দুষ্কৃতকারীদের গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলার আদেশ দিয়েছিলেন নোয়াখালী-১ (চাটখিল ও সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম। তার সেই বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে খবর প্রকাশের পর তিনি নিজের অবস্থান থেকে সরে এসেছেন। আর এখন তিনি এর জন্য দুষছেন গণমাধ্যমকে।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি শোকসভায় গিয়ে বিচারবহির্ভূত হত্যার পক্ষে দেওয়া বক্তব্যকে ‘ভুল–বোঝাবুঝি’ হিসেবে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের এই আইনপ্রণেতা।
শুক্রবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সংসদ সদস্য ইব্রাহিমের বক্তৃতার ৫৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এতে সংসদ সদস্য ইব্রাহিমকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি হুকুম দিয়া দিচ্ছি, এই সমস্ত দুষ্কৃতকারীদের গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেললে কিছু হবে না। আপনারা যদি পারেন, আপনারা গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলেন। যদি কেউ আসামি করে, আমি মামলার ১ নম্বর আসামি হব। যে আমি হুকুম দিয়ে গেছি, এটা আমি আপনাদের কথা দিয়ে গেলাম।’
গতকাল রোববার রাত সোয়া ১১টার দিকে এ বিষয়ে ফেইসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। সেখানে ওই বক্তব্য ‘দেওয়া ঠিক হয়নি’ জানিয়ে এর জন্য ‘ক্ষমা’ চান সংসদ সদস্য ইব্রাহিম।
ইব্রাহিম এমপি তার ফেইসবুকে লিখেছেন, ‘প্রিয় চাটখিল-সোনাইমুড়ীবাসি। আসসালামু আলাইকুম। গত দুই-তিন দিন থেকে আমার একটি বক্তব্য বিভিন্ন মিডিয়ায় কাটছাঁট করে উপস্থাপনের মাধ্যমে সংবাদ পরিবেশন করা হচ্ছে। আমার মূল বক্তব্যটি ছিল ১৩ মিনিট ৫৫ সেকেন্ডের। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের কোথাও ৫৫ সেকেন্ড, কোথাও আবার ১ মিনিট ২০ সেকেন্ডের ভিডিও তৈরি করে প্রকাশ করা হয়েছে। ফলে বিভিন্ন সচেতন মহলে ব্যাপক মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।’
এমপি ইব্রাহিম তার পোস্টে আরও লেখেন, ‘ওই দিন আমি আমার বক্তব্যের মাধ্যমে মূলত বোঝাতে চেয়েছি, আমি নিজে কোনো সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, চোর, ডাকাত, মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীকে আশ্রয়–প্রশ্রয় দিই না। তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নিতে আমি ওই বক্তব্যের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদেরও নির্দেশনা দিয়েছি এবং উপস্থিত জনসাধারণকে জনমত তৈরি করে এই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে আহ্বান জানিয়েছি এবং বলেছি, এতে করে কোনো সন্ত্রাসী মারা গেলে আমি ১ নম্বর আসামি হব, তবুও সমাজে শান্তি–শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে।’
সংসদ সদস্য ইব্রাহিম ফেসইবুক পোস্টে আরও লেখেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকার কোনো মানুষ যখন তার কোনো অভিযোগ আমাকে জানায়, তখন মানুষ হিসেবে এটার প্রভাব আমার মাঝেও আসে। আর সে ক্ষেত্রে আবেগপ্রবণ হয়ে অসাবধানতাবশত কিছু কথা মুখ দিয়ে বের হয়ে গিয়েছে। একজন আইনপ্রণেতা হিসেবে আমার হয়তো আবেগপ্রবণ হয়ে এভাবে বক্তব্যটি দেওয়া ঠিক হয়নি।’
আইনপ্রণেতা হিসেবে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল জানিয়ে এইচ এম ইব্রাহিম ফেইসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন, যে ‘ভুল–বোঝাবুঝির’ সৃষ্টি হয়েছে, তার জন্য তিনি ‘আন্তরিকভাবে দুঃখিত’।
Shahriar Karim
সোমবার, ০৯ মে ২০২২
দুষ্কৃতকারীদের গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলার আদেশ দিয়েছিলেন নোয়াখালী-১ (চাটখিল ও সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম। তার সেই বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে খবর প্রকাশের পর তিনি নিজের অবস্থান থেকে সরে এসেছেন। আর এখন তিনি এর জন্য দুষছেন গণমাধ্যমকে।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি শোকসভায় গিয়ে বিচারবহির্ভূত হত্যার পক্ষে দেওয়া বক্তব্যকে ‘ভুল–বোঝাবুঝি’ হিসেবে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের এই আইনপ্রণেতা।
শুক্রবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সংসদ সদস্য ইব্রাহিমের বক্তৃতার ৫৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এতে সংসদ সদস্য ইব্রাহিমকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি হুকুম দিয়া দিচ্ছি, এই সমস্ত দুষ্কৃতকারীদের গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেললে কিছু হবে না। আপনারা যদি পারেন, আপনারা গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলেন। যদি কেউ আসামি করে, আমি মামলার ১ নম্বর আসামি হব। যে আমি হুকুম দিয়ে গেছি, এটা আমি আপনাদের কথা দিয়ে গেলাম।’
গতকাল রোববার রাত সোয়া ১১টার দিকে এ বিষয়ে ফেইসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। সেখানে ওই বক্তব্য ‘দেওয়া ঠিক হয়নি’ জানিয়ে এর জন্য ‘ক্ষমা’ চান সংসদ সদস্য ইব্রাহিম।
ইব্রাহিম এমপি তার ফেইসবুকে লিখেছেন, ‘প্রিয় চাটখিল-সোনাইমুড়ীবাসি। আসসালামু আলাইকুম। গত দুই-তিন দিন থেকে আমার একটি বক্তব্য বিভিন্ন মিডিয়ায় কাটছাঁট করে উপস্থাপনের মাধ্যমে সংবাদ পরিবেশন করা হচ্ছে। আমার মূল বক্তব্যটি ছিল ১৩ মিনিট ৫৫ সেকেন্ডের। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের কোথাও ৫৫ সেকেন্ড, কোথাও আবার ১ মিনিট ২০ সেকেন্ডের ভিডিও তৈরি করে প্রকাশ করা হয়েছে। ফলে বিভিন্ন সচেতন মহলে ব্যাপক মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।’
এমপি ইব্রাহিম তার পোস্টে আরও লেখেন, ‘ওই দিন আমি আমার বক্তব্যের মাধ্যমে মূলত বোঝাতে চেয়েছি, আমি নিজে কোনো সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, চোর, ডাকাত, মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীকে আশ্রয়–প্রশ্রয় দিই না। তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নিতে আমি ওই বক্তব্যের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদেরও নির্দেশনা দিয়েছি এবং উপস্থিত জনসাধারণকে জনমত তৈরি করে এই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে আহ্বান জানিয়েছি এবং বলেছি, এতে করে কোনো সন্ত্রাসী মারা গেলে আমি ১ নম্বর আসামি হব, তবুও সমাজে শান্তি–শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে।’
সংসদ সদস্য ইব্রাহিম ফেসইবুক পোস্টে আরও লেখেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকার কোনো মানুষ যখন তার কোনো অভিযোগ আমাকে জানায়, তখন মানুষ হিসেবে এটার প্রভাব আমার মাঝেও আসে। আর সে ক্ষেত্রে আবেগপ্রবণ হয়ে অসাবধানতাবশত কিছু কথা মুখ দিয়ে বের হয়ে গিয়েছে। একজন আইনপ্রণেতা হিসেবে আমার হয়তো আবেগপ্রবণ হয়ে এভাবে বক্তব্যটি দেওয়া ঠিক হয়নি।’
আইনপ্রণেতা হিসেবে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল জানিয়ে এইচ এম ইব্রাহিম ফেইসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন, যে ‘ভুল–বোঝাবুঝির’ সৃষ্টি হয়েছে, তার জন্য তিনি ‘আন্তরিকভাবে দুঃখিত’।
Shahriar Karim