টি-২০ বিশ্বকাপের সপ্তম আসরে বাছাই পর্বের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের কাছে পরাজিত হলেও পরের দুই ম্যাচে দাপুটে জয়ে সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। মূল পর্বে তথা সুপার টুয়েলভে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ দল প্রতিপক্ষ হিসাবে পেয়েছে এশিয়ার আরেক দল শ্রীলঙ্কাকে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার বাংলাদেশ সময় বিকেল চারটায় লঙ্কানদের মুখোমুখি হওয়ার সময়ে বাংলাদেশের লক্ষ্য থাকবে মূল পর্বে প্রথম জয়। কেননা, এখন পর্যন্ত টি২০ বিশ্বকাপের মূল পর্বে টাইগাররা জয়ের দেখা পায়নি।
আজ থেকে বারোদিন আগে ওয়ার্ম আপের ম্যাচ শুরুর সময়েও বাংলাদেশ বা শ্রীলঙ্কা কোনো দলই দ্বিতীয় র্উান্ডে মোকাবেলার বিষয়টা ভাবেনি। টাইগাররা স্কটল্যান্ডের কাছে প্রথম ম্যাচে পরাজয়ের পর ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্লেয়িং কন্ডিশনের পরিবর্তন আনার পরই দুই দলের সাক্ষাতের বিষয়টা নিশ্চিত হয়ে যায়।
যাহোক, দুই দলের মাঠের লড়াইুয়ের আগে দেখে নেয়া যাক শক্তি এবং দুর্বলতার সাথে মিলগুলো। আগেই বলা হয়েছে যে, উভয়েই এশিয়ান ক্রিকেট শক্তি। দুই দলের মধ্যে আরেকটা মিল হলো, বাংলাদেশের যেমন রয়েছেন সাকিব আল হাসানের মত বিশ্বসেরা অল রাউন্ডার, তেমনি নৈপুন্যের দিক দিয়ে লঙ্কান অল রাউন্ডার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাও পিছিয়ে নন। দুই দলের পেস ডিপার্টমেন্টই দূর্দান্ত। লঙ্কানদের দুই পেসার দুস্মন্ত চামিরা ও লাহিরু কুমারার বিপরীতে বাংলাদেশের কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমানের অভিজ্ঞতার ভান্ডারকে পিছিয়ে রাখা যাবেনা।
অবার বাছাই পর্বের ম্যাচগুলো বিবেচনায় নিলে দেখা যায়, লঙ্কানরা প্রতিপক্ষকে ৯৬,১০১ ও ৪৪ রানে অল আউট করেছে। অন্যদিকে টাইগারদের শুরুটাই হয় স্কটল্যান্ডের কাছে পরাজয় দিয়ে। যদিও পরের দুটো ম্যাচ ভালোভাবে জিতেই মূল দ্বিতীয় রাউন্ড বা সুপার টুয়েলভে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এন্ড কোং। তাদের স্পিনা মূল পর্বে বা দ্বিতীয় রাউন্ডে প্রথম জয় পাওয়ার মিশন শুরুর আগে বাংলাদেশ দলের ড্রেসিং রুমে সম্ভবত খুব ভালো অবস্থা নেই। যাদিয়ে এবারের বিশ্বকাপ শুরু করে বাংলাদেশ। বাছাই পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের কাছে ৬ রানে হারে টাইগাররা। তবে পরের ম্যাচেই ঘুড়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। স্বাগতিক ওমানের বিপক্ষে ২৬ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। আর গ্রুপ পর্বে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে ৯৭ রানের বড় জয়ে সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
এখন পর্যন্ত নিজেদের সামর্থের প্রমান দিতে না পারলেও বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপের মিডল অর্ডার কাগজে কলমে যথেষ্ঠ শক্তিশালী। টাইগারদের সাকিব, মুশফিক এবং মাহমুদুল্লাহ যেখানে প্রত্যেকে ৯০টার বেশী করে টি২০ ইনিংস খেলেছেন তার বিপরীতে লঙ্কান দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটার কুশল পেরেরার ইনিংস মাত্র ৫৫টা।
বাছাই পর্বে লঙ্কান বোলিং ডিপার্টমেন্ট তাদের টপ অর্ডার ব্যাটারদের দুর্বলতা বুঝতে না দিলেও বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের কাজ খুব সহজ হবে বলে মনে হয়না। নামিবিয়া, আয়ারল্যান্ড বা নেদারল্যান্ডসের ব্যাটাররা দুস্মন্ত চামিরার পেসে যেমন নাকাল হয়েছেন, তেমনি বুঝতে পারেননি হাসারাঙ্গার গুগলি। টাইগার ব্যাটারদের বিপক্ষে লঙ্কান বোলিং ডিপার্টমেন্ট বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখেই পড়বেন।
বাংলাদেশ দলের মিস্টার ডিপেন্ডেবল নামে খ্যাত মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকে এখনো বড় কোনো ইনিংস আসেনি এবারের আসরে। মূল পর্বে নিজেকে আবারো মেলে ধরতে চাইবেন তিনি। বাংলাদেশের সাফল্যের জন্য তার ব্যাট থেকে রান আসাটা জরুরী। লঙ্কানদের বিপক্ষে টি২০ ফরম্যাটে ১৪৮ স্ট্রাইক রেটে ২৩৯ রান আছে তার। তবে, সাফল্য পাওয়ার জন্য শুধু মুশফিক-সাকিবের ওপর নির্ভরশীল থাকলেই চলবেনা। দলের অপর সিনিয়র ব্যাটারদেরও জ্বলে ওঠা চাই।
টি২০ ফরম্যাটে নিদাহাস ট্রফির সাফল্য প্রেরণা হতে পারে টাইগারদের। সেবার শ্রীলংকার ৬ উইকেটে ২১৪ রান ৫ উইকেট হারিয়েই টপকে যায় টাইগাররা। ৩৫ বলে অনবদ্য ৭২ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেছিলেন মুশফিকুর রহিম।
নিশ্চিতভাবেই আজকের ম্যাচটি সেই ম্যাচের স্মৃতি জাগিয়ে তুলবে, যদিও শ্রীলংকান দলের অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ই ম্যাচটি খেলেনি। কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা খেলেছিলেন সেই ম্যাচ।
টি২০ ফরম্যাটে শ্রীলংকার বিপক্ষে ১১টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এরমধ্যে চারটিতেই জিতেছে টাইগাররা। সাতটিতে জয় পায় শ্রীলঙ্কা। সর্বশেষ দুই ম্যাচে জয় ছিলো বাংলাদেশেরই।
এবারের বিশ্বকাপে সাফল্যের জন্য তরুণদের কাছ থেকে ভালো পারফরমেন্স আশা করছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। সাইফুদ্দিন, মাহেদি হাসান ও নাইম শেখের জ্বলে উঠার আশায় অধিনায়ক।
রিয়াদ বলেছেন, নবীনদের পারফরম্যান্স আমাদের জন্য ইতিবাচক। সাইফুদ্দিন বাছাই পর্বের তিন ম্যাচেই ভালো বোলিং করেছেন, মাহেদিও ভালো বল করেছেন। নিজের প্রথম ম্যাচে ৬৪ রান করেন নাইম। আমি আশা করি তারা এই ধারা অব্যাহত রাখবে। তারা যখন পারফর্ম করে তখন খুবই ভালো লাগে এবং এটা আমাদেরও অনুপ্রাণিত করে। আমি আশা করি, সুপার টুয়েলভেও তারা আরও ভালো করবে।
শনিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২১
টি-২০ বিশ্বকাপের সপ্তম আসরে বাছাই পর্বের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের কাছে পরাজিত হলেও পরের দুই ম্যাচে দাপুটে জয়ে সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। মূল পর্বে তথা সুপার টুয়েলভে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ দল প্রতিপক্ষ হিসাবে পেয়েছে এশিয়ার আরেক দল শ্রীলঙ্কাকে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার বাংলাদেশ সময় বিকেল চারটায় লঙ্কানদের মুখোমুখি হওয়ার সময়ে বাংলাদেশের লক্ষ্য থাকবে মূল পর্বে প্রথম জয়। কেননা, এখন পর্যন্ত টি২০ বিশ্বকাপের মূল পর্বে টাইগাররা জয়ের দেখা পায়নি।
আজ থেকে বারোদিন আগে ওয়ার্ম আপের ম্যাচ শুরুর সময়েও বাংলাদেশ বা শ্রীলঙ্কা কোনো দলই দ্বিতীয় র্উান্ডে মোকাবেলার বিষয়টা ভাবেনি। টাইগাররা স্কটল্যান্ডের কাছে প্রথম ম্যাচে পরাজয়ের পর ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্লেয়িং কন্ডিশনের পরিবর্তন আনার পরই দুই দলের সাক্ষাতের বিষয়টা নিশ্চিত হয়ে যায়।
যাহোক, দুই দলের মাঠের লড়াইুয়ের আগে দেখে নেয়া যাক শক্তি এবং দুর্বলতার সাথে মিলগুলো। আগেই বলা হয়েছে যে, উভয়েই এশিয়ান ক্রিকেট শক্তি। দুই দলের মধ্যে আরেকটা মিল হলো, বাংলাদেশের যেমন রয়েছেন সাকিব আল হাসানের মত বিশ্বসেরা অল রাউন্ডার, তেমনি নৈপুন্যের দিক দিয়ে লঙ্কান অল রাউন্ডার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাও পিছিয়ে নন। দুই দলের পেস ডিপার্টমেন্টই দূর্দান্ত। লঙ্কানদের দুই পেসার দুস্মন্ত চামিরা ও লাহিরু কুমারার বিপরীতে বাংলাদেশের কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমানের অভিজ্ঞতার ভান্ডারকে পিছিয়ে রাখা যাবেনা।
অবার বাছাই পর্বের ম্যাচগুলো বিবেচনায় নিলে দেখা যায়, লঙ্কানরা প্রতিপক্ষকে ৯৬,১০১ ও ৪৪ রানে অল আউট করেছে। অন্যদিকে টাইগারদের শুরুটাই হয় স্কটল্যান্ডের কাছে পরাজয় দিয়ে। যদিও পরের দুটো ম্যাচ ভালোভাবে জিতেই মূল দ্বিতীয় রাউন্ড বা সুপার টুয়েলভে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এন্ড কোং। তাদের স্পিনা মূল পর্বে বা দ্বিতীয় রাউন্ডে প্রথম জয় পাওয়ার মিশন শুরুর আগে বাংলাদেশ দলের ড্রেসিং রুমে সম্ভবত খুব ভালো অবস্থা নেই। যাদিয়ে এবারের বিশ্বকাপ শুরু করে বাংলাদেশ। বাছাই পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের কাছে ৬ রানে হারে টাইগাররা। তবে পরের ম্যাচেই ঘুড়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। স্বাগতিক ওমানের বিপক্ষে ২৬ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। আর গ্রুপ পর্বে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে ৯৭ রানের বড় জয়ে সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
এখন পর্যন্ত নিজেদের সামর্থের প্রমান দিতে না পারলেও বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন আপের মিডল অর্ডার কাগজে কলমে যথেষ্ঠ শক্তিশালী। টাইগারদের সাকিব, মুশফিক এবং মাহমুদুল্লাহ যেখানে প্রত্যেকে ৯০টার বেশী করে টি২০ ইনিংস খেলেছেন তার বিপরীতে লঙ্কান দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটার কুশল পেরেরার ইনিংস মাত্র ৫৫টা।
বাছাই পর্বে লঙ্কান বোলিং ডিপার্টমেন্ট তাদের টপ অর্ডার ব্যাটারদের দুর্বলতা বুঝতে না দিলেও বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের কাজ খুব সহজ হবে বলে মনে হয়না। নামিবিয়া, আয়ারল্যান্ড বা নেদারল্যান্ডসের ব্যাটাররা দুস্মন্ত চামিরার পেসে যেমন নাকাল হয়েছেন, তেমনি বুঝতে পারেননি হাসারাঙ্গার গুগলি। টাইগার ব্যাটারদের বিপক্ষে লঙ্কান বোলিং ডিপার্টমেন্ট বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখেই পড়বেন।
বাংলাদেশ দলের মিস্টার ডিপেন্ডেবল নামে খ্যাত মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকে এখনো বড় কোনো ইনিংস আসেনি এবারের আসরে। মূল পর্বে নিজেকে আবারো মেলে ধরতে চাইবেন তিনি। বাংলাদেশের সাফল্যের জন্য তার ব্যাট থেকে রান আসাটা জরুরী। লঙ্কানদের বিপক্ষে টি২০ ফরম্যাটে ১৪৮ স্ট্রাইক রেটে ২৩৯ রান আছে তার। তবে, সাফল্য পাওয়ার জন্য শুধু মুশফিক-সাকিবের ওপর নির্ভরশীল থাকলেই চলবেনা। দলের অপর সিনিয়র ব্যাটারদেরও জ্বলে ওঠা চাই।
টি২০ ফরম্যাটে নিদাহাস ট্রফির সাফল্য প্রেরণা হতে পারে টাইগারদের। সেবার শ্রীলংকার ৬ উইকেটে ২১৪ রান ৫ উইকেট হারিয়েই টপকে যায় টাইগাররা। ৩৫ বলে অনবদ্য ৭২ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেছিলেন মুশফিকুর রহিম।
নিশ্চিতভাবেই আজকের ম্যাচটি সেই ম্যাচের স্মৃতি জাগিয়ে তুলবে, যদিও শ্রীলংকান দলের অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ই ম্যাচটি খেলেনি। কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা খেলেছিলেন সেই ম্যাচ।
টি২০ ফরম্যাটে শ্রীলংকার বিপক্ষে ১১টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এরমধ্যে চারটিতেই জিতেছে টাইগাররা। সাতটিতে জয় পায় শ্রীলঙ্কা। সর্বশেষ দুই ম্যাচে জয় ছিলো বাংলাদেশেরই।
এবারের বিশ্বকাপে সাফল্যের জন্য তরুণদের কাছ থেকে ভালো পারফরমেন্স আশা করছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। সাইফুদ্দিন, মাহেদি হাসান ও নাইম শেখের জ্বলে উঠার আশায় অধিনায়ক।
রিয়াদ বলেছেন, নবীনদের পারফরম্যান্স আমাদের জন্য ইতিবাচক। সাইফুদ্দিন বাছাই পর্বের তিন ম্যাচেই ভালো বোলিং করেছেন, মাহেদিও ভালো বল করেছেন। নিজের প্রথম ম্যাচে ৬৪ রান করেন নাইম। আমি আশা করি তারা এই ধারা অব্যাহত রাখবে। তারা যখন পারফর্ম করে তখন খুবই ভালো লাগে এবং এটা আমাদেরও অনুপ্রাণিত করে। আমি আশা করি, সুপার টুয়েলভেও তারা আরও ভালো করবে।