জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের
দেশের মানুষের প্রতি সরকারের কোন দরদ নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তিনি বলেন, ৫১ শতাংশেরও বেশি পর্যন্ত জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নির্দয় ও নজিরবিহীন। জ্বালানি তেলের এমন মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবনে মহাবিপর্যয় সৃষ্টি হবে।
শনিবার (৬ আগস্ট) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, অকটেনের মূল্য এক লাফে ৫১ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেড়ে প্রতি লিটার ৮৯ টাকার বদলে বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়। ৮৬ টাকা লিটারের পেট্রলের দাম ৫১ দশমিক ১৬ ভাগ বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। ডিজেল ও কেরোসিন এর দাম ৪২ দশমিক ৫ ভাগ বেড়ে প্রতি লিটার ৮০ টাকার বদলে বিক্রি হচ্ছে ১১৪ টাকায়। অথচ, বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলের দাম এখন নিম্নমুখী। গত ৪-৫ মাসে বিভিন্ন স্থানে বেঞ্চমার্ক ক্রুড ওয়েলের দাম কমেছে ২৯ থেকে ৩০ শতাংশ। ইউএস বেঞ্চমার্ক ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৮৯ ডলারের নিচে নেমে যায়। গত মার্চে যার দর উঠেছিল ১২৪ ডলারে।
আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট ক্রুড প্রতি ব্যারেল বিক্রি হয় ৯৪ ডলারে। সারাবিশ্বে যখন জ্বালানি তেলের দাম কমতে শুরু করেছে, তখন দেশে তেলের মূল্য বৃদ্ধি সকল মহলকে হতাশ করেছে।
বিবৃতিতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আরো বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে বেড়ে যাবে পরিবহন ব্যয়। নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাবে কয়েকগুণ। পাশাপাশি দেশীয় পণ্যের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাবে, বাড়বে দামও। এতে রপ্তানি শিল্পেও বিপর্যয় সৃষ্টি হবে। ভয়াবহ পরিণতির দিকে অগ্রসর হবে দেশের অর্থনীতি। হাহাকার উঠবে সাধারণ মানুষের পরিবারে। তাই, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির গণবিরোধী সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ করছি।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের
শনিবার, ০৬ আগস্ট ২০২২
দেশের মানুষের প্রতি সরকারের কোন দরদ নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তিনি বলেন, ৫১ শতাংশেরও বেশি পর্যন্ত জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নির্দয় ও নজিরবিহীন। জ্বালানি তেলের এমন মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবনে মহাবিপর্যয় সৃষ্টি হবে।
শনিবার (৬ আগস্ট) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, অকটেনের মূল্য এক লাফে ৫১ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেড়ে প্রতি লিটার ৮৯ টাকার বদলে বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়। ৮৬ টাকা লিটারের পেট্রলের দাম ৫১ দশমিক ১৬ ভাগ বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। ডিজেল ও কেরোসিন এর দাম ৪২ দশমিক ৫ ভাগ বেড়ে প্রতি লিটার ৮০ টাকার বদলে বিক্রি হচ্ছে ১১৪ টাকায়। অথচ, বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলের দাম এখন নিম্নমুখী। গত ৪-৫ মাসে বিভিন্ন স্থানে বেঞ্চমার্ক ক্রুড ওয়েলের দাম কমেছে ২৯ থেকে ৩০ শতাংশ। ইউএস বেঞ্চমার্ক ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৮৯ ডলারের নিচে নেমে যায়। গত মার্চে যার দর উঠেছিল ১২৪ ডলারে।
আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট ক্রুড প্রতি ব্যারেল বিক্রি হয় ৯৪ ডলারে। সারাবিশ্বে যখন জ্বালানি তেলের দাম কমতে শুরু করেছে, তখন দেশে তেলের মূল্য বৃদ্ধি সকল মহলকে হতাশ করেছে।
বিবৃতিতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আরো বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে বেড়ে যাবে পরিবহন ব্যয়। নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাবে কয়েকগুণ। পাশাপাশি দেশীয় পণ্যের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাবে, বাড়বে দামও। এতে রপ্তানি শিল্পেও বিপর্যয় সৃষ্টি হবে। ভয়াবহ পরিণতির দিকে অগ্রসর হবে দেশের অর্থনীতি। হাহাকার উঠবে সাধারণ মানুষের পরিবারে। তাই, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির গণবিরোধী সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ করছি।