alt

আইভী, নৌকা, তৈমুর এবং শামীম ওসমান

ফয়েজ আহমেদ তুষার : শনিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২২

রোববার (১৬ জানুয়ারি) দিন শেষে জানা যাবে, কে হচ্ছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নতুন মেয়র। এবার ভোটের লড়াইয়ে সাতজন থাকলেও নির্বাচনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তৈমুর-আইভী ছিলেন আলোচনায়। এদিকে প্রার্থী না হয়েও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।

প্রচারণার শুরুর দিকে আইভী-তৈমুরের ভোটের সমীকরণ ছিল একরকম। তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপির জাতীয় ও স্থানীয় রাজনীতির প্রভাবে পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গেছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর চেয়ে ব্যক্তি আইভী বেশি জনপ্রিয়, এমনটাই বলছেন সাধারণ মানুষ। অনেক ক্ষেত্রে ‘নৌকা’ প্রতীক তার জন্য প্রতিবন্ধক হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। তারা বলছেন, নগরজুড়ে স্থানীয় প্রভাবশালী এক জনপ্রতিনিধির কর্মী-সমর্থকদের জোর-জুলুমের কারণে এই এলাকায় ‘নৌকা’ অনেকটাই অজনপ্রিয় হয়ে উঠেছে; যার প্রভাব নাসিক ভোটেও পড়তে পারে।

আবার কিছু লোক বলছেন, আইভীর জন্য ‘নৌকা’ রাজনীতির চরম ও পরম প্রাপ্তি। তাদের মতে, ‘নৌকা’ প্রতীক না পেলে নারায়ণগঞ্জে আইভীর কর্মী-সমর্থক এবং অনুসারীদের অস্তিত্ব সংকটে পড়তে পারত।

স্থানীয় অনেকের মতে, নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের মধ্যে বিভাজন দৃশ্যমান। শামীম ওসমান এবং আইভীর মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত দ্বন্দ্ব চলমান। যার প্রভাবে দুজনের কর্মী-সমর্থক এবং অনুসারীরাও বিভক্ত। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ের একাধিক নেতা নানা প্রচেষ্টায় একটা ঐক্যমতের চেষ্টা করলেও, তা ভোটের ফলাফলে খুব একটা কাজ করবে না বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রভাবশালী নেতা তৈমুর আলম খন্দকার। যাকে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির ‘ডিসিশন মেকার’ও বলা হয়। কেন্দ্রীয় নির্দেশ অমান্য করে মেয়র প্রার্থী হয়ে হারিয়েছেন সব পদ-পদবি। দলের সমর্থন নেই, এমন অজুহাতে জেলা বিএনপির দাপুটে নেতারা তৈমুরের পাশে নেই। ‘ধানের শীষ’ না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রতীক ‘হাতি’ নিয়ে নির্বাচন করছেন। কেন্দ্রীয় নির্দেশ অমান্যকারী তৈমুরকে ভোট দেয়া ঠিক হবে কি-না, এমন প্রশ্নে তৃণমূল বিএনপির কর্মী-সমর্থকরাও দ্বিধা-দ্বন্দ্বে আছেন।

শনিবার (১৫ জানুয়ারি) সরেজমিন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে কথা হয় স্থানীয় অনেকের সঙ্গে। সবার মুখে শুধু তৈমুর-আইভীর আলাপ। বাকি পাঁচ মেয়র প্রার্থীর মধ্যে হাতপাখা প্রতীকের প্রচারণা সাধারণ মানুষের নজরে পড়েছে। এই প্রতীকে মাঠে আছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাওলানা মো. মাছুম বিল্লাহ। বাড়ি বাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার চর লহনীয়া গ্রামে। থাকেন নগরীর নবাব ছলিমুল্লাহ রোডে। ৩৯ বছর বয়সী, উচ্চ শিক্ষিত, পেশায় ব্যবসায়ী এই প্রার্থীর নামে কোন মামলা নেই। স্থানীয় অনেকের মতে, হাতপাখার কিছু রিজার্ভ ভোট আছে। ‘চরমোনাই’ পীরের মুরিদ যারা নাসিকে আছেন তাদের অধিকাংশ ভোট হাতাপাখায় পড়বে। অন্য চার প্রার্থী খেলাফত মজলিসের এবিএম সিরাজুল মামুন (দেয়ালঘড়ি), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন (বটগাছ), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলামের (ঘোড়া) প্রচারণা খুবই সীমিত।

এবিএম সিরাজুল মামুন নগরীর জামতলার বাসিন্দা। ইংরেজিতে এমএ করা এই প্রার্থী একটি প্রাইভেট কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা করেন। তার এক ছাত্র রহমান বললেন, স্যার তো চমৎকার ইংরেজি পড়াতেন। খুবই জনপ্রিয় টিচার। অনেক বছর যোগাযোগ নেই। হঠাৎ কি মনে করে মেয়র ভোটে দাঁড়ালেন, বুঝতে পারলাম না। শহরে তার কিছু পোস্টার চোখে পড়লেও ওয়ার্ড পর্যায়ে তেমন প্রচারণা নেই।

জসীম উদ্দিন একজন প্রকৌশলী। তার নামেও কোন মামলা নেই। স্থানীয়দের মতে, দলের (খেলাফত আন্দোলন) অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে তিনি মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন।

এদিকে পেশায় ব্যবসায়ী মাধ্যমিক পাস রাশেদ ফেরদৌদের বাড়ি সোনারাগাঁ উপজেলায়। থাকেন নগরীর আল্লামা ইকবাল রোডে। তার নামেও কোন মামলা নেই। কল্যাণ পার্টির কেন্দ্রীয় নির্দেশে ভোটে দাঁড়িয়েছেন।

নগরীর উকিলপাড়ার বাসিন্দা স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম প্রার্থী হয়েছেন অনেকটা শখের বশে। এমন তথ্য জানালেন চাষাড়া শহীদ মিনারে আড্ডারত স্থানীয় কয়েকজন শিক্ষার্থী। স্বতন্ত্র এই প্রার্থী সম্পর্কে সজীব নামের একজন বললেন, মেয়র প্রার্থী হয়ে পোস্টার ছাপিয়ে নগরীতে একটা পরিচয় পেয়েছেন। এই যে সাংবাদিকরা তার তথ্য জানতে চাচ্ছেন। টিভিতে দেখাচ্ছে। বলতে পারেন ‘ফেইস ভ্যালু’ বাড়াতেই তার প্রার্থী হওয়া।

মেয়র কে হবেন? এমন প্রশ্নের জবাতে তিনি বলেন, ‘আইভী আওয়ামী লীগের একটি অংশের ভোট পাবেন না, এটা নিশ্চিত। তবে সাধারণ মানুষের একটা বিরাট অংশ তার পক্ষে। আমার মনে হয়, তৈমুর আলম স্থানীয় বিএনপির প্রথম সারির নেতাদের ভোট না পেলেও তৃণমূল নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ভোট পাবেন। বড় কথা হলো, অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট হতে হবে। এরপর রেজাল্ট কি হয়... যেহেতু সব ভোট ইভিএমে, আশা করি বেশি সময় অপেক্ষায় থাকতে হবে না।’

ছবি

ঢাকায় আজ জামায়াতসহ ৭ দলের বিক্ষোভ মিছিল

ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে সাংবিধানিক আদেশ ও গণভোট প্রশ্নে দ্বিধাবিভক্ত রাজনৈতিক দলগুলো

ছবি

রাজশাহীতে এনসিপি নেত্রীর আকস্মিক পদত্যাগ

ছবি

জামায়াতসহ কয়েক দলের যুগপৎ আন্দোলনের জবাব রাজপথেই দেবে বিএনপি: সালাহউদ্দিন

ছবি

খালেদা জিয়ার ভাগ্নে শাহরিনকে আহ্বায়ক করে এইবির নতুন কমিটি

ছবি

নাশকতার দুই মামলা থেকে ফখরুল ও আব্বাসসহ ১০৬ জনকে অব্যাহতি

ছবি

এখন কার্যকর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়তে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে: মির্জা ফখরুল

ছবি

অভিন্ন দাবিতে তিন ইসলামী দলের যুগপৎ কর্মসূচি ঘোষণা

ছবি

যুগপতে পাঁচ দাবিতে জামায়াতের তিন দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা

ছবি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২৫ সনাতন যোগ দিলেন জামায়াতে

ছবি

তারেকের নিরাপত্তা নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে বাবরের আলোচনা

ছবি

যুগপতে কারা থাকছে ঠিক হয়নি, তবে খেলাফতের কর্মসূচি ঘোষণা

জামায়াতের আযাদ: মুক্তিযুদ্ধ না মানলে ‘বাংলাদেশ অস্বীকার করা হবে’

ছবি

জুলাই সনদের গেরো: এবার আদালতের মত নিতে বলল বিএনপি

ছবি

‘জুলাই সনদ’ স্বাক্ষরে রাজি বিএনপি, তবে আইনি ভিত্তি নিয়ে মতভেদ

ছবি

ডাকসু-জাকসু নির্বাচনে ‘মাস্টার প্ল্যান’ প্রশ্ন তুললেন রিজভী

ছবি

মৌলবাদীরা ‘বেহেশতের টিকেট’ বিক্রি করছে: বিএনপির গয়েশ্বর

ছবি

সংরক্ষিত নারী আসনে সরাসরি নির্বাচনের দাবি

ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়নসহ ৫ দফা দাবিতে খেলাফত মজলিসের তিন দিনের কর্মসূচি

ছবি

সাবেক প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান এবার তুহিন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার

ছবি

রাষ্ট্রে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে বাস্তুতন্ত্রও নিরাপদ থাকবে: তারেক রহমান

ছবি

সরকার ও উপদেষ্টারা মাহফুজদের যথেচ্ছ ব্যবহার করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে: নাহিদ ইসলাম

ছবি

দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে পশু-পাখি ও বাস্তুতন্ত্রের অধিকার নিশ্চিত হবে: তারেক রহমান

ছবি

বসুন্ধরায় গোপন বৈঠক: ময়মনসিংহ জেলা আ.লীগ নেতার দোষ স্বীকার

ছবি

ঢাকার আগারগাঁওয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ‘নিষিদ্ধ’ আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিল

ছবি

আওয়ামী লীগ লুটপাট করে দেশকে দেউলিয়া করে দিয়েছে: মঈন খান

ছবি

ইসরায়েলের ওপর চাপ বাড়াতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি তারেকের আহ্বান

ছবি

বাংলাদেশের সংবিধানে শ্রমিক, জনতার অধিকার নিশ্চিত করা হয়নি: এনসিপি

ছবি

নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান: মিন্টু

ছবি

জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে: বিএনপি

ছবি

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে গাজীপুরে সমাবেশ ও গণমিছিল করেছে ইসলামিক আন্দোলন

ছবি

নির্বাচনের আগে পরিবেশ সৃষ্টি জরুরি: আনিসুল ইসলাম মাহমুদ

ছবি

সংবিধান সংশোধন: মৌলিক সংস্কার বাস্তবায়ন পদ্ধতিতে ভিন্নমত রাজনৈতিক দলগুলোর

ছবি

বর্তমান পরিস্থিতিতে জাতীয় নির্বাচন হলে দেশের সংকট আরও বাড়বে: আনিসুল ইসলাম

ছবি

‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়নে কোনো কিছু চাপিয়ে দেবে না কমিশন: আলী রীয়াজ

ছবি

ডাকসু জয়ে ছাত্র শিবিরকে অভিনন্দন পাকিস্তানের জামায়াতে ইসলামীর

tab

আইভী, নৌকা, তৈমুর এবং শামীম ওসমান

ফয়েজ আহমেদ তুষার

শনিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২২

রোববার (১৬ জানুয়ারি) দিন শেষে জানা যাবে, কে হচ্ছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নতুন মেয়র। এবার ভোটের লড়াইয়ে সাতজন থাকলেও নির্বাচনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তৈমুর-আইভী ছিলেন আলোচনায়। এদিকে প্রার্থী না হয়েও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।

প্রচারণার শুরুর দিকে আইভী-তৈমুরের ভোটের সমীকরণ ছিল একরকম। তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপির জাতীয় ও স্থানীয় রাজনীতির প্রভাবে পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গেছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর চেয়ে ব্যক্তি আইভী বেশি জনপ্রিয়, এমনটাই বলছেন সাধারণ মানুষ। অনেক ক্ষেত্রে ‘নৌকা’ প্রতীক তার জন্য প্রতিবন্ধক হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। তারা বলছেন, নগরজুড়ে স্থানীয় প্রভাবশালী এক জনপ্রতিনিধির কর্মী-সমর্থকদের জোর-জুলুমের কারণে এই এলাকায় ‘নৌকা’ অনেকটাই অজনপ্রিয় হয়ে উঠেছে; যার প্রভাব নাসিক ভোটেও পড়তে পারে।

আবার কিছু লোক বলছেন, আইভীর জন্য ‘নৌকা’ রাজনীতির চরম ও পরম প্রাপ্তি। তাদের মতে, ‘নৌকা’ প্রতীক না পেলে নারায়ণগঞ্জে আইভীর কর্মী-সমর্থক এবং অনুসারীদের অস্তিত্ব সংকটে পড়তে পারত।

স্থানীয় অনেকের মতে, নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের মধ্যে বিভাজন দৃশ্যমান। শামীম ওসমান এবং আইভীর মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত দ্বন্দ্ব চলমান। যার প্রভাবে দুজনের কর্মী-সমর্থক এবং অনুসারীরাও বিভক্ত। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ের একাধিক নেতা নানা প্রচেষ্টায় একটা ঐক্যমতের চেষ্টা করলেও, তা ভোটের ফলাফলে খুব একটা কাজ করবে না বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রভাবশালী নেতা তৈমুর আলম খন্দকার। যাকে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির ‘ডিসিশন মেকার’ও বলা হয়। কেন্দ্রীয় নির্দেশ অমান্য করে মেয়র প্রার্থী হয়ে হারিয়েছেন সব পদ-পদবি। দলের সমর্থন নেই, এমন অজুহাতে জেলা বিএনপির দাপুটে নেতারা তৈমুরের পাশে নেই। ‘ধানের শীষ’ না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রতীক ‘হাতি’ নিয়ে নির্বাচন করছেন। কেন্দ্রীয় নির্দেশ অমান্যকারী তৈমুরকে ভোট দেয়া ঠিক হবে কি-না, এমন প্রশ্নে তৃণমূল বিএনপির কর্মী-সমর্থকরাও দ্বিধা-দ্বন্দ্বে আছেন।

শনিবার (১৫ জানুয়ারি) সরেজমিন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে কথা হয় স্থানীয় অনেকের সঙ্গে। সবার মুখে শুধু তৈমুর-আইভীর আলাপ। বাকি পাঁচ মেয়র প্রার্থীর মধ্যে হাতপাখা প্রতীকের প্রচারণা সাধারণ মানুষের নজরে পড়েছে। এই প্রতীকে মাঠে আছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাওলানা মো. মাছুম বিল্লাহ। বাড়ি বাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার চর লহনীয়া গ্রামে। থাকেন নগরীর নবাব ছলিমুল্লাহ রোডে। ৩৯ বছর বয়সী, উচ্চ শিক্ষিত, পেশায় ব্যবসায়ী এই প্রার্থীর নামে কোন মামলা নেই। স্থানীয় অনেকের মতে, হাতপাখার কিছু রিজার্ভ ভোট আছে। ‘চরমোনাই’ পীরের মুরিদ যারা নাসিকে আছেন তাদের অধিকাংশ ভোট হাতাপাখায় পড়বে। অন্য চার প্রার্থী খেলাফত মজলিসের এবিএম সিরাজুল মামুন (দেয়ালঘড়ি), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন (বটগাছ), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলামের (ঘোড়া) প্রচারণা খুবই সীমিত।

এবিএম সিরাজুল মামুন নগরীর জামতলার বাসিন্দা। ইংরেজিতে এমএ করা এই প্রার্থী একটি প্রাইভেট কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা করেন। তার এক ছাত্র রহমান বললেন, স্যার তো চমৎকার ইংরেজি পড়াতেন। খুবই জনপ্রিয় টিচার। অনেক বছর যোগাযোগ নেই। হঠাৎ কি মনে করে মেয়র ভোটে দাঁড়ালেন, বুঝতে পারলাম না। শহরে তার কিছু পোস্টার চোখে পড়লেও ওয়ার্ড পর্যায়ে তেমন প্রচারণা নেই।

জসীম উদ্দিন একজন প্রকৌশলী। তার নামেও কোন মামলা নেই। স্থানীয়দের মতে, দলের (খেলাফত আন্দোলন) অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে তিনি মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন।

এদিকে পেশায় ব্যবসায়ী মাধ্যমিক পাস রাশেদ ফেরদৌদের বাড়ি সোনারাগাঁ উপজেলায়। থাকেন নগরীর আল্লামা ইকবাল রোডে। তার নামেও কোন মামলা নেই। কল্যাণ পার্টির কেন্দ্রীয় নির্দেশে ভোটে দাঁড়িয়েছেন।

নগরীর উকিলপাড়ার বাসিন্দা স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম প্রার্থী হয়েছেন অনেকটা শখের বশে। এমন তথ্য জানালেন চাষাড়া শহীদ মিনারে আড্ডারত স্থানীয় কয়েকজন শিক্ষার্থী। স্বতন্ত্র এই প্রার্থী সম্পর্কে সজীব নামের একজন বললেন, মেয়র প্রার্থী হয়ে পোস্টার ছাপিয়ে নগরীতে একটা পরিচয় পেয়েছেন। এই যে সাংবাদিকরা তার তথ্য জানতে চাচ্ছেন। টিভিতে দেখাচ্ছে। বলতে পারেন ‘ফেইস ভ্যালু’ বাড়াতেই তার প্রার্থী হওয়া।

মেয়র কে হবেন? এমন প্রশ্নের জবাতে তিনি বলেন, ‘আইভী আওয়ামী লীগের একটি অংশের ভোট পাবেন না, এটা নিশ্চিত। তবে সাধারণ মানুষের একটা বিরাট অংশ তার পক্ষে। আমার মনে হয়, তৈমুর আলম স্থানীয় বিএনপির প্রথম সারির নেতাদের ভোট না পেলেও তৃণমূল নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ভোট পাবেন। বড় কথা হলো, অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট হতে হবে। এরপর রেজাল্ট কি হয়... যেহেতু সব ভোট ইভিএমে, আশা করি বেশি সময় অপেক্ষায় থাকতে হবে না।’

back to top