নোয়াখালীতে জেলা পরিষদের সদস্যপদে নির্বাচনে পরাজয় মেনে নিতে না পেরে বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থকদের উপর হামলার ঘটনায় অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে।
সোমবার দুপুর সাড়ে ৩ টার দিকে জেলা শহরের হরিনারায়ণপুর স্কুলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে ৫ জনকে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন মো. মাইন উদ্দিন সাজু (৩৮), মো. তাজুল হক (৩০), মো. স্বপন (৫০), মো. মিজান (৩৪) ও মো. কামাল হোসেন (৩৬)।
আহত মো. মিজান বলেন, কামাল নিজেই চেয়ার দিয়ে আমাকে মারধর করেছে। ইচ্ছামত লাথি ঘুষি মেরেছে। হ্যান্ড মাইকের তার দিয়ে আমার গলা বেঁধে ফেলসে। কেনো আমরা ঘুড়ির পক্ষে কাজ করেছি এটাই আমার দোষ।
আহত মো. মাইন উদ্দিন সাজু বলেন, অটোরিকশা প্রতীকের কামাল উদ্দিন ঘুড়ি প্রতীকের আরমান চৌধুরীর কাছে ৩ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান। কেন্দ্রের বাহিরে আমরা দাঁড়িয়ে ছিলাম। অতর্কিত ভাবে সে আমাদের উপর অস্ত্রসহ হামলা চালিয়েছে।
বিজয়ী প্রার্থী আরমান চৌধুরী বলেন, আমি বিষয়টি আওয়ামী লীগের ঊর্ধ্বতন নেতাদের জানিয়েছি। উনারা কি সিদ্ধান্ত নিবেন আমি সেই দিকে তাকিয়ে আছি।
পরাজিত প্রার্থী কামাল উদ্দিনের বক্তব্য জানতে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের সার্জারী বিভাগের ডাক্তার ইফাজুল হক সিয়াম বলেন, শারিরীক এসোল্ট নিয়ে ৫ জন চিকিৎসাধীন আছেন। কাউকে সেলাই দিতে হয়েছে আবার কাউকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও এক্সরে ও সিটি স্ক্যান করতে বলা হয়েছে।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে দুই পক্ষকে আলাদা করেছি। এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সোমবার, ২৮ নভেম্বর ২০২২
নোয়াখালীতে জেলা পরিষদের সদস্যপদে নির্বাচনে পরাজয় মেনে নিতে না পেরে বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থকদের উপর হামলার ঘটনায় অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে।
সোমবার দুপুর সাড়ে ৩ টার দিকে জেলা শহরের হরিনারায়ণপুর স্কুলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে ৫ জনকে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন মো. মাইন উদ্দিন সাজু (৩৮), মো. তাজুল হক (৩০), মো. স্বপন (৫০), মো. মিজান (৩৪) ও মো. কামাল হোসেন (৩৬)।
আহত মো. মিজান বলেন, কামাল নিজেই চেয়ার দিয়ে আমাকে মারধর করেছে। ইচ্ছামত লাথি ঘুষি মেরেছে। হ্যান্ড মাইকের তার দিয়ে আমার গলা বেঁধে ফেলসে। কেনো আমরা ঘুড়ির পক্ষে কাজ করেছি এটাই আমার দোষ।
আহত মো. মাইন উদ্দিন সাজু বলেন, অটোরিকশা প্রতীকের কামাল উদ্দিন ঘুড়ি প্রতীকের আরমান চৌধুরীর কাছে ৩ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান। কেন্দ্রের বাহিরে আমরা দাঁড়িয়ে ছিলাম। অতর্কিত ভাবে সে আমাদের উপর অস্ত্রসহ হামলা চালিয়েছে।
বিজয়ী প্রার্থী আরমান চৌধুরী বলেন, আমি বিষয়টি আওয়ামী লীগের ঊর্ধ্বতন নেতাদের জানিয়েছি। উনারা কি সিদ্ধান্ত নিবেন আমি সেই দিকে তাকিয়ে আছি।
পরাজিত প্রার্থী কামাল উদ্দিনের বক্তব্য জানতে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের সার্জারী বিভাগের ডাক্তার ইফাজুল হক সিয়াম বলেন, শারিরীক এসোল্ট নিয়ে ৫ জন চিকিৎসাধীন আছেন। কাউকে সেলাই দিতে হয়েছে আবার কাউকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও এক্সরে ও সিটি স্ক্যান করতে বলা হয়েছে।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে দুই পক্ষকে আলাদা করেছি। এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।