রাষ্ট্রপতির ক্ষমা নিয়ে খালেদা জিয়া বিদেশে চিকিৎসার জন্য যেতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি ক্ষমা করলেই তার দণ্ড মওকুফ হয়ে যায়। তখন তিনি স্বাধীনভাবে যেকোনো জায়গায় যেতে পারেন।

শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।

‘বিশ্ব সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও হলি আর্টিজান-মুম্বাই হামলা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ক্ষেত্রে বড় বাধা বিএনপি নিজেরাই। তারা যদি মনে করেন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার এখানে যথাযথ হচ্ছে না, উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়া দরকার, তাদের উচিত ছিল রাজনীতি না করে তার জীবন বাঁচানোর জন্য আইনের একটি পথই খোলা আছে, তারা মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন।

হানিফ বলেন, ‘বিএনপি খালেদা জিয়ার মুক্তি চায়, তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এটা সত্য। পাশাপাশি এটাও সত্য তিনি আদালত কর্তৃক একজন দণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদি। অতএব একটি দণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদি কারাগারে থাকা অবস্থায় যত সুযোগ-সুবিধা কারাবিধি অনুযায়ী সেটা তিনি পাবেন।’

খালেদা জিয়াকে ‘অত্যন্ত সৌভাগ্যবান’ উল্লেখ করে হানিফ বলেন, ‘উনি আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবতায় কারাবিধির বাইরে সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী তার সর্বোচ্চ ক্ষমতা ব্যবহার করেই বেগম খালেদা জিয়াকে বাইরে রেখেছেন।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি যে তাকে বিদেশে পাঠানোর জন্য দাবি তুলেছে এবং রেফারেন্স দিচ্ছে অযৌক্তিকভাবে যে— মহামান্য রাষ্ট্রপতি যদি বিদেশে যেতে পারেন, আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি ওবায়দুল কাদের যেতে পারেন, তাহলে বেগম খালেদা জিয়া পারবেন না কেন? বেগম খালেদা জিয়া পারবেন না এ কারণেই, কারণ মহামান্য রাষ্ট্রপতি কিংবা বাকিরা দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নন। অতএব দণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদি ছাড়া যেকোনো স্বাধীন নাগরিক তার ইচ্ছেমতো যেকোনো জায়গায় যেতে পারেন। এটা তুলনা করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।’

আয়োজন সংগঠনের সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময়ের সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাংবাদিক নেতা মনজুরুল আহসান বুলবুল প্রমুখ।