সৌম্য সরকার বাংলাদেশের ক্রিকেটভক্তদের কাছে অন্যতম এক হতাশার নাম। যারা টাইগার ক্রিকেটের খোঁজ-খবর রাখেন তারা বিষয়টি ভালোই জেনে থাকবেন। ২০১৫-১৬ দুটি বছরই ছিল সৌম্যময়। তবে হার্ডহিটার এই ব্যাটার ব্যাট হাতে সেই সুবাস স্থায়ী করতে পারেননি।
২০১৭ সালের পর থেকে সৌম্যের পারফরম্যান্স নিন্মমুখী। কালের পরিক্রমায় যেন রান করতেই ভুলে যেতে থাকেন এই ওপেনার। তাই বারবারই তিনি জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছেন। জাতীয় দলের হয়ে সবশেষ ২০২২ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছেন সৌম্য। এরপর থেকে গেল ১০ মাস ধরে দলের বাইরে রয়েছেন এই ব্যাটার।
পরবর্তীতে ঘরোয়া আসর বিপিএল ও ডিপিএল সবখানেই ছন্নছাড়া সাতক্ষীরার এই ক্রিকেটার। অবশ্য এরপরও তিনি একেবারেই বিসিবির নজরের বাইরে চলে যাননি। মাস খানেক আগেও তাকে সুযোগ করে দিয়েছিল ইমার্জিং এশিয়া কাপে। অবশ্য সেটা প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের চাওয়াতেই। তবে সে চাওয়ার প্রতিদান সৌম্য ভালোভাবে দিতে পারেননি সৌম্য।
শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত ইমার্জিং এশিয়া কাপে ৪ ম্যাচে ব্যাট হাতে মোটে ৯৫ রান করেন। বল হাতে সৌম্যের শিকার ৬টি। তবে তারপরও প্রিয় শিষ্যকে ছুঁড়ে ফেলেননি হাথুরু। সুযোগ করে দিয়েছিলেন মিরপুরে হওয়া বিশ্বকাপের বিশেষ ক্যাম্পেও। সে ধারাবাহিকতায় দিন দুয়েক আগে চট্টগ্রামে এশিয়ান গেমস দলের বিপক্ষে খেলেছিলেন সৌম্য। সেখানে বল হাতে ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকলেও ব্যাট হাতে করেছিলেন ৪৬ বলে ৪০ রান। সেই ইনিংসের দুই দিন পার না হতেই সৌম্যের কাছে সুসংবাদ পৌঁছে গেছে।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দলে ডাক পেয়েছেন তিনি। নতুন করে আরও এক ‘জীবন’ পাওয়ায় বিসিবির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের বড় সুযোগ থাকবে মাঠের পারফরম্যান্স দিয়ে। তবে এরপর তার সামনে আরও বড় সমীকরণ রয়েছে। ভালো পারফর্ম করলে মিলবে ভারতের মাটিতে হতে যাওয়া বিশ্বকাপের টিকিটও। এখন সবকিছুই নির্ভর করছে সৌম্যের ওপর, তার পারফরম্যান্সের ওপর।