয়া হচ্ছে। আমি বলবো এটা পরিকল্পিত। এটাকে সাজিয়ে এ পর্যন্ত আনা হয়েছে। এটা আদর্শের চেয়েও অনেক বড়, সেটা হলো বিশ্বাস। মাত্র কিছুদিন আগে সমারোহে সারাদেশ থেকে মনোনয়ন সংগ্রহের ডাক দিয়ে ১২৫ জনকে মনোনয়ন দিয়ে ৩০ জনের জন্য সিট সমঝোতা করে বাকিদের নির্বাচন করতে দেয়া হবে না। এই সিদ্ধান্তে সিল মোহর বসানো হয়েছে। বিষয়টা ঠেলতে ঠেলতে একদম শেষ অবধি এনেছে যাতে কেউ স্বতন্ত্র নির্বাচনও করতে না পারে। আগামীকাল মনোনয়ন জমা দেয়ার শেষ তারিখ। আমার অবশ্য এই মুহূর্তে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার ইচ্ছা নাই। পুরো আগোছালো করে চোখের পলকে ডিসওউন করে দিয়েছে।’
*সিদ্ধান্ত এরকম ছিল না*
তিনি লিখেন, ‘বিভিন্ন পত্রিকায় নানান খবর প্রকাশিত হচ্ছে। আমি মনোনয়ন হারানোর ভয়ে জোটের বিরোধিতা করছি। আমি কিছুদিন আগে লিখেও ছিলাম আমার আসনে নেগোনিয়েশন হলে আমি নির্বাচন করবো না, যত কঠিন প্রতিপক্ষ হোক আমি ফাইট দেবো, দিলো না। তাদের গোষ্ঠীর ভাইরা তাদের পক্ষে দিস্তায় দিস্তায় লিখে ভরায় ফেলছে কেন আর কীভাবে এই জোট। কিন্তু কোনো জেনারেল ও ইসি মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত এরকম ছিল না জোট হলে বাকি আসনে প্রার্থীকে বসে যেতে হবে। আবার বাকি আসনগুলোতে জামায়াতের হয়ে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা করতে হবে। জামায়াতের সঙ্গে চরমোনাই পীরের ৭০টা আসনে সমঝোতা হচ্ছে। আর গণঅভ্যুত্থান থেকে জন্ম নেয়া দলের ৩০টা আসনে।’
কুমিল্লা মেডিকেল থেকে পড়াশোনা করা চিকিৎসক তাজনূভা লিখেন, ‘সবাই খুব বলছেন কালকে থেকে, রাজনীতি লম্বা, অনেক দূর যেতে হয়। একদম ঠিক। কিন্তু সেই নীতি এনসিপির নিজেরই নাই। নেতারা বিতর্কের পর বিতর্ক জন্ম দিয়ে সেটাকে বিপ্লব নাম দিয়েছে আর আমাদের মত যারা আসলেই এনসিপির নীতি ধারণ করেছি তাদের আবেগী লেবেল দেয়া হয়েছে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ঘোষণাপত্র থেকে শুরু করে সর্বশেষ ডেইলি স্টারের ডিবেটে বলা কথা শীর্ষ নেতারা কতটুকু ধারণ করে সময় মতো মিলিয়ে নিয়েন।’
তিনি লিখেন, ‘ওই পুরনো ফাঁকা বুলির রাজনীতি করতে হলে পুরনো দলই করতাম, নতুন কেন? এবার আবারও আসি, জামায়াতের সঙ্গে জোট প্রসঙ্গে, এনসিপি স্বতন্ত্র স্বকীয়তা নিয়ে দাঁড়িয়ে গেলে যে কারও সঙ্গে রাজনৈতিক জোটে অসুবিধা ছিল না। সেটা ৫ বছর পরে হতো, ঠিক প্রথম নির্বাচনেই কেন? কিন্তু আর সব অপশনকে ধীরে ধীরে রাজনীতি করে বাদ দেয়া হয়েছে যাতে জামায়াতের সঙ্গে জোট ছাড়া কোনো উপায় না থাকে। সুনিপুণভাবে এখানে এনে অনেককে জিম্মি করা হয়েছে। যাই হোক। এটা কোনো রাজনৈতিক কৌশল না, এটাই পরিকল্পনা।’
*আক্রমণের আশঙ্কা*
জামায়াত নেতৃত্বাধীন জোটে এনসিপি যাতে যোগ না দেয়, সেজন্য দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে গতকাল শনিবার যে চিঠি দেন ৩০ নেতা, সেখানে তাজনূভার জাবীনের নাম নেই। পদত্যাগের ঘোষণার সঙ্গে নিজের ক্ষোভ জানানো ফেইসবুক পোস্টের পর ‘অনেক আক্রমণ’ আসবে বলে আশঙ্কা করছেন তাজনূভা।
তিনি লিখেছেন, ‘আমার অনেক ব্যর্থতার ঢালি সাজানো হবে। চরিত্রহননের চেষ্টা হবে। কিন্তু নিজের কাছে নিশ্চিত। আমি এদের সঙ্গে রাজনীতি করতে এসেছিলাম, এদের বিরুদ্ধে না। আমার আজকে মনোনয়ন জমা দেয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ করার কথা, আর আমি এখানে বসে এসব লিখছি। জোট নাকি হবে দেড় মাসের, তারপর তারা মধ্যপন্থায় ব্যাক বাউন্স করবে, ট্রু। ব্যাক করে আবার দ্বিচারিতা, ভণ্ডামি শুরু করবে। যে জবাবদিহিতার কথা বলে এরা মুখে ফেনা তুলে, সেটা নিজেদের কেউ করলে তাকেই মাইনাস করে।’
এনসিপির প্রতিষ্ঠাতাকালীন সদস্য তাজনূভা জাবীন পোস্টে লিখেন, ‘এনসিপি শুরু থেকে যে গণপরিষদ, সেকেন্ড রিপাবলিক মধ্যপন্থার, নারী ও বিভিন্ন জাতিসত্তাকে নিয়ে রাজনীতি করার কথা বলছে- সেটা ধারণ করে যে কয়জন পার্টিতে ছিল তাদের মধ্যে আমি একজন। এই পার্টির একজন ফাউন্ডার মেম্বার আমি। স্বাভাবিকভাবেই ভীষণ মন খারাপ। কিন্তু এই দল ছেড়ে দেয়া ছাড়া আমার সামনে আর কোনো সম্মানজনক অপশন নাই। দলের খারাপ সময়ে দল ছেড়ে দিয়ে অরাজনৈতিক, অপরিপক্কতার পরিচয় ইত্যাদি বয়ান দিবে অনেকে। জাস্ট বুলশিট। শুধু এটুকু বলি, আমি বহিরাগত ওখানে, আমাকে প্রতারিত করলে মেইক সেন্স। কিন্তু এক শীর্ষ নেতা আরেক শীর্ষ নেতার সঙ্গে যে মাইনাসের রাজনীতি করে ওখানে সেটা ভয়ংকর। এরা নিজেদের মধ্যে রাজনীতি করতে এতো ব্যস্ত এরা কখনো দেশের জন্য নতুন একটা মধ্যপন্থার বাংলাদেশপন্থি রাজনীতি করতে পারবে না।’ সবার পাঠানো ‘ডোনেশনের’ টাকা ‘ধীরে ধীরে’ পরিশোধ করে দেবেন বলেও পোস্টে তুলে ধরেছেন তাসনূভা জাবীন।
*তাসনিম জারার পোস্ট*
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয় চিকিৎসক তাসনিম জারা এনসিপি গড়ার শুরু থেকে দলটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, দায়িত্ব পান দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিবের।
গতকাল শনিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেইজে এক পোস্টে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-৯ থেকে অংশ নেয়ার কথা জানিয়ে এই আসনের ভোটারদের উদ্দেশে লিখেন, ‘আমার স্বপ্ন ছিল একটি রাজনৈতিক দলের প্ল্যাটফর্ম থেকে সংসদে গিয়ে আমার এলাকার মানুষের ও দেশের সেবা করা। তবে বাস্তবিক প্রেক্ষাপটের কারণে আমি কোনো নির্দিষ্ট দল বা জোটের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি আপনাদের এবং দেশের মানুষকে ওয়াদা করেছিলাম যে, আপনাদের জন্য ও নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ার জন্য আমি লড়বো। পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, আমি আমার সেই ওয়াদা রক্ষা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তাই এই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-৯ থেকে অংশগ্রহণ করবো।’