কক্সবাজারের টেকনাফ পৌর আওয়ামী লীগের কমিটি নিয়ে আবারও আলোচানায় সাবেক সমালোচিত এমপি আব্দুর রহমান। এক পক্ষের বয়কটের মধ্যে টেকনাফ পৌর আওয়ামীলীগের কমিটি দখলে নিলেন তিনি। সম্মেলনে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় বদিকে সভাপতি ও বদির মামতো ভাই মোহাম্মদ আলম বাহাদুরকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়েছে।
রোববার (২৪ জুলাই) বেলা ১১টায় প্রথম অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বদির বিরোধী অংশের বয়কটের কারণে বিকাল ৩টায় প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম অধিবেশনে পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. ইউছুফ মনো সভাপতিত্ব করার কথা থাকলেও সভাপতিত্ব করেন সহ-সভাপতি আব্দুল জলিল।
এ বিষয়ে টেকনাফ পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাবেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, কাউন্সিলরদের তালিকা নিয়ম বহির্ভূতভাবে করে আমার অনুমোদন নেয়নি। সভাপতির অনুমোদনবিহীন কেমন সম্মেলন কিছুই বুঝতে পারছি না। এ কারণে আমিসহ অনেকেই সম্মেলন বয়কট করেছে।
এ প্রসঙ্গে পৌরসভা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বদির অপর মামতো ভাই মো. ইউছুফ মনো বলেন, সভাপতির অনুপস্থিতির কোনো ধরণের রেজুলেশন না করে আমাকে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। বদির দলের সাধারণ সম্পাদকের যোগসাজশে মনগড়া তালিকা প্রণয়ন করায় আজকের সম্মেলন আমি বয়কট করেছি।
এদিকে দ্বিতীয় অধিবেশনের শুরু থেকে জেলা যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রনজিত দাশ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল বশরসহ বেশ কয়েকজন নেতা বিদ্যালয়ের অন্য একটি কক্ষে আড্ডা দিলেও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান ও উখিয়া-টেকনাফ আসনের সাংগঠনিক দলের প্রধান রাজা শাহ আলম চৌধুরীর উপস্থিতিতে কাউন্সিলদের বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় আব্দুর রহমান বদিকে সভাপতি ও মোহাম্মদ আলম বাহাদুরকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জয়ী ঘোষণা করা হয়।
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান বলেন, দ্বিতীয় অধিবেশনে কোনো ধরনের প্রতিদ্বন্দিতা না থাকায় আবদুর রহমান বদিকে সভাপতি ও মোহাম্মদ আলম বাহাদুরকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল বশর বলেন, একটি পক্ষ বয়কট করেছে। কারণ টেকনাফ পৌর সম্মেলনে প্রথম অধিবেশনের পর পৌর কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। সভাপতি অনুপস্থিত ছিলেন। কাউন্সিলর তালিকা অনুমোদন নেই এবং অবৈধ ছিল। কাউন্সিলর তালিকায় মাদক মামলার বিচারাধীন মামলার আসামি, দুর্নীতি মামলার সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন মামলার আসামিরা রয়েছেন। সুতরাং দ্বিতীয় অধিবেশনও আমিসহ অনেকে বর্জন করেছে।
এব্যাপারে জানতে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সাথে যোগাযোগ করে কোনো বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সোমবার, ২৫ জুলাই ২০২২
কক্সবাজারের টেকনাফ পৌর আওয়ামী লীগের কমিটি নিয়ে আবারও আলোচানায় সাবেক সমালোচিত এমপি আব্দুর রহমান। এক পক্ষের বয়কটের মধ্যে টেকনাফ পৌর আওয়ামীলীগের কমিটি দখলে নিলেন তিনি। সম্মেলনে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় বদিকে সভাপতি ও বদির মামতো ভাই মোহাম্মদ আলম বাহাদুরকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়েছে।
রোববার (২৪ জুলাই) বেলা ১১টায় প্রথম অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বদির বিরোধী অংশের বয়কটের কারণে বিকাল ৩টায় প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম অধিবেশনে পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. ইউছুফ মনো সভাপতিত্ব করার কথা থাকলেও সভাপতিত্ব করেন সহ-সভাপতি আব্দুল জলিল।
এ বিষয়ে টেকনাফ পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাবেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, কাউন্সিলরদের তালিকা নিয়ম বহির্ভূতভাবে করে আমার অনুমোদন নেয়নি। সভাপতির অনুমোদনবিহীন কেমন সম্মেলন কিছুই বুঝতে পারছি না। এ কারণে আমিসহ অনেকেই সম্মেলন বয়কট করেছে।
এ প্রসঙ্গে পৌরসভা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বদির অপর মামতো ভাই মো. ইউছুফ মনো বলেন, সভাপতির অনুপস্থিতির কোনো ধরণের রেজুলেশন না করে আমাকে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। বদির দলের সাধারণ সম্পাদকের যোগসাজশে মনগড়া তালিকা প্রণয়ন করায় আজকের সম্মেলন আমি বয়কট করেছি।
এদিকে দ্বিতীয় অধিবেশনের শুরু থেকে জেলা যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রনজিত দাশ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল বশরসহ বেশ কয়েকজন নেতা বিদ্যালয়ের অন্য একটি কক্ষে আড্ডা দিলেও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান ও উখিয়া-টেকনাফ আসনের সাংগঠনিক দলের প্রধান রাজা শাহ আলম চৌধুরীর উপস্থিতিতে কাউন্সিলদের বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় আব্দুর রহমান বদিকে সভাপতি ও মোহাম্মদ আলম বাহাদুরকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জয়ী ঘোষণা করা হয়।
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান বলেন, দ্বিতীয় অধিবেশনে কোনো ধরনের প্রতিদ্বন্দিতা না থাকায় আবদুর রহমান বদিকে সভাপতি ও মোহাম্মদ আলম বাহাদুরকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল বশর বলেন, একটি পক্ষ বয়কট করেছে। কারণ টেকনাফ পৌর সম্মেলনে প্রথম অধিবেশনের পর পৌর কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। সভাপতি অনুপস্থিত ছিলেন। কাউন্সিলর তালিকা অনুমোদন নেই এবং অবৈধ ছিল। কাউন্সিলর তালিকায় মাদক মামলার বিচারাধীন মামলার আসামি, দুর্নীতি মামলার সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন মামলার আসামিরা রয়েছেন। সুতরাং দ্বিতীয় অধিবেশনও আমিসহ অনেকে বর্জন করেছে।
এব্যাপারে জানতে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সাথে যোগাযোগ করে কোনো বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।