কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি পালন করা নিয়ে ঢাকার কেরানীগঞ্জে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বিএনপির ঢাকা জেলা সাধারণ সম্পাদক নিপুন রায়সহ অন্তত ৮ জন আহত হয়েছে। এ সময় ভাঙচুর করা হয়েছে আওয়ামী লীগের অফিস। অন্যদিকে সংঘর্ষে আহত নিপুন রায়সহ অন্যদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এদিকে সংঘর্ষের পরও নেতাকর্মীদের নিয়ে সমাবেশ করেছে বিএনপি। এতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ ঢাকা জেলার নেতাকর্মীরা। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে শুক্রবার (২৬ মে) ঢাকা মহানগর দক্ষিণসহ দেশের ৯ বিভাগের ১৮ জেলা ও মহানগরে জনসমাবেশ করছে বিএনপি। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা জেলা বিএনপির উদ্যোগে জিনজিরায় দলটির সমাবেশ সকাল ১০টার দিকে শুরু হয়। এর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
হামলার অভিযোগ করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী বাবু বলেছেন, সমাবেশ চলাকালে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল মারতে থাকে। এ সময় নিপুন রায়সহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক এতে সভাপতিত্ব কর্মসূচি পালন করা হয়। এদিকে কর্মসূচি পালন শেষে রুহুল কবির রিজভী নিপুন রায়সহ আহতদের দেখতে যান। এ সময় আহতদের শারীরিক খোঁজখবর নেন।
এদিকে, আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়ে হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতা ম ই মামুন। শুক্রবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেয়া মন্তব্যে এ দাবি করেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের এই সাধারণ সম্পাদক। ম ই মামুন জানান, শুক্রবার ১২টার পর এই ঘটনা ঘটে। এতে ১৫ জন আহত হয়েছেন। অভিযোগ করে তিনি বলেন, শুক্রবার ঢাকাসহ দেশব্যাপী বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ ছিল। কেরানীগঞ্জে সমাবেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও রুহুল কবির রিজভীসহ বিএনপির আরও নেতাকর্মীরা ছিলেন। সভা শেষ করে যাওয়ার সময় পথে আমাদের পার্টি অফিসে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন তারা। একপর্যায়ে আমাদের পার্টি অফিসে ঢুকে আমাদের লোকদের ওপর হামলা করেন। এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজও আছে আমার কাছে। সেখানে দেখা যায় নিপুণ রায় ইটপাটকেল ছুড়ে দৌঁড়ে চলে যাচ্ছেন।
এ হামলায় আওয়ামী লীগের প্রায় ১৫ থেকে ২০ জনের মতো নেতাকর্মী আহত হয়েছেন দাবি করে ম ই মামুন বলেন, ‘এর মধ্যে চার থেকে পাঁচ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। সবচেয়ে বেশি আহত হয়েছেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আজাহার বাঙালি। ঘটনার বিবরণ দিয়ে ম ই মামুন বলেন, আমাদের পার্টি অফিস ছিল তাদের সমাবেশ স্থলের পাশেই। তারা প্রোগ্রাম শেষ করে আমাদের অফিসে পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নিয়ে বাজে মন্তব্য করছিল। তখন আমাদের মধ্যে এক মুরুব্বী তাদের জিজ্ঞাসা করেন যে, তোমরা এমন করছো কেন। এর প্রতিক্রিয়ায় তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে পড়ে যান। সে সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা পার্টি অফিসের চেয়ার ভাঙচুর করতে থাকে।
কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহবুদ্দিন কবীর জানান, তেমন কোনও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। কোনও প্রকার বাধা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শেষ হয়েছে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমরা সেখানে ছিলাম। ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম জানান, বিএনপির সমাবেশে কোনও বাধা দেয়া হয়নি। তাদের কিছু কর্মী বিশৃঙ্খলা করেছে। এ ঘটনার পর ওই এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, কেরানীগঞ্জে পুলিশ বেষ্টনীর মধ্যে বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলা করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩
কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি পালন করা নিয়ে ঢাকার কেরানীগঞ্জে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বিএনপির ঢাকা জেলা সাধারণ সম্পাদক নিপুন রায়সহ অন্তত ৮ জন আহত হয়েছে। এ সময় ভাঙচুর করা হয়েছে আওয়ামী লীগের অফিস। অন্যদিকে সংঘর্ষে আহত নিপুন রায়সহ অন্যদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এদিকে সংঘর্ষের পরও নেতাকর্মীদের নিয়ে সমাবেশ করেছে বিএনপি। এতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ ঢাকা জেলার নেতাকর্মীরা। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে শুক্রবার (২৬ মে) ঢাকা মহানগর দক্ষিণসহ দেশের ৯ বিভাগের ১৮ জেলা ও মহানগরে জনসমাবেশ করছে বিএনপি। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা জেলা বিএনপির উদ্যোগে জিনজিরায় দলটির সমাবেশ সকাল ১০টার দিকে শুরু হয়। এর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
হামলার অভিযোগ করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী বাবু বলেছেন, সমাবেশ চলাকালে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল মারতে থাকে। এ সময় নিপুন রায়সহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক এতে সভাপতিত্ব কর্মসূচি পালন করা হয়। এদিকে কর্মসূচি পালন শেষে রুহুল কবির রিজভী নিপুন রায়সহ আহতদের দেখতে যান। এ সময় আহতদের শারীরিক খোঁজখবর নেন।
এদিকে, আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়ে হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতা ম ই মামুন। শুক্রবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেয়া মন্তব্যে এ দাবি করেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের এই সাধারণ সম্পাদক। ম ই মামুন জানান, শুক্রবার ১২টার পর এই ঘটনা ঘটে। এতে ১৫ জন আহত হয়েছেন। অভিযোগ করে তিনি বলেন, শুক্রবার ঢাকাসহ দেশব্যাপী বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ ছিল। কেরানীগঞ্জে সমাবেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও রুহুল কবির রিজভীসহ বিএনপির আরও নেতাকর্মীরা ছিলেন। সভা শেষ করে যাওয়ার সময় পথে আমাদের পার্টি অফিসে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন তারা। একপর্যায়ে আমাদের পার্টি অফিসে ঢুকে আমাদের লোকদের ওপর হামলা করেন। এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজও আছে আমার কাছে। সেখানে দেখা যায় নিপুণ রায় ইটপাটকেল ছুড়ে দৌঁড়ে চলে যাচ্ছেন।
এ হামলায় আওয়ামী লীগের প্রায় ১৫ থেকে ২০ জনের মতো নেতাকর্মী আহত হয়েছেন দাবি করে ম ই মামুন বলেন, ‘এর মধ্যে চার থেকে পাঁচ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। সবচেয়ে বেশি আহত হয়েছেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আজাহার বাঙালি। ঘটনার বিবরণ দিয়ে ম ই মামুন বলেন, আমাদের পার্টি অফিস ছিল তাদের সমাবেশ স্থলের পাশেই। তারা প্রোগ্রাম শেষ করে আমাদের অফিসে পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নিয়ে বাজে মন্তব্য করছিল। তখন আমাদের মধ্যে এক মুরুব্বী তাদের জিজ্ঞাসা করেন যে, তোমরা এমন করছো কেন। এর প্রতিক্রিয়ায় তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে পড়ে যান। সে সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা পার্টি অফিসের চেয়ার ভাঙচুর করতে থাকে।
কেরানীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহবুদ্দিন কবীর জানান, তেমন কোনও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। কোনও প্রকার বাধা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শেষ হয়েছে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমরা সেখানে ছিলাম। ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম জানান, বিএনপির সমাবেশে কোনও বাধা দেয়া হয়নি। তাদের কিছু কর্মী বিশৃঙ্খলা করেছে। এ ঘটনার পর ওই এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, কেরানীগঞ্জে পুলিশ বেষ্টনীর মধ্যে বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলা করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।