alt

নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব, ফের গণ্ডগোলে পণ্ড সন্ধানী’র কমিটি গঠন

এক পক্ষকে আরেক পক্ষের বাধা, ভোট বন্ধ, ভবনে তালা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : বুধবার, ১১ মে ২০২২

নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে পাল্টাপাল্টি কমিটি ঘোষণায় অচল হয়ে পড়া স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সন্ধানীর ভোট আবারো বাগবিতণ্ডা, হাতাহাতিতে পণ্ড হয়ে গেলো। সমস্যা সমাধানে গতকাল ভোটের দিন নির্ধারণ করেছিল সন্ধানীর দ্বন্দ্ব নিরসন ‘বিশেষ কমিটি’। কিন্তু দুই পক্ষের কর্মকাণ্ডে পাঁচ মাস ধরে কার্যত অচল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সন্ধানী ভবনে আবারো তালা পড়লো।

আগামী ১৫ মে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের কথা থাকলেও বিশেষ কারণে তারিখে এগিয়ে এনে গতকাল নির্ধারণ করা হয়। কথা ছিল রাজধানী ঢাকায় সব ইউনিটের বৈধ প্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনার পর ভোটের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হবে ।

সন্ধানী সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর নীলক্ষেতে সন্ধানী ভবনে এ ভোটের আয়োজন করা হয়। গতকাল বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ভোট দেয়া যাবে এবং তারপরই ফল প্রকাশ করার সব প্রস্তুতিও নেয়া হয়।

সন্ধানীর ৩৪টি ইউনিটের মধ্যে ২০টি ইউনিট থেকে তিনজন করে ভোটার অংশগ্রহণ করার কথা ছিল। বাকি ১৪টি ইউনিটের সদস্যরা ভোটার হওয়ার শর্ত পূরণ করতে না পারায় ভোট দিতে পারবেন না বলে আগেই জানিয়ে দেয়া হয়েছিল।

কিন্তু অতীতের মতো গতকালও সকালে সন্ধানী ভবনে একপক্ষ অবস্থান নিয়ে অন্য পক্ষকে ঢুকতে দেয়নি। এরপর কমিটির সহায়তায় তারা ভবনে প্রবেশ করে। পরে দুই পক্ষকে নিয়ে অচল অবস্থা নিরসন কমিটি মিটিংয়ে বসলে শুরু হয় বাগবিতণ্ডা। এক পর্যায়ে উত্তপ্ত কথাবার্তায় হাতাহাতিতে লিপ্ত হয় দুই পক্ষ। পরে একপক্ষ ভোট বর্জন করে বের হয়ে যায়। এ সময় অনেকের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখা যায় বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক চিকিৎসক সংবাদকে জানান।

হাই পাওয়ার কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটু সংবাদকে বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আইনগতভাবে পর্যালোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

সন্ধানীর উপদেষ্টা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব নিরসনে উপদেষ্টাদের পক্ষ থেকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি একটি মিটিং ডাকা হয়। সেখানে নানা আলোচনা ও পরামর্শের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) শিশু সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. তোসাদ্দেক হোসেন সিদ্দিকী জামালের নেতৃত্বে ১৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি হাইপাওয়ার কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটিতে সদস্য-সচিব করা হয় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ইএনটি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটুকে। এছাড়া কমিটির প্রধান উপদেষ্টা করা হয় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে।

কমিটিতে বিএসএমএমইউর সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, অধ্যাপক ডা. এ কে এম সালেক, সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না, বিএসএমএমইউর ট্রেজারার অধ্যাপক ডা. মো. আলী আসগর মোড়ল, সন্ধানীর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য অধ্যাপক ডা. মোশাররফ হোসেন মুক্ত, ডা. আবদুল কাইয়ুমকে সদস্য করা হয়েছিল।

পাল্টাপাল্টি অনিয়মের অভিযোগ আনায় গত ৭ ফেব্রুয়ারি উপদেষ্টা কমিটির মিটিংয়ে দুই কমিটিই স্থগিত ঘোষণা করে। এ সময় পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত দুই কমিটি কেন্দ্রীয় সন্ধানীর ব্যানারে কোন সভা, প্রচারণা বা কর্মসূচি পালন করতে পারবে না বলে জানানো হয়। তবে শুধু রক্তদান ও ত্রাণ কর্মসূচি চলমান থাকবে। এমনকি কমিটি স্থগিত থাকাকালীন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় অফিস উপদেষ্টা পরিষদের চক্ষুদান সমিতির তত্ত্বাবধানে চলবে।

স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান আন্দোলনের পথিকৃৎ হয়ে ওঠা সন্ধানীর এই প্রথম এমন অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে একাধিক সূত্র জানায়।

বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, এই দ্বন্দ্বের মূল কারণ ক্ষমতা। সন্ধানীর কমিটিতে থাকলে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে যাওয়া যায় সহজেই। সন্ধানীর সঙ্গে দেশের প্রভাবশালী ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের যোগাযোগ নিবিড় হওয়ায় তদবির বাণিজ্য থেকে শুরু করে সরকারের বিভিন্ন মহলে প্রবেশের সুযোগ করা যায়। ক্ষমতা কুক্ষিগত করতেই এই দ্বন্দ্ব বলে অনেকেই মনে করছেন।

সিনিয়র সন্ধানীয়ান অচল অবস্থা নিরসন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মো. তোসাদ্দেক হোসেন সিদ্দিকী জামাল, সদস্য-সচিব অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটু, বিএসএমএমইউর সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, অধ্যাপক ডা. এ কে এম সালেক, সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না, বিএসএমএমইউর ট্রেজারার অধ্যাপক ডা. মো. আলী আসগর মোড়ল, সন্ধানীর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য অধ্যাপক ডা. মোশাররফ হোসেন মুক্ত, ডা. আব্দুল কাইয়ুম উপস্থিত ছিলেন।

দেশের স্বাস্থ্য খাতের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সন্ধানী। ১৯৭৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে যাত্রা শুরু হয় সংগঠনটির। ধীরে ধীরে দেশে স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান আন্দোলনের পথিকৃৎ হয়ে ওঠে সংগঠনটি। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ অর্জন করে স্বাধীনতা পদক।

ছবি

ভবিষ্যতে প্রশ্ন উঠতে পারে, এমন কিছুতে যাওয়া ঠিক হবে না: সালাহউদ্দিন আহমদ

ছবি

‘আপত্তিকর মন্তব্যের’ অভিযোগ, পুবাইল থানার ওসির শাস্তি দাবি জামায়াতের

পিএসসি স্বায়ত্তশাসন চাইলেও জনপ্রশাসন ‘গুম চালায়’: হাসনাত

ছবি

জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নেয়া মানেই আওয়ামী লীগ নির্বাচনে: আখতার

ছবি

‘জোট করলেও ভোট দলীয় প্রতীকে’: বিএনপির আপত্তি, ইসিকে চিঠি

ছবি

সংসদ নির্বাচন ঘিরে নিরাপত্তা ও পরিবেশ নিয়ে খোঁজ নিল কমনওয়েলথ প্রতিনিধি দল

ছবি

দেশের অশান্তি সৃষ্টির জন্য বিদেশ থেকে অর্থ পাঠানো হচ্ছে: অলি আহমদ

ছবি

দলগুলোর মধ্যে ‘কোনো বিভেদ নেই’: আমীর খসরু

ছবি

শফিকের বিরুদ্ধে ‘আপত্তিকর মন্তব্যের’ অভিযোগ, পুবাইল থানার ওসির শাস্তি দাবি জামায়াতের

ছবি

আরপিও সংশোধনে আপত্তি বিএনপির: জোটবদ্ধ দলগুলোর প্রতীকে ভোটের সুযোগ রাখার দাবি

ছবি

সনদ বাস্তবায়নে বিএনপির বাধা, নির্বাচনকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

ছবি

‘জুলাই সনদে স্বাক্ষরকারী’ দলগুলোর ঐক্য চান ফখরুল

ছবি

অভিযুক্ত উপদেষ্টারা থাকলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে: আমীর খসরু

ছবি

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ‘আদেশ প্রস্তুত করছে’ কমিশন, অগ্রগতি হিসেবে দেখছে এনসিপি

ছবি

অবাধ নির্বাচনের দাবি, অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্দলীয়ভাবে পুনর্গঠনের আহ্বান সিপিবির

ছবি

নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নষ্টের অভিযোগ: ইসলামী আন্দোলন

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জুলাই সনদ বাস্তবায়নের খসড়া প্রস্তুত করছে: এনসিপি

ছবি

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে জুলাই সনদভুক্ত দলগুলোকে ঐক্যের আহ্বান মির্জা ফখরুলের

ছবি

৭ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করলো বিএনপি

ছবি

দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে: ডা. জাহিদ হোসেন

ছবি

পাটওয়ারীর পদত্যাগের খবর, এনসিপির অস্বীকার

ছবি

শাহবাগে এনসিপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত এক

ছবি

মেহমান চেয়ারম্যান, এমপি চাই না, নিজেও হবো না: আসাদুজ্জামান রিপন

ছবি

২০০ আসনে বিএনপির প্রার্থীরা এ মাসেই ‘গ্রিন সিগন্যাল’ পাচ্ছেন

ছবি

দ্বিতীয় পদ্মা সেতু হলে দৌলতদিয়ার মাটি সোনায় পরিণত হবে : খৈয়ম

ছবি

আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কোনও সুযোগ নেই: শফিকুল আলম

ছবি

‘ভুল’ হয়ে থাকলে শর্তহীনভাবে ক্ষমা চাই: শফিকুর রহমান

ছবি

আলোচনা সভায় বক্তারা: দলগুলো জোট, আসন ভাগে ব্যস্ত, জুলাইয়ের আকাক্সক্ষা স্থান পায়নি

ছবি

উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমদুকে ‘পদত্যাগ করতে’ বলা হয়েছিল

ছবি

সনদ বাস্তবায়নে ‘আইন জারি করার অধিকার’ প্রধান উপদেষ্টার নেই: সালাহউদ্দিন

ছবি

‘রাষ্ট্র আবেগে নয়, আইনেই চলে’ ; সালাহউদ্দিন আহমদ

ছবি

নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করছে কিছু রাজনৈতিক দল: মির্জা ফখরুল

ছবি

বিতর্কিত কর্মকর্তাদের ভোট দায়িত্বে না দেওয়ার আহ্বান বিএনপির

ছবি

সাতচল্লিশ থেকে এখন পর্যন্ত সব ভুলের জন্য জামায়াতের নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা: শফিকুর রহমান

ছবি

দুইশ’ কোটি টাকা পাচারের মামলায় রোববারের মধ্যে আদালতে হাজিরার নির্দেশ সম্রাটকে

ছবি

নির্বাচনের আগে সরকারের ‘বিতর্কিত ব্যক্তিদের চলে যেতে হবে’: আমীর খসরু

tab

নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব, ফের গণ্ডগোলে পণ্ড সন্ধানী’র কমিটি গঠন

এক পক্ষকে আরেক পক্ষের বাধা, ভোট বন্ধ, ভবনে তালা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বুধবার, ১১ মে ২০২২

নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে পাল্টাপাল্টি কমিটি ঘোষণায় অচল হয়ে পড়া স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সন্ধানীর ভোট আবারো বাগবিতণ্ডা, হাতাহাতিতে পণ্ড হয়ে গেলো। সমস্যা সমাধানে গতকাল ভোটের দিন নির্ধারণ করেছিল সন্ধানীর দ্বন্দ্ব নিরসন ‘বিশেষ কমিটি’। কিন্তু দুই পক্ষের কর্মকাণ্ডে পাঁচ মাস ধরে কার্যত অচল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সন্ধানী ভবনে আবারো তালা পড়লো।

আগামী ১৫ মে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের কথা থাকলেও বিশেষ কারণে তারিখে এগিয়ে এনে গতকাল নির্ধারণ করা হয়। কথা ছিল রাজধানী ঢাকায় সব ইউনিটের বৈধ প্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনার পর ভোটের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হবে ।

সন্ধানী সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর নীলক্ষেতে সন্ধানী ভবনে এ ভোটের আয়োজন করা হয়। গতকাল বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ভোট দেয়া যাবে এবং তারপরই ফল প্রকাশ করার সব প্রস্তুতিও নেয়া হয়।

সন্ধানীর ৩৪টি ইউনিটের মধ্যে ২০টি ইউনিট থেকে তিনজন করে ভোটার অংশগ্রহণ করার কথা ছিল। বাকি ১৪টি ইউনিটের সদস্যরা ভোটার হওয়ার শর্ত পূরণ করতে না পারায় ভোট দিতে পারবেন না বলে আগেই জানিয়ে দেয়া হয়েছিল।

কিন্তু অতীতের মতো গতকালও সকালে সন্ধানী ভবনে একপক্ষ অবস্থান নিয়ে অন্য পক্ষকে ঢুকতে দেয়নি। এরপর কমিটির সহায়তায় তারা ভবনে প্রবেশ করে। পরে দুই পক্ষকে নিয়ে অচল অবস্থা নিরসন কমিটি মিটিংয়ে বসলে শুরু হয় বাগবিতণ্ডা। এক পর্যায়ে উত্তপ্ত কথাবার্তায় হাতাহাতিতে লিপ্ত হয় দুই পক্ষ। পরে একপক্ষ ভোট বর্জন করে বের হয়ে যায়। এ সময় অনেকের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখা যায় বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক চিকিৎসক সংবাদকে জানান।

হাই পাওয়ার কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটু সংবাদকে বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আইনগতভাবে পর্যালোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

সন্ধানীর উপদেষ্টা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব নিরসনে উপদেষ্টাদের পক্ষ থেকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি একটি মিটিং ডাকা হয়। সেখানে নানা আলোচনা ও পরামর্শের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) শিশু সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. তোসাদ্দেক হোসেন সিদ্দিকী জামালের নেতৃত্বে ১৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি হাইপাওয়ার কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটিতে সদস্য-সচিব করা হয় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ইএনটি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটুকে। এছাড়া কমিটির প্রধান উপদেষ্টা করা হয় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে।

কমিটিতে বিএসএমএমইউর সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, অধ্যাপক ডা. এ কে এম সালেক, সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না, বিএসএমএমইউর ট্রেজারার অধ্যাপক ডা. মো. আলী আসগর মোড়ল, সন্ধানীর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য অধ্যাপক ডা. মোশাররফ হোসেন মুক্ত, ডা. আবদুল কাইয়ুমকে সদস্য করা হয়েছিল।

পাল্টাপাল্টি অনিয়মের অভিযোগ আনায় গত ৭ ফেব্রুয়ারি উপদেষ্টা কমিটির মিটিংয়ে দুই কমিটিই স্থগিত ঘোষণা করে। এ সময় পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত দুই কমিটি কেন্দ্রীয় সন্ধানীর ব্যানারে কোন সভা, প্রচারণা বা কর্মসূচি পালন করতে পারবে না বলে জানানো হয়। তবে শুধু রক্তদান ও ত্রাণ কর্মসূচি চলমান থাকবে। এমনকি কমিটি স্থগিত থাকাকালীন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় অফিস উপদেষ্টা পরিষদের চক্ষুদান সমিতির তত্ত্বাবধানে চলবে।

স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান আন্দোলনের পথিকৃৎ হয়ে ওঠা সন্ধানীর এই প্রথম এমন অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে একাধিক সূত্র জানায়।

বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, এই দ্বন্দ্বের মূল কারণ ক্ষমতা। সন্ধানীর কমিটিতে থাকলে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে যাওয়া যায় সহজেই। সন্ধানীর সঙ্গে দেশের প্রভাবশালী ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের যোগাযোগ নিবিড় হওয়ায় তদবির বাণিজ্য থেকে শুরু করে সরকারের বিভিন্ন মহলে প্রবেশের সুযোগ করা যায়। ক্ষমতা কুক্ষিগত করতেই এই দ্বন্দ্ব বলে অনেকেই মনে করছেন।

সিনিয়র সন্ধানীয়ান অচল অবস্থা নিরসন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মো. তোসাদ্দেক হোসেন সিদ্দিকী জামাল, সদস্য-সচিব অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটু, বিএসএমএমইউর সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, অধ্যাপক ডা. এ কে এম সালেক, সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না, বিএসএমএমইউর ট্রেজারার অধ্যাপক ডা. মো. আলী আসগর মোড়ল, সন্ধানীর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য অধ্যাপক ডা. মোশাররফ হোসেন মুক্ত, ডা. আব্দুল কাইয়ুম উপস্থিত ছিলেন।

দেশের স্বাস্থ্য খাতের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সন্ধানী। ১৯৭৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে যাত্রা শুরু হয় সংগঠনটির। ধীরে ধীরে দেশে স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান আন্দোলনের পথিকৃৎ হয়ে ওঠে সংগঠনটি। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ অর্জন করে স্বাধীনতা পদক।

back to top