জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা ও সাবেক উপদেষ্টা মাহফুজ আলম জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-তে যোগ না দেওয়ার পাশাপাশি জামায়াত-এনসিপির নির্বাচনী জোট থেকে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করেছেন। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে জামায়াত ও এনসিপির মধ্যে নির্বাচনী সমঝোতা ঘোষণার পর রোববার রাতে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
মাহফুজ আলম উল্লেখ করেন, নাগরিক কমিটি ও এনসিপি জুলাইয়ের সম্মুখসারির নেতৃত্বে গঠিত হয়েছিল বলে দেড় বছর ধরে তিনি সংগঠন দুটিকে পরামর্শ ও নীতিগত সহযোগিতা দিয়ে আসছিলেন। তবে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে তিনি এখন এনসিপির অংশ নন বলেই ঘোষণা দিলেন। তিনি স্বীকার করেন, তাঁকে জামায়াত-এনসিপি জোট থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু দীর্ঘদিনের নিজের অবস্থান ধরে রাখাকে তিনি ঢাকার কোনো আসনে ঐ জোটের প্রার্থী হওয়ার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন।
তিনি বলেন, নতুন রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক বন্দোবস্ত, ফ্যাসিবাদবিরোধী সাংস্কৃতিক লড়াই, সামাজিক ফ্যাসিবাদ মোকাবিলা ও পুনর্মিলনের মতো বিষয়গুলো তিনি এবং তাঁর জুলাই সহযোদ্ধারা বলেন, কিন্তু সেগুলো ধারণ করার প্রশ্নে বিভিন্নতা দেখা দিয়েছে। মাহফুজ আলমের মতে, এনসিপিকে জুলাইয়ের একটি বৃহৎ স্বতন্ত্র ছাতা হিসেবে গড়ে তোলার তাঁর সকল চেষ্টা বিভিন্ন কারণে সফল হয়নি।
বর্তমান সময়কে বাংলাদেশের জন্য একটি শীতল যুদ্ধের পর্যায় বলে অভিহিত করে মাহফুজ আলম বলেন, এই পর্বে কোনো পক্ষ না নিয়ে নিজের বক্তব্য ও নীতিতে অটল থাকাই উত্তম। তিনি দাবি করেন, বিকল্প ও মধ্যপন্থী তরুণ বা জুলাই শক্তির উত্থান আসন্ন এবং গত দেড় বছর যেসব নীতি ও বক্তব্য তিনি দিয়েছেন, তা রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে অব্যাহত রাখবেন। এজন্য তিনি অন্যদেরও তাঁর সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, জামায়াতের সঙ্গে এনসিপির এই নির্বাচনী সমঝোতার প্রতিবাদে ইতিমধ্যে এনসিপির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতা দল ছেড়েছেন অথবা সমঝোতার তীব্র বিরোধিতা করেছেন।