alt

খালেদাকে মুক্তি না দিলে কোটি মানুষ রাস্তায় নেমে আসবে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক: : রোববার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২১

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিলে কোটি কোটি মানুষ রাস্তায় নেমে আসবে বলে সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। নিজেদের বাঁচার স্বার্থে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।

রোববার (৫ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে যে মামলায় আপনারা সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন সেই মামলাটা একটা সাজানো মামলা।

সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে তাকে সাজা দিয়েছেন। যেখানে লোয়ার কোর্ট থেকে দিয়েছিল ৫ বছর সেখানে হাইয়ার কোর্টে গিয়ে ১০ বছর দিয়েছেন। এখানেই বোঝা যায়, আপনারা কীভাবে রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবহার করছেন। কীভাবে বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে আপনারা হরণ করছেন। প্রজাতন্ত্রের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ব্যবহার করছেন। কীভাবে সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণ করছেন, গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করছেন। সমগ্র রাষ্ট্রকে আপনারা একদলীয় রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন। খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছেন কোনো চিকিৎসা না করে।’

ফখরুল আরো বলেন, তিনি প্রায় ২ বছর কারাদন্ডে ছিলেন। একটি পরিত্যক্ত বাসায়। যখন কেন্দ্রীয় কারাগারকে শিফট করে কেরানীগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুরান ঢাকায় এই কারাগার তখন পরিত্যক্ত। পুরনো স্যাঁতস্যেঁতে ঘরের মধ্যে খালেদা জিয়াকে আটক রাখা হয়। সেখান থেকে যে অসুখ সৃষ্টি হয়েছে, তা এমন এক পর্যায়ে চলে গেছে এভারকেয়ার হাসপাতালে আমাদের যারা চিকিৎসক এবং অন্যান্য চিকিৎসক যারা আছেন, তারা বলছেন অতি দ্রুত খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য উন্নত দেশ আমেরিকা, যুক্তরাজ্য বা জার্মানিতে তার জীবন রক্ষা করা মুশকিল হয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া শুধু বিএনপি নেতা বলে আমরা কথা বলি না। শুধু যে আমাদের নেত্রী সে জন্য আমরা বলছি না। খালেদা জিয়া এই দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য, তাদের ভাত-কাপড়ের স্বাধীনতা দেওয়ার জন্য এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য তার যে আপসহীন ভূমিকা সে জন্য আজ সারা দেশের মানুষ তার মুক্তি চায়, সুচিকিৎসা চায় এবং চায় তিনি যেন আরও অনেক দিন বেঁচে থাকেন। খালেদা জিয়া আর বাংলাদেশের গণতন্ত্র একাকার। আজ তাকে বন্দি করে দেশে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে বন্দি করা হচ্ছে, গণতন্ত্রকে বন্দি করা হয়েছে। আজ তাকে হত্যার যে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে, সেই ষড়যন্ত্র দিয়ে বাংলাদেশের অস্তিত্বকে বিলীন করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের শ্রমিকরা দুবেলা দুমুঠো ভাত খেতে পারে না। চাকরির কোনো নিশ্চয়তা নেই। প্রত্যেকটা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আকাশচুম্বী হয়েছে। কারোনাকালে আমাদের অসংখ্য শ্রমিক ভাইদের চাকরিচ্যুতি হয়েছে। তাদের জন্য সরকার কোনো প্রণোদনার ব্যবস্থা করেনি। দুর্ভাগ্য আমাদের! যারা সরকারে আছেন তারা বড়লোক মানুষের কথা চিন্তা করেন। যাদের মিল আছে, ফ্যাক্টরি আছে তাদের প্রণোদনা দেন ভালো কথা। যারা এই মিল-ফ্যাক্টরিগুলো চালু রেখেছে, গাড়ির চাকা চালু রেখেছে তাদের কোনো প্রণোদনা দেননি। কারোনাকালে পরিবহন শ্রমিকদের প্রণোদনা দেননি বলে তারা রাস্তায় নেমে এসেছিল। দাবি করা হয়, আড়াই হাজার কোটি টাকা নাকি দিয়েছেন, কাকে দিয়েছেন? আপনার দলের নেতারা ভুয়া নাম লিখে সেই টাকা তুলে ফেলেছে।

আজ উন্নয়ন উন্নয়ন বলছেন, সাধারণ মানুষের কোনো উন্নয়ন হচ্ছে না। উড়াল সেতু, মেট্রোরেল হচ্ছে দরিদ্র মানুষ দরিদ্রই থেকে যাচ্ছে। সে জন্য আমরা পরিবর্তন চাই, দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতেই হবে সে জন্য বলছি না। এই সরকারকে সরাতে হবে। আমরা যুদ্ধ করেছিলাম আমার ভোট আমি দিতে পারবো না এই জন্য? আমি কথা বলতে পারবো না সেই জন্য? আমরা যুদ্ধ করেছিলাম মুক্ত বাংলাদেশ পাব, স্বাধীন বাংলাদেশ পাব। আজ ৫০ বছর পরে আমাদের সেই অধিকারগুলো নেই, বলেন ফখরুল।

সরকারের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, আপনাদের মন্ত্রীরা যে ভাষায় কথা বলছেন, কোনো সভ্য-সুস্থ মানুষ এই ভাষায় কথা বলতে পারে না। ওবায়দুল কাদের সাহেব, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাকে আমরা সম্মান করি, তাকে আমরা অবশ্যই শ্রদ্ধা করি। তিনি কখনোই বিএনপির ভূত ছাড়া কিছু দেখেন না। আপনারা বলেন, বিএনপি নাকি নেই। বিএনপি যদি না-ই থাকে বিএনপির স্বপ্ন দেখেন কেন এত? ছেলেরা রাস্তায় নেমেছে, আজ পত্রিকায় দেখলাম সরকারকে লাল কার্ড দেখিয়ে দিয়েছে। কেন রাস্তায় নেমেছে, কারণ আপনারা কোনো কথা রাখেন না। এর আগে যখন ছাত্রদের আন্দোলন হয়েছিল, তখন আপনারা বলেছিলেন সড়ককে সঠিকভাবে চালাবেন। সড়ক সঠিকভাবে চালাতে পারছেন না। বলেন, অ্যাক্সিডেন্ট হলো হঠাৎ করে এত লোক কোত্থেকে আসলো। আসলো তো আপনাদের ব্যর্থতার কারণে। মানুষের ক্ষোভ এমন জায়গায় পৌঁছে গেছে আপনারা কোনো কিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। এখন তো মানুষ বেরিয়ে আসবেই। এভাবেই যদি চলতে থাকেন, দেশনেত্রীকে মুক্ত না করেন তাহলে কোটি কোটি মানুষ রাস্তায় নেমে আসবে। আপনাদের বাঁচার স্বার্থে দেশনেত্রীকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসা করতে পাঠান। তা না হলে আপনারা পালানোর পথটাও খুঁজে পাবেন না।

ছবি

খালেদা জিয়ার ভাগ্নে শাহরিনকে আহ্বায়ক করে এইবির নতুন কমিটি

ছবি

নাশকতার দুই মামলা থেকে ফখরুল ও আব্বাসসহ ১০৬ জনকে অব্যাহতি

ছবি

এখন কার্যকর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়তে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে: মির্জা ফখরুল

ছবি

অভিন্ন দাবিতে তিন ইসলামী দলের যুগপৎ কর্মসূচি ঘোষণা

ছবি

যুগপতে পাঁচ দাবিতে জামায়াতের তিন দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা

ছবি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২৫ সনাতন যোগ দিলেন জামায়াতে

ছবি

তারেকের নিরাপত্তা নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে বাবরের আলোচনা

ছবি

যুগপতে কারা থাকছে ঠিক হয়নি, তবে খেলাফতের কর্মসূচি ঘোষণা

জামায়াতের আযাদ: মুক্তিযুদ্ধ না মানলে ‘বাংলাদেশ অস্বীকার করা হবে’

ছবি

জুলাই সনদের গেরো: এবার আদালতের মত নিতে বলল বিএনপি

ছবি

‘জুলাই সনদ’ স্বাক্ষরে রাজি বিএনপি, তবে আইনি ভিত্তি নিয়ে মতভেদ

ছবি

ডাকসু-জাকসু নির্বাচনে ‘মাস্টার প্ল্যান’ প্রশ্ন তুললেন রিজভী

ছবি

মৌলবাদীরা ‘বেহেশতের টিকেট’ বিক্রি করছে: বিএনপির গয়েশ্বর

ছবি

সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের দাবি

ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়নসহ ৫ দফা দাবিতে খেলাফত মজলিসের তিন দিনের কর্মসূচি

ছবি

সাবেক প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান এবার তুহিন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার

ছবি

রাষ্ট্রে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে বাস্তুতন্ত্রও নিরাপদ থাকবে: তারেক রহমান

ছবি

সরকার ও উপদেষ্টারা মাহফুজদের যথেচ্ছ ব্যবহার করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে: নাহিদ ইসলাম

ছবি

দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে পশু-পাখি ও বাস্তুতন্ত্রের অধিকার নিশ্চিত হবে: তারেক রহমান

ছবি

বসুন্ধরায় গোপন বৈঠক: ময়মনসিংহ জেলা আ.লীগ নেতার দোষ স্বীকার

ছবি

ঢাকার আগারগাঁওয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ‘নিষিদ্ধ’ আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিল

ছবি

আওয়ামী লীগ লুটপাট করে দেশকে দেউলিয়া করে দিয়েছে: মঈন খান

ছবি

ইসরায়েলের ওপর চাপ বাড়াতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি তারেকের আহ্বান

ছবি

বাংলাদেশের সংবিধানে শ্রমিক, জনতার অধিকার নিশ্চিত করা হয়নি: এনসিপি

ছবি

নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান: মিন্টু

ছবি

জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে: বিএনপি

ছবি

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে গাজীপুরে সমাবেশ ও গণমিছিল করেছে ইসলামিক আন্দোলন

ছবি

নির্বাচনের আগে পরিবেশ সৃষ্টি জরুরি: আনিসুল ইসলাম মাহমুদ

ছবি

সংবিধান সংশোধন: মৌলিক সংস্কার বাস্তবায়ন পদ্ধতিতে ভিন্নমত রাজনৈতিক দলগুলোর

ছবি

বর্তমান পরিস্থিতিতে জাতীয় নির্বাচন হলে দেশের সংকট আরও বাড়বে: আনিসুল ইসলাম

ছবি

‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়নে কোনো কিছু চাপিয়ে দেবে না কমিশন: আলী রীয়াজ

ছবি

ডাকসু জয়ে ছাত্র শিবিরকে অভিনন্দন পাকিস্তানের জামায়াতে ইসলামীর

ছবি

এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ পদত্যাগ ঘোষণা

ছবি

আ.লীগের সঙ্গে আঁতাত করে ছাত্রলীগের সব ভোট নিয়ে নিয়েছে শিবির : মির্জা আব্বাস

ছবি

ব্রিটিশ হাই কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জামায়াতে ইসলামের আমির

ছবি

ডাকসুতে জয়ীদের ব্যক্তিগত অভিনন্দন জানালেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ

tab

news » politics

খালেদাকে মুক্তি না দিলে কোটি মানুষ রাস্তায় নেমে আসবে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক:

রোববার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২১

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিলে কোটি কোটি মানুষ রাস্তায় নেমে আসবে বলে সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। নিজেদের বাঁচার স্বার্থে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।

রোববার (৫ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে যে মামলায় আপনারা সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন সেই মামলাটা একটা সাজানো মামলা।

সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে তাকে সাজা দিয়েছেন। যেখানে লোয়ার কোর্ট থেকে দিয়েছিল ৫ বছর সেখানে হাইয়ার কোর্টে গিয়ে ১০ বছর দিয়েছেন। এখানেই বোঝা যায়, আপনারা কীভাবে রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবহার করছেন। কীভাবে বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে আপনারা হরণ করছেন। প্রজাতন্ত্রের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ব্যবহার করছেন। কীভাবে সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণ করছেন, গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করছেন। সমগ্র রাষ্ট্রকে আপনারা একদলীয় রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন। খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছেন কোনো চিকিৎসা না করে।’

ফখরুল আরো বলেন, তিনি প্রায় ২ বছর কারাদন্ডে ছিলেন। একটি পরিত্যক্ত বাসায়। যখন কেন্দ্রীয় কারাগারকে শিফট করে কেরানীগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুরান ঢাকায় এই কারাগার তখন পরিত্যক্ত। পুরনো স্যাঁতস্যেঁতে ঘরের মধ্যে খালেদা জিয়াকে আটক রাখা হয়। সেখান থেকে যে অসুখ সৃষ্টি হয়েছে, তা এমন এক পর্যায়ে চলে গেছে এভারকেয়ার হাসপাতালে আমাদের যারা চিকিৎসক এবং অন্যান্য চিকিৎসক যারা আছেন, তারা বলছেন অতি দ্রুত খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য উন্নত দেশ আমেরিকা, যুক্তরাজ্য বা জার্মানিতে তার জীবন রক্ষা করা মুশকিল হয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া শুধু বিএনপি নেতা বলে আমরা কথা বলি না। শুধু যে আমাদের নেত্রী সে জন্য আমরা বলছি না। খালেদা জিয়া এই দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য, তাদের ভাত-কাপড়ের স্বাধীনতা দেওয়ার জন্য এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য তার যে আপসহীন ভূমিকা সে জন্য আজ সারা দেশের মানুষ তার মুক্তি চায়, সুচিকিৎসা চায় এবং চায় তিনি যেন আরও অনেক দিন বেঁচে থাকেন। খালেদা জিয়া আর বাংলাদেশের গণতন্ত্র একাকার। আজ তাকে বন্দি করে দেশে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে বন্দি করা হচ্ছে, গণতন্ত্রকে বন্দি করা হয়েছে। আজ তাকে হত্যার যে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে, সেই ষড়যন্ত্র দিয়ে বাংলাদেশের অস্তিত্বকে বিলীন করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের শ্রমিকরা দুবেলা দুমুঠো ভাত খেতে পারে না। চাকরির কোনো নিশ্চয়তা নেই। প্রত্যেকটা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আকাশচুম্বী হয়েছে। কারোনাকালে আমাদের অসংখ্য শ্রমিক ভাইদের চাকরিচ্যুতি হয়েছে। তাদের জন্য সরকার কোনো প্রণোদনার ব্যবস্থা করেনি। দুর্ভাগ্য আমাদের! যারা সরকারে আছেন তারা বড়লোক মানুষের কথা চিন্তা করেন। যাদের মিল আছে, ফ্যাক্টরি আছে তাদের প্রণোদনা দেন ভালো কথা। যারা এই মিল-ফ্যাক্টরিগুলো চালু রেখেছে, গাড়ির চাকা চালু রেখেছে তাদের কোনো প্রণোদনা দেননি। কারোনাকালে পরিবহন শ্রমিকদের প্রণোদনা দেননি বলে তারা রাস্তায় নেমে এসেছিল। দাবি করা হয়, আড়াই হাজার কোটি টাকা নাকি দিয়েছেন, কাকে দিয়েছেন? আপনার দলের নেতারা ভুয়া নাম লিখে সেই টাকা তুলে ফেলেছে।

আজ উন্নয়ন উন্নয়ন বলছেন, সাধারণ মানুষের কোনো উন্নয়ন হচ্ছে না। উড়াল সেতু, মেট্রোরেল হচ্ছে দরিদ্র মানুষ দরিদ্রই থেকে যাচ্ছে। সে জন্য আমরা পরিবর্তন চাই, দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতেই হবে সে জন্য বলছি না। এই সরকারকে সরাতে হবে। আমরা যুদ্ধ করেছিলাম আমার ভোট আমি দিতে পারবো না এই জন্য? আমি কথা বলতে পারবো না সেই জন্য? আমরা যুদ্ধ করেছিলাম মুক্ত বাংলাদেশ পাব, স্বাধীন বাংলাদেশ পাব। আজ ৫০ বছর পরে আমাদের সেই অধিকারগুলো নেই, বলেন ফখরুল।

সরকারের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, আপনাদের মন্ত্রীরা যে ভাষায় কথা বলছেন, কোনো সভ্য-সুস্থ মানুষ এই ভাষায় কথা বলতে পারে না। ওবায়দুল কাদের সাহেব, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাকে আমরা সম্মান করি, তাকে আমরা অবশ্যই শ্রদ্ধা করি। তিনি কখনোই বিএনপির ভূত ছাড়া কিছু দেখেন না। আপনারা বলেন, বিএনপি নাকি নেই। বিএনপি যদি না-ই থাকে বিএনপির স্বপ্ন দেখেন কেন এত? ছেলেরা রাস্তায় নেমেছে, আজ পত্রিকায় দেখলাম সরকারকে লাল কার্ড দেখিয়ে দিয়েছে। কেন রাস্তায় নেমেছে, কারণ আপনারা কোনো কথা রাখেন না। এর আগে যখন ছাত্রদের আন্দোলন হয়েছিল, তখন আপনারা বলেছিলেন সড়ককে সঠিকভাবে চালাবেন। সড়ক সঠিকভাবে চালাতে পারছেন না। বলেন, অ্যাক্সিডেন্ট হলো হঠাৎ করে এত লোক কোত্থেকে আসলো। আসলো তো আপনাদের ব্যর্থতার কারণে। মানুষের ক্ষোভ এমন জায়গায় পৌঁছে গেছে আপনারা কোনো কিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। এখন তো মানুষ বেরিয়ে আসবেই। এভাবেই যদি চলতে থাকেন, দেশনেত্রীকে মুক্ত না করেন তাহলে কোটি কোটি মানুষ রাস্তায় নেমে আসবে। আপনাদের বাঁচার স্বার্থে দেশনেত্রীকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসা করতে পাঠান। তা না হলে আপনারা পালানোর পথটাও খুঁজে পাবেন না।

back to top