alt

২০১৪-২০১৮ সালের ভোট নিয়ে অতিমাত্রায় বিতর্ক হচ্ছে: সিইসি

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : রোববার, ৩১ জুলাই ২০২২

২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে অতিমাত্রায় সমালোচনা ও তর্ক-বিতর্ক হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। রোববার (৩১ জুলাই) নির্বাচন ভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপে বসে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

সিইসি বলেন, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব। একইভাবে কমিশনকে সহায়তা করা সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব। আমরা সে দায়বদ্ধতা থেকেই সংলাপের আয়োজন করেছি। ১৯৭০ থেকে আমরা নির্বাচন দেখে এসেছি। ১৯৫৪ সালের নির্বাচন সম্পর্কেও আমরা জানি।

তিনি বলেন, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন এক অর্থে সাম্প্রতিক। সংসদীয় পদ্ধতিতে সম্ভবত ১৯৯১ সাল থেকে নির্বাচন হচ্ছে। অতীতের অনেক নির্বাচন নিয়েই সমালোচনা বা তর্ক-বিতর্ক হলেও ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে অতিমাত্রায় সমালোচনা ও তর্ক-বিতর্ক হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের সমালোচনাও তীব্র ও তিক্ত। নিরপেক্ষ থেকে অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করে সমালোচনা ও বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকতে চাই।

সিইসি বলেন, আমরা প্রায় চার-পাঁচ পর্বে সংলাপের আয়োজন করেছিলাম। সুধীজন তাদের মতামত উপস্থাপন করেন। নির্বাচনে অর্থশক্তি, পেশিশক্তির প্রভাব, নির্বাচনে সহিংসতা, ভোট কারচুপি, কেন্দ্র দখল, ব্যালট পেপার ছিনতাই করে বাক্স ভরাট করা, ভোটকেন্দ্রে বাধা প্রদান, আমলাতন্ত্রের পক্ষপাতিত্ব, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ভূমিকা, নির্বাচন কমিশনের নির্লিপ্ততা ইত্যাদি বিষয়ে মতামত উঠে এসেছে। আমরা মতামত পর্যালোচনা করে পরবর্তী সময়ে অবহিত করেছি।

তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন অবাধ ও গ্রহণযোগ্য করতে চেষ্টা আন্তরিকভাবে করে যাবে। এ সংলাপ বিশেষ গুরুত্ব বহন করবে। আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে বড় দল। বড় দলের কাছে প্রত্যাশাও বেশি থাকে। পরপর তিনবার সরকারে অধিষ্ঠিত। এজন্য সাধারণ জনগণ আওয়ামী লীগকে সরকারি দল বা ক্ষমতাসীন দল বলে থাকে। কিন্তু সংবিধানে সরকারি দল বা ক্ষমতাসীন দল বলে কোনো কথা নেই। আমি যদি ভুল বুঝে না থাকি, আওয়ামী লীগ আর দশটি দলের মতোই একটি রাজনৈতিক দল। সরকার একটি সাংবিধানিক রাষ্ট্রীয় সংগঠন। এটি অবস্থানের একটি দ্বিমাত্রিকতা।

সিইসি আরও বলেন, অংশগ্রহণমূলক, অবাধ, নিরপেক্ষ এবং ভোটাধিকার প্রয়োগের নিশ্চয়তাসম্পন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সংবিধানের প্রতি অনুগত থেকে আইন ও বিধি-বিধান অনুসারে নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব পালন করবে। আমরা আশা করি, সবাই কমিশনকে সহায়তা করবে।

তিনি বলেন, সংলাপে কিছু বিষয় ওঠে এসেছে। অনেক পার্টি মনে করছে একদিনে নির্বাচন করা সমীচীন হবে না। ভারতের মতো পৃথক দিনে হওয়া উচিত। তারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অপ্রতুলতার কথা কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে। অনেকে বলেছে সেনাবাহিনী মোতায়েন করার জন্য। সেনাবাহিনীর জনমানুষের প্রতি আস্থা অনেক বেশি বলে তারা মনে করছে। আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি।

তিনি আরও বলেন, আরেকটি বিষয়ে সংকট থেকে যাবে, তা হলো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)। ইভিএম নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে সমর্থন পেয়েছি। অধিকাংশ দল ইভিএম বিশ্বাস করছে না। এর ভেতরে কী জানি একটা আছে। আমরা অনেককেই আস্থায় আনতে পারছি না।

সংলাপে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। দলে ছিলেন উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, কর্নেল ফারুক খান, ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। সিইসি ছাড়াও চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ছবি

গণভোটে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ ছাড়া সংস্কার পূর্ণতা পাবে না: আমিনুল হক

ছবি

বাংলাদেশে ইসলামপন্থিরা অন্যের ওপর নির্ভর করে রাজনীতি করতে চায় না: মামুনুল হক

ছবি

নারায়ণগঞ্জ-৩ বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে মশাল মিছিল

পলাশে বিএনপির মতবিনিময় সভা

ছবি

দেশের দীর্ঘমেয়াদি ভবিষ্যৎ নির্ধারণে অনির্বাচিত সরকারের সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার নেই: তারেক

ছবি

সাংবাদিকদের ‘দলাদলি, রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তির’ সমালোচনায় ফখরুল

ছবি

পোরশায় বিএনপির নির্বাচনী জনসভা

ছবি

নারীরাই ধানের শীষের অন্যতম চালিকা শক্তি : সেলিমা রহমান

ছবি

সাংঘর্ষিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয় বিএনপি

কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো আইন থাকবে না: সালাহউদ্দিন

ছবি

প্রশাসনকে কীভাবে দখল করতে হবে, নেতারা প্রকাশ্যে বলে বেড়াচ্ছে: নাহিদ ইসলাম

ছবি

।কোরআন–সুন্নাহবিরোধী কোনো আইন থাকবে না: সালাহউদ্দিন আহমদ

ছবি

মনোনয়ন পরিবর্তনে ব্যতিক্রমী রিভিউ!

ছবি

শ্রীনগরে এক মঞ্চে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ৩ নেতা

ছবি

নির্বাচন: প্রশাসন ‘আমাদের আন্ডারে নিয়ে আসতে হবে’, বললেন জামায়াতের শাহজাহান চৌধুরী

ছবি

আ’লীগের বিচারের দাবিতে এনসিপির মিছিল

ছবি

নির্বাচন হবে কিনা তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন আছে: রুমিন ফারহানা

রাজনৈতিক চেতনা ব্যবসার পরিণতি শুভ হয় না: সালাহউদ্দিন আহমদ

ছবি

‘জামায়াতের টিকেট কাটলে জান্নাতের টিকেট, কোথায় আছে প্রশ্ন ফখরুলের

ছবি

সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট, ‘জেনোসাইডের’ কথা বললেন জামায়াত আমির

ছবি

একই দিনে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের নির্দেশ, প্রস্তুতিতে ইসি

ছবি

হাটহাজারীতে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ

ছবি

সশস্ত্র বাহিনী জাতির আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে: তারেক রহমান

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রাখবে: বিএনপি

ছবি

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনরুজ্জীবন: নতুন রায়ে ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কাঠামোতে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত

ছবি

বাগাতিপাড়ায় পুতুলের পক্ষে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা

ছবি

নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের প্রার্থী পরিবর্তনের জন্য সাবেক প্রতিমন্ত্রীসহ ৭ জনের লিখিত আবেদন

ছবি

ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর না থাকলে বাতিল হবে পোস্টাল ব্যালটের ভোট

ছবি

জুলাই গণহত্যার বিচার যেন প্রতীকী না হয়: সিপিবি

ছবি

নির্বাচনকে সামনে রেখে সিপিবির মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু বৃহস্পতিবার

ছবি

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে ‘মব ভায়োলেন্স’ থেকে সরে আসতে হবে: মির্জা ফখরুল

ছবি

আসন সমঝোতা করে নির্বাচনে আট দলের প্রস্তুতি, সমান সুযোগ নিশ্চিতের দাবি

নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের জন্য তারেক রহমানের কাছে লিখিত আবেদন

ছবি

ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন: ইসিকে ‘শক্ত অবস্থান’ নেওয়ার আহ্বান বিএনপির

ছবি

ভোটারদের কেন্দ্রে আনতে রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা চাইলেন সিইসি নাসির উদ্দিন

ছবি

মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে অনশন

tab

২০১৪-২০১৮ সালের ভোট নিয়ে অতিমাত্রায় বিতর্ক হচ্ছে: সিইসি

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

রোববার, ৩১ জুলাই ২০২২

২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে অতিমাত্রায় সমালোচনা ও তর্ক-বিতর্ক হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। রোববার (৩১ জুলাই) নির্বাচন ভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপে বসে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

সিইসি বলেন, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব। একইভাবে কমিশনকে সহায়তা করা সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব। আমরা সে দায়বদ্ধতা থেকেই সংলাপের আয়োজন করেছি। ১৯৭০ থেকে আমরা নির্বাচন দেখে এসেছি। ১৯৫৪ সালের নির্বাচন সম্পর্কেও আমরা জানি।

তিনি বলেন, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন এক অর্থে সাম্প্রতিক। সংসদীয় পদ্ধতিতে সম্ভবত ১৯৯১ সাল থেকে নির্বাচন হচ্ছে। অতীতের অনেক নির্বাচন নিয়েই সমালোচনা বা তর্ক-বিতর্ক হলেও ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে অতিমাত্রায় সমালোচনা ও তর্ক-বিতর্ক হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের সমালোচনাও তীব্র ও তিক্ত। নিরপেক্ষ থেকে অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করে সমালোচনা ও বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকতে চাই।

সিইসি বলেন, আমরা প্রায় চার-পাঁচ পর্বে সংলাপের আয়োজন করেছিলাম। সুধীজন তাদের মতামত উপস্থাপন করেন। নির্বাচনে অর্থশক্তি, পেশিশক্তির প্রভাব, নির্বাচনে সহিংসতা, ভোট কারচুপি, কেন্দ্র দখল, ব্যালট পেপার ছিনতাই করে বাক্স ভরাট করা, ভোটকেন্দ্রে বাধা প্রদান, আমলাতন্ত্রের পক্ষপাতিত্ব, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ভূমিকা, নির্বাচন কমিশনের নির্লিপ্ততা ইত্যাদি বিষয়ে মতামত উঠে এসেছে। আমরা মতামত পর্যালোচনা করে পরবর্তী সময়ে অবহিত করেছি।

তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন অবাধ ও গ্রহণযোগ্য করতে চেষ্টা আন্তরিকভাবে করে যাবে। এ সংলাপ বিশেষ গুরুত্ব বহন করবে। আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে বড় দল। বড় দলের কাছে প্রত্যাশাও বেশি থাকে। পরপর তিনবার সরকারে অধিষ্ঠিত। এজন্য সাধারণ জনগণ আওয়ামী লীগকে সরকারি দল বা ক্ষমতাসীন দল বলে থাকে। কিন্তু সংবিধানে সরকারি দল বা ক্ষমতাসীন দল বলে কোনো কথা নেই। আমি যদি ভুল বুঝে না থাকি, আওয়ামী লীগ আর দশটি দলের মতোই একটি রাজনৈতিক দল। সরকার একটি সাংবিধানিক রাষ্ট্রীয় সংগঠন। এটি অবস্থানের একটি দ্বিমাত্রিকতা।

সিইসি আরও বলেন, অংশগ্রহণমূলক, অবাধ, নিরপেক্ষ এবং ভোটাধিকার প্রয়োগের নিশ্চয়তাসম্পন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সংবিধানের প্রতি অনুগত থেকে আইন ও বিধি-বিধান অনুসারে নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব পালন করবে। আমরা আশা করি, সবাই কমিশনকে সহায়তা করবে।

তিনি বলেন, সংলাপে কিছু বিষয় ওঠে এসেছে। অনেক পার্টি মনে করছে একদিনে নির্বাচন করা সমীচীন হবে না। ভারতের মতো পৃথক দিনে হওয়া উচিত। তারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অপ্রতুলতার কথা কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে। অনেকে বলেছে সেনাবাহিনী মোতায়েন করার জন্য। সেনাবাহিনীর জনমানুষের প্রতি আস্থা অনেক বেশি বলে তারা মনে করছে। আমরা কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি।

তিনি আরও বলেন, আরেকটি বিষয়ে সংকট থেকে যাবে, তা হলো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)। ইভিএম নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে সমর্থন পেয়েছি। অধিকাংশ দল ইভিএম বিশ্বাস করছে না। এর ভেতরে কী জানি একটা আছে। আমরা অনেককেই আস্থায় আনতে পারছি না।

সংলাপে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। দলে ছিলেন উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, কর্নেল ফারুক খান, ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। সিইসি ছাড়াও চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

back to top