alt

সরকারের তামাকমুক্ত দেশ গড়ার রোডম্যাপ নেই : হারুন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০২২

বিএনপি নেতা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশীদ বলেছেন, আমরা এমন একটি দেশে বাস করি যেখানে সরকারের সদিচ্ছা না থাকলে কোনো কিছু হওয়া সম্ভব নয়। আমাদের সদিচ্ছাটা থাকা দরকার। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন ২০৪০ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার। আমরা অবশ্যই প্রধানমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানাই, ধন্যবাদ জানাই তামাকমুক্ত করার ঘোষণা দেওয়ায়। এজন্য তো একটা রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে। কিন্তু তামাকমুক্ত করার জন্য রোডম্যাপ কোথায়?

মঙ্গলবার (২১ জুন) সকালে রাজধানীর বাংলামোটরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সেমিনার কক্ষে গবেষণা প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন সমন্বয় আয়োজিত বাজেট ২০২২-২৩-এ তামাক পণ্যে করের পর্যালোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

হারুনুর রশীদ বলেন, আমি ১৯৯৬ সাল থেকে জাতীয় সংসদের সদস্য। সে সময় বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রীকে আমরা জাতীয় সংসদে ধরেছিলাম যে প্রি-বাজেট আলোচনা করতে হবে। ভারতে এটি হয়, অন্যান্য অনেক দেশেও হয়। সেখানে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী বিষয়টি আমলে নিয়ে তিনি প্রি-বাজেট আলোচনা করতেন। সেখানে সমাজের বিভিন্ন স্তরের অর্থনীতিবিদ, মাননীয় সংসদ সদস্যদের নিয়ে আলোচনা করতেন দীর্ঘ সময় ধরে। আমরা বিভিন্ন ধরনের যে প্রস্তাবগুলো দিতাম তার মধ্যে যেগুলো গ্রহণ করা সম্ভব তা গ্রহণ করতেন। কিন্তু এটা এখন আর নাই।

তিনি বলেন, আপনারা বলছেন যে কর বৃদ্ধি করলে তামাক ব্যবহার কমে আসবে। আপনারা লক্ষ্য করবেন ২০০৩-২০০৪ সালের দিকে বিএনপি সরকারের সময় সর্বপ্রথম পাবলিক প্লেসে ধূমপানের যে আইনটি করা হয়েছিল ৫০ টাকা জরিমানা, সেটির সুফল আমরা পেয়েছিলাম। তখন আমরা বাসে ট্রেনে লঞ্চে যত্রতত্র যেখানে সেখানে যে কেউ ধূমপান করতো। এতে খুব বিব্রতকর অবস্থাও তৈরি হতো। এটা কিন্তু অনেক কমেছে। কিন্তু এখন সরকারের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা, তাদের অফিসে ধূমপান করছে। রমজান মাসেও আমি বিভিন্ন অফিসে গিয়ে দেখেছি ধূমপান করতে। এই জায়গাগুলো কিন্তু আমাদের ধূমপানরোধকল্পে সুনির্দিষ্ট একটি রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে। শুধু করের দিকে না দেখে স্বাস্থ্যগত বিষয়ে নজর দেওয়ার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, আপনারা শুধু করের দৃষ্টিটা দেখছেন। কিন্তু আসলে মাদক বা তামাক, এটাতো নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এটার জন্য আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জায়গা থেকে যে ধরনের প্রচার-প্রচারণা দরকার বাংলাদেশের এত গণমাধ্যম রয়েছে কতটুকু আমরা প্রচারণা চালাচ্ছি।

তামাকের উপর কর বৃদ্ধির জন্য অর্থমন্ত্রীকে সংসদ সদস্যদের অবহিত করার বিষয় তুলে ধরে তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রীকে মাননীয় সংসদ সদস্যরা যে অবহিত করে রেখেছেন, এর জন্য এনবিআর, অর্থ মন্ত্রণালয়ের লোকদেরও ডাকা দরকার। আমরা ১০০ জন সংসদ সদস্যরা অর্থমন্ত্রীকে লিখিত চিঠি দিলাম। বাজেটে তার বাস্তবায়নটা কোথায়? প্রতিমাসে শত শত মাদকের মামলা হচ্ছে। সারা বাংলাদেশে লক্ষাধিক মামলা বর্তমানে রয়েছে। এই মামলাগুলো ত্রুটিপূর্ণ। যে কারণে যারা মাদকের কারবার করছিলেন, মাদক সেবন করছে, তারা খুব সহজেই উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে যাচ্ছে। এই দুর্বলতার জায়গাগুলোতে আমাদের নজর দিতে হবে।

আলোচনায় বক্তব্য রাখেন রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য শিরীন আখতার, গাইবান্ধা-৩ আসনের সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতি, মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. সাইফুজ্জামান প্রমুখ।

রাজনৈতিক পথরেখা ও জাতির ভাগ্য নির্ধারণ হবে শিগগিরই: মাহী বি চৌধুরী

ছবি

৫ আগস্টের পর একটি গোষ্ঠী প্রভাব বিস্তারের জন্য জনগণের ওপর ঝাপিয়ে পড়েছে: জামায়াত আমির

ছবি

বেগম জিয়া দলমত সবার কাছে জনপ্রিয়, ডঃ মঈন খান

ছবি

নিবন্ধনের দাবিতে অনশনকারী তারেক রহমানের দাবি পূরণে এগোচ্ছে ইসি

ছবি

আমজনতাসহ ২ দল পাচ্ছে নিবন্ধন

ছবি

বাম জোটের যমুনামুখী মিছিল আটকে দিলো পুলিশ

ছবি

আরও ৩৬ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করলো বিএনপি

ছবি

বিএনপির আরও ৩৬ আসনে প্রার্থী ঘোষণা

ছবি

মধ্যরাতের পরে বা শুক্রবার ভোরে লন্ডনে নেওয়া হতে পারে খালেদা জিয়া

ছবি

কাতারের আমিরের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনে নেওয়া হচ্ছে খালেদা জিয়াকে

ছবি

লন্ডনে উন্নত চিকিৎসার জন্য আজ রাতে খালেদা জিয়ার যাত্রা

ছবি

খালেদা জিয়া মানুষের অধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে জীবনভর সংগ্রাম করেছেন: আমিনুল হক

ছবি

তফসিল পরে, আগে ‘রাজনৈতিক সংকট’ সমাধান চায় এনসিপি

ছবি

তারেক রহমান ‘কবে ফিরবেন’ জানা নেই বললেন আমীর খসরু

ছবি

পছন্দে জামায়াত, ভোটে এগিয়ে বিএনপি, মার্কিন প্রতিষ্ঠানের জরিপ

ছবি

রেজা কিবরিয়া এবার বিএনপিতে

ছবি

‘যারা বারবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন তারা আবার ক্ষমতায় গিয়ে লুটপাট করতে চায়’

ছবি

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ ও বিভ্রান্তি: কী বলছেন বিএনপি নেতারা

ছবি

খালেদা জিয়া অত্যন্ত সংকটাপন্ন: ভেন্টিলেশন সাপোর্টে, অবস্থার আরও অবনতি

ছবি

একটি দল দেশের মঙ্গল চায় না, তারা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে: মির্জা আব্বাস

ছবি

খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দোয়া করার আহ্বান জাপা একাংশের

ছবি

নারায়ণগঞ্জে মোহাম্মদ আলীর নির্বাচন করার ঘোষণা

ছবি

জামায়াতের ‘হিন্দু প্রার্থী’: কতোটা প্রভাব ফেলবে ‘ধর্মীয় সংখ্যালঘু অধ্যুষিত’ আসনে

ছবি

স্বাস্থ্য স্থিতিশীল হলে খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার প্রস্তুতি

ছবি

বিদেশ নেওয়ার মতো শারীরিক অবস্থায় নেই খালেদা জিয়া: মির্জা ফখরুল

ছবি

বাঁশখালীতে চাকরিচ্যুত ব্যাংক কর্মকর্তাদের পুনর্বহনের প্রতিশ্রুতি জামায়াত প্রার্থী জহিরুল ইসলামের

ছবি

বিএনপি সব সময় অর্থনীতিকে গুরুত্ব দিয়েছে: মির্জা ফখরুল

ছবি

ভোটের তফসিল ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ঘোষণা করবে ইসি

ছবি

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার সামান্য উন্নতি হলে লন্ডনে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে পরিবার

দেশের ফেরার সিদ্ধান্ত তার ‘একার নিয়ন্ত্রণে নয়’, বললেন তারেক

ছবি

ড্যাব ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল

ছবি

পাবনায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ: গুলি ছোড়া যুবককে নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের পাল্টাপাল্টি দাবি

ছবি

সাংবাদিকদের আবারও দলীয় লেজুড়বৃত্তি না করার আহ্বান মির্জা ফখরুলের

ছবি

আ’লীগের নেতৃত্ব পরিবর্তনে ‘বিদেশ থেকে খেলা চলছে’, অভিযোগ জয়ের

ছবি

লালপুরে এবি পার্টির প্রার্থীর বিলবোর্ড ভেঙ্গে ও ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ

ছবি

গোয়াইনঘাটে হাকিম চৌধুরীর উঠান বৈঠক ও গণমিছিল

tab

সরকারের তামাকমুক্ত দেশ গড়ার রোডম্যাপ নেই : হারুন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০২২

বিএনপি নেতা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশীদ বলেছেন, আমরা এমন একটি দেশে বাস করি যেখানে সরকারের সদিচ্ছা না থাকলে কোনো কিছু হওয়া সম্ভব নয়। আমাদের সদিচ্ছাটা থাকা দরকার। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন ২০৪০ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার। আমরা অবশ্যই প্রধানমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানাই, ধন্যবাদ জানাই তামাকমুক্ত করার ঘোষণা দেওয়ায়। এজন্য তো একটা রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে। কিন্তু তামাকমুক্ত করার জন্য রোডম্যাপ কোথায়?

মঙ্গলবার (২১ জুন) সকালে রাজধানীর বাংলামোটরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সেমিনার কক্ষে গবেষণা প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন সমন্বয় আয়োজিত বাজেট ২০২২-২৩-এ তামাক পণ্যে করের পর্যালোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

হারুনুর রশীদ বলেন, আমি ১৯৯৬ সাল থেকে জাতীয় সংসদের সদস্য। সে সময় বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রীকে আমরা জাতীয় সংসদে ধরেছিলাম যে প্রি-বাজেট আলোচনা করতে হবে। ভারতে এটি হয়, অন্যান্য অনেক দেশেও হয়। সেখানে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী বিষয়টি আমলে নিয়ে তিনি প্রি-বাজেট আলোচনা করতেন। সেখানে সমাজের বিভিন্ন স্তরের অর্থনীতিবিদ, মাননীয় সংসদ সদস্যদের নিয়ে আলোচনা করতেন দীর্ঘ সময় ধরে। আমরা বিভিন্ন ধরনের যে প্রস্তাবগুলো দিতাম তার মধ্যে যেগুলো গ্রহণ করা সম্ভব তা গ্রহণ করতেন। কিন্তু এটা এখন আর নাই।

তিনি বলেন, আপনারা বলছেন যে কর বৃদ্ধি করলে তামাক ব্যবহার কমে আসবে। আপনারা লক্ষ্য করবেন ২০০৩-২০০৪ সালের দিকে বিএনপি সরকারের সময় সর্বপ্রথম পাবলিক প্লেসে ধূমপানের যে আইনটি করা হয়েছিল ৫০ টাকা জরিমানা, সেটির সুফল আমরা পেয়েছিলাম। তখন আমরা বাসে ট্রেনে লঞ্চে যত্রতত্র যেখানে সেখানে যে কেউ ধূমপান করতো। এতে খুব বিব্রতকর অবস্থাও তৈরি হতো। এটা কিন্তু অনেক কমেছে। কিন্তু এখন সরকারের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা, তাদের অফিসে ধূমপান করছে। রমজান মাসেও আমি বিভিন্ন অফিসে গিয়ে দেখেছি ধূমপান করতে। এই জায়গাগুলো কিন্তু আমাদের ধূমপানরোধকল্পে সুনির্দিষ্ট একটি রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে। শুধু করের দিকে না দেখে স্বাস্থ্যগত বিষয়ে নজর দেওয়ার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, আপনারা শুধু করের দৃষ্টিটা দেখছেন। কিন্তু আসলে মাদক বা তামাক, এটাতো নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এটার জন্য আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জায়গা থেকে যে ধরনের প্রচার-প্রচারণা দরকার বাংলাদেশের এত গণমাধ্যম রয়েছে কতটুকু আমরা প্রচারণা চালাচ্ছি।

তামাকের উপর কর বৃদ্ধির জন্য অর্থমন্ত্রীকে সংসদ সদস্যদের অবহিত করার বিষয় তুলে ধরে তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রীকে মাননীয় সংসদ সদস্যরা যে অবহিত করে রেখেছেন, এর জন্য এনবিআর, অর্থ মন্ত্রণালয়ের লোকদেরও ডাকা দরকার। আমরা ১০০ জন সংসদ সদস্যরা অর্থমন্ত্রীকে লিখিত চিঠি দিলাম। বাজেটে তার বাস্তবায়নটা কোথায়? প্রতিমাসে শত শত মাদকের মামলা হচ্ছে। সারা বাংলাদেশে লক্ষাধিক মামলা বর্তমানে রয়েছে। এই মামলাগুলো ত্রুটিপূর্ণ। যে কারণে যারা মাদকের কারবার করছিলেন, মাদক সেবন করছে, তারা খুব সহজেই উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে যাচ্ছে। এই দুর্বলতার জায়গাগুলোতে আমাদের নজর দিতে হবে।

আলোচনায় বক্তব্য রাখেন রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য শিরীন আখতার, গাইবান্ধা-৩ আসনের সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতি, মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. সাইফুজ্জামান প্রমুখ।

back to top