?????????? ?????? ??????
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদনের ৬ দিনের মাথায় চার যুগ্ম আহ্বায়কসহ ১৫ জন নেতা পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। তারা এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের লিখিত দিয়েছেন বলেও জানান।
পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, হাজী নুরুদ্দিন, আতাউর রহমান মুকুল, আতাউর রহমান মুকুল, আবুল কাউসার আশা, সদস্য অ্যাডভোকেট বিল্লাল হোসেন, আলমগীর হোসেন, শহিদুল ইসলাম রিপন, আমিনুল ইসলাম মিঠু, মনোয়ার হোসেন শোখন, ফারুক হোসেন, হাজী ফারুক হোসেন, হান্নান সরকার, আওলাদ হোসেন, অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান মোল্লা, অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম শিপলু।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানকে আহ্বায়ক ও আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে সদস্যসচিব করে ৪১ সদস্যের মহানগর কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় বিএনপি। সাখাওয়াত আগের কমিটিতে জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও ইউসুফ সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। এই কমিটিতে রাখা হয়নি আগের কমিটির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালামকে। নতুন আহ্বায়ক কমিটির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরপর আহ্বায়ক কমিটির তিন নেতা পদত্যাগের ঘোষণা দেন। সেই সংখ্যা এখন পনেরো জনে গিয়ে ঠেকেছে।
পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়া যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সবুর খান সেন্টু সদ্য বিলুপ্ত মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি বলেন, কমিটির ১৫ জন সদস্য পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। তারা এই বিষয়টি লিখিতভাবে কেন্দ্রকেও জানিয়েছেন।
প্রস্তাবিত আহ্বায়ক কমিটির বিষয়ে জ্ঞাত ছিলেন না এবং কমিটিতে অযোগ্যদের স্থান দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়া আরেক নেতা আতাউর রহমান মুকুলের। তিনি বর্তমান কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক। পূর্বের কমিটিতে সহসভাপতি পদে ছিলেন। তিনি বলেন, ‘অনুমোদনের পূর্বে প্রস্তাবিত যে কমিটির তালিকা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে সে বিষয়ে কমিটির অনেকেই জ্ঞাত ছিলেন না। তাছাড়া কমিটিতে অযোগ্য অনেককে জায়গা দেওয়া হয়েছে। যারা আন্দোলন সংগ্রামে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন তাদের অনেককেই বঞ্চিত করা হয়েছে। এই কারণে কমিটির ১৫ জন নেতা শনিবার রাতে এক সভায় পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন। বিষয়টি কেন্দ্রেও জানানো হয়েছে।’
তবে আনুষ্ঠানিকভাবে ১৫ নেতার কেউই পদত্যাগপত্র জমা দেননি বলে জানিয়েছেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান। তিনি বলেন, ‘কমিটি নিয়ে কয়েকজন নেতার আপত্তি ছিল। মৌখিকভাবে কয়েকজন নেতার পদত্যাগ করার ঘোষণার বিষয়টি শুনেছি। তবে কেউই এখন পর্যন্ত লিখিত দেননি। লিখিত দিলে সে অনুযায়ী কেন্দ্রে পদত্যাগপত্র পাঠানো হবে।’