alt

রাজনীতি

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবে বিএনপি : ফখরুল

জেলা বার্তা পরিবেশক, রাজশাহী : শনিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২২

তত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া এ দেশে আর কোন নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচনে অংশ নেয়ার দলীয় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন তিনি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ১৭৩ দিন হরতাল করেছে। সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পাঁচটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। এখন সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে তারা ভয় পায়। শনিবার (৩ ডিসেম্বর) রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

নির্ধারিত সময়ের সাড়ে চার ঘণ্টা আগে স্থানীয় নেতাদের উপস্থিতিতে শুরু হয় সমাবেশে। দুপুর দেড়টার দিকে মঞ্চে আসেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এর আগে সকাল থেকে নেতাকর্মীরা মাঠে জড়ো হয়। দুপুরের মধ্যে অর্ধেকের বেশি পূর্ণ হয়ে যায় মাঠ। বিকেল চারটার দিকে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, এবারের আন্দোলনে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সেই নিরপেক্ষ সরকার নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। সেই নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করবে এবং সেই নির্বাচনের মাধ্যমে একটা পার্লামেন্ট গঠন হবে।

ওই নির্বাচনে জয়ী দলের সমন্বয়ে তারেক রহমানের জাতীয় সরকার গঠনের ঘোষণাও দেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, তারেক রহমানের সেই জাতীয় সরকার নতুন স্বপ্ন, নতুন আশা ও নতুন দিগন্তের সূচনা করবে। দেশে যতকিছু অসামঞ্জস্য আছে, সমস্যা আছে সেগুলো নির্ধারণ করে নতুন করে অর্থনীতিকে সজীব করে তুলবে, রাজনৈতিক কাঠামোকে সজীব করে তুলবে।

আগামী ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ এখন ভয় পায়। তাদের নিজের প্রতি আস্থা নাই, জনগণের প্রতিও আস্থা নাই। এজন্য তারা নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে দিতে চায় না। এ সমাবেশ নিয়ে আওয়ামী লীগের ঘুম হারাম হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, তারা বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ দেখে ভয় পেয়েছে। এখন ১০ তারিখের সমাবেশের কথা শুনে আওয়ামী লীগ ভয় পেয়েছে। আমরা তাদের বলতে চাই, বিএনপি আনেক সমাবেশ নয়াপল্টনে করেছে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে সমাবেশ করেছে। তখন তো কোন সমস্যা হয়নি।

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার জঙ্গি আক্রমণের ধুয়া তুলেছে। যখন সরকারের দরকার হয়- এবার বিএনপিকে ধরতে হবে, তখন তারা জঙ্গি তৈরি করে। নিজেরা বাস পুড়িয়ে, ককটেল মেরে বলে বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাস করছে।

সরকার ভয়ে আছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘চোরের মন পুলিশ পুলিশ এদের অবস্থা এ রকম। কিছু হলেই দুঃস্বপ্ন দেখে। বিএনপি আইলো, বিএনপি আইলো, তারেক রহমান আইলো, তারেক রহমান আইলো।’

তিনি বলেন, বিএনপির যে আন্দোলন, তা খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী করার জন্য নয়, তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করার জন্য নয়, বা তাদের দলের নেতাদের মন্ত্রী হওয়ার জন্য নয়, এ আন্দোলন ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার আন্দোলন।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এই সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। তাদের রুখে দিতে না পারলে সব অর্জন শেষ হয়ে যাবে। দুর্বার গণআন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাতে হবে।

রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ইশার সভাপতিত্বে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল মাহমুদ চৌধুরী টুকু, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকত, রাজশাহীর সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, সাবেক এমপি নাদিম মোস্তফা প্রমুখ।

ছবি

‘স্বার্থহীন’ রাজনীতির উদাহরণ পঙ্কজ ভট্টাচার্য

ছবি

মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা নির্দেশ না মানলে ব্যবস্থা: কাদের

দুই ধাপের ভোটেই এমপির স্বজনরা

দুই ধাপের ভোটেই এমপির স্বজনরা

প্রথম ধাপে চার উপজেলায় ভোটের প্রয়োজন নেই

ছবি

মাদারীপুরে দুইটি উপজেলায় ২১ প্রার্থীর প্রতিক বরাদ্দ

ছবি

দেশি-বিদেশি চক্র নির্বাচিত সরকারকে হটানোর চক্রান্ত করছে : কাদের

ছবি

উপজেলা নির্বাচন: পরশুরামে এবারও ভোটের প্রয়োজন হবে না

চেয়ারম্যান পদে জামায়াত নেতার মনোনযন প্রত্যাহার, দুই ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী নেই

ছবি

হাতিয়াতে ভোট ছাড়াই জয়ী হচ্ছেন চেয়ারম্যান ও দুই ভাইস-চেয়ারম্যান

ছবি

তাপপ্রবাহের কারণে বিএনপির ২৬ এপ্রিলের সমাবেশ স্থগিত

লালমনিরহাটে দলীয় নির্দেশ উপেক্ষা করেই সাবেক মন্ত্রীর ভাই-ছেলের লড়াই

ছবি

শেষ দিনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন যারা

ছবি

সেনবাগ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিন পদে ১৭ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল

কসবায় নির্বাচন থেকে সরছেন না মন্ত্রীর আত্মীয় ছাইদুর

ছবি

স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন করে প্রাইভেট হাসপাতালের রোগ নির্ণয় পরীক্ষার ফি নির্ধারণ: স্বাস্থ্য মন্ত্রী

ছবি

রাজনৈতিকভাবে টালমাটাল অবস্থায় বিএনপি : ওবায়দুল কাদের

ছবি

১০ দিনে ৫ লাখ বৃক্ষ রোপণ করবে ছাত্রলীগ

ছবি

সন্ত্রাসী অপরাধে গ্রেপ্তারদেরও নিজেদের কর্মী দাবী করছে বিএনপি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি

আমরা সবাই মিলে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের রাজনীতি করতে চাই-- অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি

ছবি

স্থানীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রয়োজন নেই: ইসি আলমগীর

ছবি

সরকার চোরাবালিতে দাঁড়িয়ে, যেকোনো সময় ডুবে যাবে: রিজভী

ছবি

ইরাকে ইরানপন্থি বাহিনীর ঘাঁটিতে বিমান হামলায় হতাহত ৭

ছবি

আবদুল আউয়াল মিন্টু হাসপাতালে ভর্তি

ছবি

আ.লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ থাকবে : কাদের

ছবি

আমি লজ্জিত-দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী, দোষীদের কপালে দুঃখ আছে : পলক

ছবি

যারা নুন-ভাতের কথাও ভাবতে পারত না, এখন তারা মাছ-মাংসের চিন্তা করে : শেখ হাসিনা

মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আ’লীগের

ছবি

মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা বেতনের কর্মচারী ছিলেন জিয়া : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি

খালেদা জিয়া ডাল-ভাত খাওয়াতেও ব্যর্থ হয়েছিলেন : শেখ হাসিনা

ছবি

বিএনপিসহ স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে : ওবায়দুল কাদের

ছবি

মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

ছবি

মনোনয়নে বিএনপি-জামায়াতের নেতারা, তবে দল দু’টির বর্জনের ঘোষণা

ছবি

আনুষ্ঠানিকভাবে উপজেলা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা বিএনপির

ছবি

হিটলারের চেয়েও ভয়ঙ্কর নেতানিয়াহু : ওবায়দুল কাদের

ছবি

এমপি-মন্ত্রীদের হস্তক্ষেপ না করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

tab

রাজনীতি

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবে বিএনপি : ফখরুল

জেলা বার্তা পরিবেশক, রাজশাহী

শনিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২২

তত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া এ দেশে আর কোন নির্বাচন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচনে অংশ নেয়ার দলীয় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন তিনি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ১৭৩ দিন হরতাল করেছে। সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পাঁচটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। এখন সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে তারা ভয় পায়। শনিবার (৩ ডিসেম্বর) রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

নির্ধারিত সময়ের সাড়ে চার ঘণ্টা আগে স্থানীয় নেতাদের উপস্থিতিতে শুরু হয় সমাবেশে। দুপুর দেড়টার দিকে মঞ্চে আসেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এর আগে সকাল থেকে নেতাকর্মীরা মাঠে জড়ো হয়। দুপুরের মধ্যে অর্ধেকের বেশি পূর্ণ হয়ে যায় মাঠ। বিকেল চারটার দিকে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, এবারের আন্দোলনে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সেই নিরপেক্ষ সরকার নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। সেই নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করবে এবং সেই নির্বাচনের মাধ্যমে একটা পার্লামেন্ট গঠন হবে।

ওই নির্বাচনে জয়ী দলের সমন্বয়ে তারেক রহমানের জাতীয় সরকার গঠনের ঘোষণাও দেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, তারেক রহমানের সেই জাতীয় সরকার নতুন স্বপ্ন, নতুন আশা ও নতুন দিগন্তের সূচনা করবে। দেশে যতকিছু অসামঞ্জস্য আছে, সমস্যা আছে সেগুলো নির্ধারণ করে নতুন করে অর্থনীতিকে সজীব করে তুলবে, রাজনৈতিক কাঠামোকে সজীব করে তুলবে।

আগামী ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ এখন ভয় পায়। তাদের নিজের প্রতি আস্থা নাই, জনগণের প্রতিও আস্থা নাই। এজন্য তারা নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে দিতে চায় না। এ সমাবেশ নিয়ে আওয়ামী লীগের ঘুম হারাম হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, তারা বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ দেখে ভয় পেয়েছে। এখন ১০ তারিখের সমাবেশের কথা শুনে আওয়ামী লীগ ভয় পেয়েছে। আমরা তাদের বলতে চাই, বিএনপি আনেক সমাবেশ নয়াপল্টনে করেছে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে সমাবেশ করেছে। তখন তো কোন সমস্যা হয়নি।

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার জঙ্গি আক্রমণের ধুয়া তুলেছে। যখন সরকারের দরকার হয়- এবার বিএনপিকে ধরতে হবে, তখন তারা জঙ্গি তৈরি করে। নিজেরা বাস পুড়িয়ে, ককটেল মেরে বলে বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাস করছে।

সরকার ভয়ে আছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘চোরের মন পুলিশ পুলিশ এদের অবস্থা এ রকম। কিছু হলেই দুঃস্বপ্ন দেখে। বিএনপি আইলো, বিএনপি আইলো, তারেক রহমান আইলো, তারেক রহমান আইলো।’

তিনি বলেন, বিএনপির যে আন্দোলন, তা খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী করার জন্য নয়, তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করার জন্য নয়, বা তাদের দলের নেতাদের মন্ত্রী হওয়ার জন্য নয়, এ আন্দোলন ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার আন্দোলন।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এই সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। তাদের রুখে দিতে না পারলে সব অর্জন শেষ হয়ে যাবে। দুর্বার গণআন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাতে হবে।

রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ইশার সভাপতিত্বে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল মাহমুদ চৌধুরী টুকু, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকত, রাজশাহীর সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, সাবেক এমপি নাদিম মোস্তফা প্রমুখ।

back to top