alt

মনোনয়ন দিতে বিএনপি নেতার নাম কেন্দ্রে

বিএনপি নেতা হচ্ছেন আওয়ামী লীগের নির্বাচন প্রার্থী

প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ : বৃহস্পতিবার, ০৭ অক্টোবর ২০২১

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা বিএনপির সহসভাপতি ছিলেন কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু। গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর দল থেকে তাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। বিএনপির বহিষ্কৃত এই নেতাই এবার আওয়ামী লীগের সমর্থনে ইউপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। আওয়ামী লীগের মনোনয়নের জন্য তার নামই কেন্দ্রে পাঠিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে তার পক্ষে জেলা নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ স্থানীয় নেতারা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, কুতুবপুর বিএনপি অধ্যুষিত এলাকা। এখানে গত তিনবারই আওয়ামী লীগের প্রার্থী হেরেছে। নৌকার প্রার্থী মাত্র ৫-১০ হাজার ভোট পায় এইখানে। এবার তৃণমূল সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টুকেই নৌকার মনোনয়ন দেওয়ার জন্য। দলীয় সিদ্ধান্তে একমাত্র তার নামই মনোনয়নের জন্য কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

২০১৮ সালের ডিসেম্বরে বহিষ্কার হওয়ার পর ২০১৯ সালে অনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে যোগ দেন বলে জানান মনিরুল আলম সেন্টু। তিনি আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য হয়েছেন। এর আগে তিনবার কুতুবপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। গতবার দলীয় প্রতীক থাকা সত্ত্বেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন মনিরুল আলম সেন্টু। ওই নির্বাচনে তিনি পেয়েছিলেন ৪৩ হাজার ভোট। তার বিপরীতে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী পেয়েছিলেন মাত্র ৯ হাজার ভোট। মনিরুল আলম সেন্টু বলেন, বিএনপিতে তিনি অবমূল্যায়নের শিকার হয়েছেন। সেই খেদ থেকেই আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন।

তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায় ভিন্ন কথা। আওয়ামী লীগের সাংসদ শামীম ওসমানের সংসদীয় এলাকায় বিএনপির সাবেক নেতাকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়ার সুপারিশ করায় নেতাদের উপর চরম ক্ষোভ রয়েছে তৃণমূলের। তবে এই ক্ষোভ প্রকাশের সুযোগ বা সাহস নেই তাদের। স্থানীয় সূত্র বলছে, সাবেক বিএনপি নেতা মনিরুল আলম সেন্টুর উপর নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ একেএম শামীম ওসমানের আশীর্বাদ রয়েছে।

বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকলেও বরাবরই শামীম ওসমানকে নেতা মেনেছেন সেন্টু। গত সংসদ নির্বাচনের পূর্বে শামীম ওসমানের কর্মীসভাতেও তার সরব উপস্থিতি ছিল। অভিযোগ রয়েছে, সাংসদের আশীর্বাদপুষ্ট বিএনপি নেতাকে জেতাতেই গত নির্বাচনগুলোতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ হটিয়ে বিএনপির প্রার্থীকে সুযোগ দেওয়ার এই কার্যক্রম বিগত নির্বাচনগুলোতে গোপনে হলেও এবার তা হচ্ছে প্রকাশ্য।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের বঞ্চিত করে বিএনপি নেতাকে আওয়ামী লীগের নৌকা দেওয়া হচ্ছে। কেননা কুতুবপুরে এবার মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রসুল শিকদার, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোস্তফা কামাল, সদস্য শাহ্ আলম গাজী টেনুসহ অনেকেই।

এদিকে কুতুবপুরে আওয়ামী লীগের দৈন্যদশায় উপহাস করছে বিএনপির নেতারাও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা বিএনপির এক নেতা বলেন, এক যুগেরও বেশি সময় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। অথচ কুতুবপুরে তাদের নিজস্ব কোনো প্রার্থী নেই। বিএনপির দলছুট নেতাকে নৌকার মনোনয়ন দিয়ে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে চাচ্ছে আওয়ামী লীগ।

এই বিষয়ে কথা বলতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদলের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা কল রিসিভ করেননি। তবে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী সংবাদকে বলেন, ‘ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ থেকে মনিরুল আলম সেন্টুর একক নাম এসেছে। ওই নাম আমরা জেলা আওয়ামী লীগের কাছে পাঠিয়েছি। তবে এই নামের বিপরীতে জেলা আওয়ামী লীগ আপত্তি জানিয়েছিল। পরে তারা নাম কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন কিনা জানি না।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন বলে শুনেছি। তবে তারা কেউই নাকি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাথে যোগাযোগ করেনি। তবে আমার মনে হয়, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এই ক্ষেত্রে ব্যর্থতার প্রমাণ দিয়েছে। চেয়ারম্যান প্রার্থীদের তারা উদ্বুদ্ধ করতে পারে নাই।’

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দলীয় লোক পাবে। বিএনপির নেতাকে নৌকার প্রার্থী দেওয়ার কোনো মানে নেই। স্থানীয় সাংসদের সমর্থন থাকায় বিএনপির নেতাকে নৌকার প্রার্থী বানানোর চেষ্টা চলছে। #

বিএনপির হাত ধরে বারবার গণতন্ত্র এসেছে: অ্যাটর্নি জেনারেল

বিএনপি থেকে ৫ শতাংশ শিক্ষককে মনোনয়ন দেয়ার দাবি

ছবি

নিবন্ধনের দাবিতে ১০০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অনশনে আমজনতার সদস্য সচিব

ছবি

সংবিধানে গণভোটের কিছু নেই: আমীর খসরু

ছবি

আগেই গণভোট, নইলে কঠোর আন্দোলন: জামায়াতসহ ৮ দলের হুঁশিয়ারি

ছবি

কারও দলীয় স্বার্থ বাস্তবায়ন করা এই সরকারের কাজ নয়: তারেক রহমান

ছবি

বিএনপি বলছে, প্রধান উপদেষ্টা আহ্বান জানালে ‘আলোচনায় রাজি’, তবে ‘রাজনৈতিক দল দিয়ে আহ্বান কেন?’

ছবি

জামালপুরে জামায়াত প্রার্থীর গণসংযোগে হামলার অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ যুবদলের বিরুদ্ধে

ছবি

বিএনপির আচরণে আওয়ামী লীগের ছায়া দেখছেন হামিদুর রহমান আযাদ

ছবি

বাংলাদেশে মানুষ সংঘর্ষ নয়, স্থিতিশীলতা চায়: আমীর খসরু

ছবি

৫ আগস্টের আগের স্বপ্ন ১৫ মাসেও পূরণ হয়নি: নুরুল হক

ছবি

যতই চালাকি হোক, আগে গণভোট, তারপর সংসদ নির্বাচন: তাহের

নতুন নামে ‘ফ্যাসিবাদ’ কায়েমের পাঁয়তারা চলছে: মুশতাক

ছবি

বিএনপির মনোনয়ন পেলেন আ’লীগের ‘ডোনার খ্যাত’ আনিসুল হক!

ছবি

রংপুরের দুই আসনে এনসিপি ও জামায়াতের মর্যাদার লড়াই

ছবি

জুলাই সনদে নোট অব ডিসেন্ট বলে কিছু থাকবে না: নাহিদ ইসলাম

ছবি

বাংলাদেশ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে জাতিসংঘে মোমেনের চিঠি

ছবি

অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপ ও গণভোট ইস্যুতে ফখরুলের কঠোর হুঁশিয়ারি

ছবি

শুক্রবার ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় সংহতি ও বিপ্লব দিবস’

ছবি

জাতীয়তাবাদী চেতনায় ঐক্যের আহ্বান বিএনপি নেতাদের

ছবি

আঙুল বাঁকা করার হুমকি জামায়াতের তাহেরের, কারণ ‘ঘি তাদের লাগবেই’

ছবি

গণতন্ত্রের পথ সরকারকেই সুগম করতে হবে, যশোরে মির্জা ফখরুল

ছবি

সংসদ নির্বাচনের দিনেই গণভোট হতে হবে: মির্জা ফখরুল

ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোট দাবিতে প্রয়োজনে ‘আঙ্গুল বাঁকা’ করার হুঁশিয়ারি  : জামায়াত নেতৃত্ব

ছবি

৯ রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা , জাতীয় সনদ ও গণভোটে দূরত্ব ঘোচানোর উদ্যোগ

ছবি

৩০০ আসনে প্রার্থী দেয়ার প্রস্তুতিতে এনসিপি, জোট না হলে সরাসরি লড়াই

ছবি

পদ ছেড়ে ‘ভোট করবেন’ অ্যাটর্নি জেনারেল, বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে ‘আশাবাদী’

ছবি

বিএনপিতে যোগ দিলেন শহীদ মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধ

মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপি নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ

ছবি

জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনীর সক্রিয় ভূমিকা ও পৃথক দিনে গণভোট চায় জামায়াতে ইসলামী

নীলফামারী ১ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা না করায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া

ছবি

বরিশাল বিভাগে একমাত্র নারী প্রার্থী ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টো

ছবি

শেষ নির্বাচন ঘোষণা দিয়ে আবেগঘন বার্তা দিলেন বিএনপি মহাসচিব

ছবি

প্রার্থী ঘোষণা: সিলেট বিএনপিতে অস্থিরতা

ছবি

চাঁদপুরে জাতীয় পার্টি ও জাতীয় জাসদ থেকে শতাধিক নেতাকর্মীর এনসিপিতে যোগদান

ছবি

বিএনপির মনোনয়ন ঘোষণার পর কোথাও আনন্দ, কোথাও বিক্ষোভ

tab

মনোনয়ন দিতে বিএনপি নেতার নাম কেন্দ্রে

বিএনপি নেতা হচ্ছেন আওয়ামী লীগের নির্বাচন প্রার্থী

প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ

বৃহস্পতিবার, ০৭ অক্টোবর ২০২১

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা বিএনপির সহসভাপতি ছিলেন কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু। গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর দল থেকে তাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। বিএনপির বহিষ্কৃত এই নেতাই এবার আওয়ামী লীগের সমর্থনে ইউপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। আওয়ামী লীগের মনোনয়নের জন্য তার নামই কেন্দ্রে পাঠিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে তার পক্ষে জেলা নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ স্থানীয় নেতারা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, কুতুবপুর বিএনপি অধ্যুষিত এলাকা। এখানে গত তিনবারই আওয়ামী লীগের প্রার্থী হেরেছে। নৌকার প্রার্থী মাত্র ৫-১০ হাজার ভোট পায় এইখানে। এবার তৃণমূল সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টুকেই নৌকার মনোনয়ন দেওয়ার জন্য। দলীয় সিদ্ধান্তে একমাত্র তার নামই মনোনয়নের জন্য কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

২০১৮ সালের ডিসেম্বরে বহিষ্কার হওয়ার পর ২০১৯ সালে অনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে যোগ দেন বলে জানান মনিরুল আলম সেন্টু। তিনি আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য হয়েছেন। এর আগে তিনবার কুতুবপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। গতবার দলীয় প্রতীক থাকা সত্ত্বেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন মনিরুল আলম সেন্টু। ওই নির্বাচনে তিনি পেয়েছিলেন ৪৩ হাজার ভোট। তার বিপরীতে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী পেয়েছিলেন মাত্র ৯ হাজার ভোট। মনিরুল আলম সেন্টু বলেন, বিএনপিতে তিনি অবমূল্যায়নের শিকার হয়েছেন। সেই খেদ থেকেই আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন।

তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায় ভিন্ন কথা। আওয়ামী লীগের সাংসদ শামীম ওসমানের সংসদীয় এলাকায় বিএনপির সাবেক নেতাকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়ার সুপারিশ করায় নেতাদের উপর চরম ক্ষোভ রয়েছে তৃণমূলের। তবে এই ক্ষোভ প্রকাশের সুযোগ বা সাহস নেই তাদের। স্থানীয় সূত্র বলছে, সাবেক বিএনপি নেতা মনিরুল আলম সেন্টুর উপর নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ একেএম শামীম ওসমানের আশীর্বাদ রয়েছে।

বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকলেও বরাবরই শামীম ওসমানকে নেতা মেনেছেন সেন্টু। গত সংসদ নির্বাচনের পূর্বে শামীম ওসমানের কর্মীসভাতেও তার সরব উপস্থিতি ছিল। অভিযোগ রয়েছে, সাংসদের আশীর্বাদপুষ্ট বিএনপি নেতাকে জেতাতেই গত নির্বাচনগুলোতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ হটিয়ে বিএনপির প্রার্থীকে সুযোগ দেওয়ার এই কার্যক্রম বিগত নির্বাচনগুলোতে গোপনে হলেও এবার তা হচ্ছে প্রকাশ্য।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের বঞ্চিত করে বিএনপি নেতাকে আওয়ামী লীগের নৌকা দেওয়া হচ্ছে। কেননা কুতুবপুরে এবার মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রসুল শিকদার, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোস্তফা কামাল, সদস্য শাহ্ আলম গাজী টেনুসহ অনেকেই।

এদিকে কুতুবপুরে আওয়ামী লীগের দৈন্যদশায় উপহাস করছে বিএনপির নেতারাও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা বিএনপির এক নেতা বলেন, এক যুগেরও বেশি সময় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। অথচ কুতুবপুরে তাদের নিজস্ব কোনো প্রার্থী নেই। বিএনপির দলছুট নেতাকে নৌকার মনোনয়ন দিয়ে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে চাচ্ছে আওয়ামী লীগ।

এই বিষয়ে কথা বলতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদলের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা কল রিসিভ করেননি। তবে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী সংবাদকে বলেন, ‘ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ থেকে মনিরুল আলম সেন্টুর একক নাম এসেছে। ওই নাম আমরা জেলা আওয়ামী লীগের কাছে পাঠিয়েছি। তবে এই নামের বিপরীতে জেলা আওয়ামী লীগ আপত্তি জানিয়েছিল। পরে তারা নাম কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন কিনা জানি না।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন বলে শুনেছি। তবে তারা কেউই নাকি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাথে যোগাযোগ করেনি। তবে আমার মনে হয়, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এই ক্ষেত্রে ব্যর্থতার প্রমাণ দিয়েছে। চেয়ারম্যান প্রার্থীদের তারা উদ্বুদ্ধ করতে পারে নাই।’

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দলীয় লোক পাবে। বিএনপির নেতাকে নৌকার প্রার্থী দেওয়ার কোনো মানে নেই। স্থানীয় সাংসদের সমর্থন থাকায় বিএনপির নেতাকে নৌকার প্রার্থী বানানোর চেষ্টা চলছে। #

back to top