image

সরকার ‘কাচের ঘরে’ বসে ‘লম্বা লম্বা’ কথা বলছে: মির্জা আব্বাস

শনিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২১
সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস মন্তব্য করেছেন, সরকার ‘কাচের ঘরে’ বসে ‘লম্বা লম্বা’ কথা বলছে।

দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় শনিবার এক দোয়া মাহফিলে একথা বলেন তিনি।

মির্জা আব্বাস বলেন, “এই যে যারা লম্বা লম্বা কথা বলে, যাদেরকে চিনতে গেলে সার্চ লাইট দিয়ে খুঁজতে হয়, এরা কারা? নাম কী, বাপের পরিচয় কী?

“আসেন না সাহস করে আমাদের সঙ্গে একটু রাস্তার মধ্যে হাঁটেন। আমরা দেখি, কতজন আমাদেরকে ফুল দেয়, আপনাদের গায়ে থু থু দেয়, এটা আমরা দেখব।”

“ওই সাহস তো আপনাদের হবে না। আপনারা ওই কাচের ঘরে বন্দি হয়ে লম্বা লম্বা কথা বলেছেন আর বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর অত্যাচার করছেন,” বলেন তিনি।

কুমিল্লার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মির্জা আব্বাস বলেন, “আমাদের সময় ছিল ৫০ হাজার পুলিশ। আর এখন ৫ লক্ষ পুলিশ বাংলাদেশে। কাকে পেটানোর জন্য?

“যদি ডাকাত ধরা না যায়, যদি ব্যাংক লুটেরাদের ধরা যায়, যদি চোর ধরা যায়, যদি খুনি ধরা না যায়, যদি পূজামন্ডপে হামলাকারীদের ধরা যায় যায় তাহলে এই পু্লিশের কাজ কী? বিএনপি ঠেকানো?”

“এটা বোধহয় বেশিদিন চলবে না। কারণ সমস্ত কিছু বিরুদ্ধে প্রতিরোধ একটা আছে, প্রতিরোধ ব্যবস্থা কিন্তু নিজ থেকে গড়ে উঠে, গড়াতে হয় না,” সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেন তিনি।

মির্জা আব্বাস বলেন, “আমরা পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, এই সমস্ত নোংরামী ছাড়েন। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আপনারা বহু পন্থ অবলম্বন করেছেন, বুহ খুন করেছেন, বুহ ‍গুম করেছেন, আমাদের বিএনপ-যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দল-ছাত্র দলের নেতা-কর্মীদের হয়রানির মাধ্যমে জেলখানা ভরে ফেলেছেন। আছে শুধু পুলিশ, আছে শুধু কোর্ট- এটা দিয়ে আপনারা টিকে আছেন।”

বর্তমান অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে বলে নেতা-কর্মীদের ‘নিশিরাতের সরকার’কে হটাতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান মির্জা আব্বাস।

নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ তলায় জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে বসুন্ধরা এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় এই দোয়া মাহফিল হয়।

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার প্রসঙ্গ টেনে মির্জা আব্বাস বলেন, “চিকিৎসকরা বলেছেন দেশনেত্রীর উন্নত চিকিৎসা দরকার। কিন্তু উনাকে উন্নত মানের চিকিৎসা দেবে না এই সরকার। তিলে তিলে উনাকে মেরে ফেলাই হলো সরকারের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যেই উনাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

“সরকারের আসল বিষয় হল উনাকে আটকিয়ে রাখা আর উনাকে তিলে তিলে কষ্ট দিয়ে হত্যা করা।”

ঢাকা উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ফখরুল ইসলাম রবিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক গাজী রেজওয়ানুল হোসেন রিয়াজের সঞ্চালনায় দোয়া মাহফিলপূর্ব আলোচনা সভায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসীন আলী, দক্ষিণের সভপতি এসএম জিলানী বক্তব্য রাখেন।

‘রাজনীতি’ : আরও খবর

» তারেক রহমানের দেশে ফেরা: ট্রাভেল পাস পেয়েছেন, নির্ধারিত তারিখে ফিরবেন বলে বিএনপি নিশ্চিত

» সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জোরেশোরে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি

সম্প্রতি