alt

আ’লীগ ক্ষমতায় থাকলে নির্বাচনে যাবে না বিএনপি

ফয়েজ আহমেদ তুষার : রোববার, ০৮ মে ২০২২

আগামী জাতীয় নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করতে প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপির অংশগ্রহণ জরুরি বলে মনে করছে আওয়ামী লীগ। এজন্য ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে নানা প্রতিশ্রুতি দেয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, ‘ইভিএমে নির্বাচন হবে, নির্বাচন ফেয়ার হবে। বিএনপির সভা-সমাবেশে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোন বাধা থাকবে না।’

তবে বিএনপি বলছে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন দিলে, সে নির্বাচনে তারা অংশ নেবে না।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রোববার (৭ মে) রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আমাদের কথা পরিষ্কার, আওয়ামী লীগ সরকার পদত্যাগ না করলে, সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করলে নির্বাচনের কোন প্রশ্নই উঠতে পারে না।’

তবে বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইভিএমে হবে। নির্বাচন ফেয়ার (নিরপেক্ষ) হবে।’ তাই ‘নিরপেক্ষ ভোট’ নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলামকে ‘দুশ্চিন্তা’ না করার পরমর্শ দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।

তবে বিএনপি মহাসচিবের জবাব, ‘ইভিএম তো পরে, ইলেকশনেই তো আমরা যাব না যদি শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকেন।’

নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছিল। বিএনপিবিহীন ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলেও নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে প্রশ্ন ছিল।

পরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অধীনে একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয় বিএনপি। তবে নির্বাচনে ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে ‘ব্যাপক ভোট জালিয়াতির’ অভিযোগ তোলে দলটি। এই পরিপ্রেক্ষিতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ফের নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তুলেছে বিএনপি।

আর শনিবার (৭ মে) গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদে সভায় দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিকে আনার ব্যাপারে ‘আগ্রহ দেখিয়েছেন’ বলে জানান দলের সাধারণ সম্পাদক।

সভার বরাত দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী খোলা মনে বলেছেন, সব দল নির্বাচনে আসুক। সব দলকে নিয়েই আমরা ভোট করতে চাই। বিএনপিসহ সব দলকে নিয়ে ভোট করতে চাই। নির্বাচন ফেয়ার হবে নিশ্চয়তা দিচ্ছি।’

তবে বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ যে কথা বলে কোন দিন, কখনো তা তারা রাখে না। এটা হচ্ছে তাদের চরিত্র। তারা ভদ্রলোকের মতো কথা বলে, গণতন্ত্রের কথা বলে। তারা সভা-সমাবেশ তো দূরের কথা, একটা মিলাদ করতেও দেয় না, ঈদ পুনর্মিলনীতে আক্রমণ করে।’ আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে ভালো কিছু প্রত্যাশা করা যায় না বলেও মন্তব্য তার।

তাই বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ছাড়া বিএনপির নির্বাচনের যাওয়ার প্রশ্নই উঠতে পারে না, মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি মনে করি, কোন কথাই হবে না যতক্ষণ না আওয়ামী লীগ সরকার পদত্যাগ করে। পরবর্তী নির্বাচন সম্পর্কে আমাদের কথা পরিষ্কার, আওয়ামী লীগ সরকার পদত্যাগ না করলে, সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করলে, নির্বাচনের কোন প্রশ্নই উঠতে পারে না।’

‘তবে বিএনপি যাই বলুক, এবার নির্বাচনে আসবে। না হলে দলটি অস্তিত্ব সংকটে পড়বে’ বলে মনে করছেন ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা বলব তাদের নির্বাচনে আসতে। যদিও এটি বলা উচিত না। নির্বাচনে আসা তাদের অধিকার। এটা সুযোগের ব্যাপার না। তারা দেশের একটি বড় দল হিসেবে রাজনীতির আঙিনায় আছেন।’

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় একাধিক নেতার মতে, বিএনপি এবারের নির্বাচনে না আসলে, নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গণে নানা প্রশ্ন উঠবে। তাই বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে ক্ষমতাসীনদের প্রচেষ্টা অব্যহত থাকবে। তবে এজন্য ‘নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ ইস্যুতে আপোষ হবে না বলেও জানান তারা। আওয়ামী লীগের সম্পাদকমন্ডলীর এক সদস্য বলেন, বিএনপিকে তো আর জোর করে নির্বাচনে আনা যাবে না। বিএনপি নির্বাচনে না এলেও যথাসময়ে নির্বাচন হবে। নির্বাচন সংবিধান অনুযায়িই হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নেয়ার কোন সুযোগ নেই।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনে (নবম সংসদ নির্বাচন) জয়লাভের পর টানা তিন মেয়াদে ১৩ বছরের বেশি ক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ। আগামী ডিসেম্বরে বা জানুয়ারির শুরুতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

ছবি

শেষ নির্বাচন ঘোষণা দিয়ে আবেগঘন বার্তা দিলেন বিএনপি মহাসচিব

ছবি

প্রার্থী ঘোষণা: সিলেট বিএনপিতে অস্থিরতা

ছবি

চাঁদপুরে জাতীয় পার্টি ও জাতীয় জাসদ থেকে শতাধিক নেতাকর্মীর এনসিপিতে যোগদান

ছবি

বিএনপির মনোনয়ন ঘোষণার পর কোথাও আনন্দ, কোথাও বিক্ষোভ

ছবি

জামায়াত ‘যথাসময়ে’ চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা দেবে: শফিকুর রহমান

ছবি

জাতিসংঘকে নির্বাচনি সহায়তা স্থগিতের আহ্বান জানিয়েছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ

ছবি

মাদারীপুর-১ আসনে কামাল জামান মোল্লার মনোনয়ন স্থগিত করেছে বিএনপি

ছবি

দিনাজপুর-৬ আসনে বিএনপির প্রার্থী ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন

ছবি

বরগুনার দু’টি আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন নজরুল ও মনি

ছবি

কুড়িগ্রামে ৪টি আসনের বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা, নেতাকর্মীদের মাঝে উচ্ছ্বাস

ছবি

কুড়িগ্রামে ৪টি আসনের বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা, নেতাকর্মীদের মাঝে উচ্ছ্বাস

ছবি

নাসিরনগর বিএনপি প্রার্থী এমএ হান্নান

ছবি

সিরাজগঞ্জে বিএনপি ও জামায়াতের দলীয় মনোনায়ন পেয়ে প্রচারণায় নেমেছে

ছবি

কুড়িগ্রাম-৪ আসনে বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থী আপন দুই ভাইকে নিয়ে আলোচনার ঝড়

ছবি

রাজবাড়ী-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম

ছবি

নরসিংদীর ৪টি আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন যারা

ছবি

শেরপুর থেকে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন যারা

ছবি

জয়পুরহাটে বিএনপির দুই প্রার্থী মাসুদ রানা ও আব্দুল বারী

ছবি

সিলেট বিএনপির প্রার্থী লুনা

ছবি

কিশোরগঞ্জের ৪টি আসনের বিএনপির প্রার্থীতা ঘোষণা

ছবি

কবিরহাটে ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার চালকসহ ছয়জন নিহত

ছবি

মেহেরপুরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও সড়ক অবরোধ

ছবি

এই নির্বাচন হয়তো আমার জীবনের শেষ” : মির্জা ফখরুল

ছবি

২৩৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা, তিন আসনে খালেদা জিয়া, একটিতে তারেক

ছবি

তিন দলকে নিবন্ধন দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন

ছবি

গণভোট নিয়ে সংলাপ চায় জামায়াতসহ ৮ দল, ইউনূসকে রেফারি হওয়ার প্রস্তাব বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি

ছবি

সীতাকুণ্ডে মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপি নেতার সমর্থকদের মহাসড়ক অবরোধ

ছবি

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন: ৫ শতাংশ আসনে নারী প্রার্থী দিচ্ছে বিএনপি

ছবি

জন্মভূমি দিনাজপুরে ভোটের ময়দানে খালেদা জিয়া

ঢাকার ২০ আসনের মধ্যে ১৩টিতে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা

ছবি

২৩৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী তালিকা : কে কোথায়

জনতা ব্যাংকের ১,৯৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিং: সালমান এফ রহমানসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের পাঁচ মামলা

ছবি

জুলাই সনদ ও গণভোট নিয়ে সংলাপের আহ্বান ধর্মভিত্তিক আট দলের

ছবি

শত্রুরা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা চলছে: ফখরুল

গায়েবি মামলার ঝড়ে বিধ্বস্ত, রাজনৈতিক আক্রোশের শিকার: ট্রাইব্যুনালে ইনু

ছবি

সিপিবি নেতাকে দ্রুত বিচার আইন ও বিভিন্ন মামলায় বাসদের ২২ নেতাকর্মী কারাগারে

tab

আ’লীগ ক্ষমতায় থাকলে নির্বাচনে যাবে না বিএনপি

ফয়েজ আহমেদ তুষার

রোববার, ০৮ মে ২০২২

আগামী জাতীয় নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করতে প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপির অংশগ্রহণ জরুরি বলে মনে করছে আওয়ামী লীগ। এজন্য ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে নানা প্রতিশ্রুতি দেয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, ‘ইভিএমে নির্বাচন হবে, নির্বাচন ফেয়ার হবে। বিএনপির সভা-সমাবেশে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোন বাধা থাকবে না।’

তবে বিএনপি বলছে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন দিলে, সে নির্বাচনে তারা অংশ নেবে না।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রোববার (৭ মে) রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আমাদের কথা পরিষ্কার, আওয়ামী লীগ সরকার পদত্যাগ না করলে, সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করলে নির্বাচনের কোন প্রশ্নই উঠতে পারে না।’

তবে বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইভিএমে হবে। নির্বাচন ফেয়ার (নিরপেক্ষ) হবে।’ তাই ‘নিরপেক্ষ ভোট’ নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলামকে ‘দুশ্চিন্তা’ না করার পরমর্শ দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।

তবে বিএনপি মহাসচিবের জবাব, ‘ইভিএম তো পরে, ইলেকশনেই তো আমরা যাব না যদি শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকেন।’

নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছিল। বিএনপিবিহীন ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলেও নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে প্রশ্ন ছিল।

পরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অধীনে একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয় বিএনপি। তবে নির্বাচনে ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে ‘ব্যাপক ভোট জালিয়াতির’ অভিযোগ তোলে দলটি। এই পরিপ্রেক্ষিতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ফের নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তুলেছে বিএনপি।

আর শনিবার (৭ মে) গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদে সভায় দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিকে আনার ব্যাপারে ‘আগ্রহ দেখিয়েছেন’ বলে জানান দলের সাধারণ সম্পাদক।

সভার বরাত দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী খোলা মনে বলেছেন, সব দল নির্বাচনে আসুক। সব দলকে নিয়েই আমরা ভোট করতে চাই। বিএনপিসহ সব দলকে নিয়ে ভোট করতে চাই। নির্বাচন ফেয়ার হবে নিশ্চয়তা দিচ্ছি।’

তবে বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ যে কথা বলে কোন দিন, কখনো তা তারা রাখে না। এটা হচ্ছে তাদের চরিত্র। তারা ভদ্রলোকের মতো কথা বলে, গণতন্ত্রের কথা বলে। তারা সভা-সমাবেশ তো দূরের কথা, একটা মিলাদ করতেও দেয় না, ঈদ পুনর্মিলনীতে আক্রমণ করে।’ আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে ভালো কিছু প্রত্যাশা করা যায় না বলেও মন্তব্য তার।

তাই বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ছাড়া বিএনপির নির্বাচনের যাওয়ার প্রশ্নই উঠতে পারে না, মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি মনে করি, কোন কথাই হবে না যতক্ষণ না আওয়ামী লীগ সরকার পদত্যাগ করে। পরবর্তী নির্বাচন সম্পর্কে আমাদের কথা পরিষ্কার, আওয়ামী লীগ সরকার পদত্যাগ না করলে, সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর না করলে, নির্বাচনের কোন প্রশ্নই উঠতে পারে না।’

‘তবে বিএনপি যাই বলুক, এবার নির্বাচনে আসবে। না হলে দলটি অস্তিত্ব সংকটে পড়বে’ বলে মনে করছেন ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা বলব তাদের নির্বাচনে আসতে। যদিও এটি বলা উচিত না। নির্বাচনে আসা তাদের অধিকার। এটা সুযোগের ব্যাপার না। তারা দেশের একটি বড় দল হিসেবে রাজনীতির আঙিনায় আছেন।’

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় একাধিক নেতার মতে, বিএনপি এবারের নির্বাচনে না আসলে, নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গণে নানা প্রশ্ন উঠবে। তাই বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে ক্ষমতাসীনদের প্রচেষ্টা অব্যহত থাকবে। তবে এজন্য ‘নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ ইস্যুতে আপোষ হবে না বলেও জানান তারা। আওয়ামী লীগের সম্পাদকমন্ডলীর এক সদস্য বলেন, বিএনপিকে তো আর জোর করে নির্বাচনে আনা যাবে না। বিএনপি নির্বাচনে না এলেও যথাসময়ে নির্বাচন হবে। নির্বাচন সংবিধান অনুযায়িই হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নেয়ার কোন সুযোগ নেই।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনে (নবম সংসদ নির্বাচন) জয়লাভের পর টানা তিন মেয়াদে ১৩ বছরের বেশি ক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ। আগামী ডিসেম্বরে বা জানুয়ারির শুরুতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

back to top