কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল
লিওনেল মেসি শনিবার রাতে মেক্সিকোর বিরুদ্ধে এক জাদুকরী গোল করে নিজ দলকে জয় এনে দিয়ে তার প্রথম বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন বাচিয়ে রেখেছেন। মেসি প্রথম গোল করে দলকে উজ্জীবিত করে তোলেন এবং ফার্নান্ডেজ আরেকটি গোল করলে আর্জেন্টিনা ২-০ গোলে পরাজিত করে মেক্সিকোকে। মেসি দারুন গোল করে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে ফুটবলকে এখনো তার দেয়া বাকি আছে।
প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের কাছে হেরে যাওয়ায় বেশ চাপের মধ্যে পড়ে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। তাই মেক্সিকোর বিপক্ষে ম্যাচটি হয়ে পড়েছিল টিকে থাকার লড়াইয়ে। সে লড়াইয়ে তারা জিতে আপাতত টিকে থাকলো। বিশ্বকাপের আগেই মেসি জানিয়েছিলেন এটাই তার শেষ বিশ্বকাপ। ২০১৪ সালে ফাইনালে উঠলেও তিনি বিশ্বকাপ জিততে পারেননি। এবার শেষবারের মতো বিশ্বকাপ জেতার লক্ষ্য নিয়ে কাতার বিশ্বকাপে খেলছেন মেসি। মেক্সিকোর বিপক্ষে জয় তাদের সে আশা বাচিয়ে রেখেছে।
মেসি ৬৪ মিনিটে চমৎকার এক গোল করে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন এবং খেলা শেষ হওয়ার কয়েক মিনিট থাকতে বদলি খেলোয়াড় ফার্নান্ডেজ গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন। মেসি এ ম্যাচ খেলে ও গোল করে দিয়েগো ম্যারাডোনার রেকর্ড স্পর্শ করেন। তিনি ও ম্যারাডোনা উভয় বিশ্বকাপে ২১টি করে ম্যাচ খেলেছেন এবং ৮টি গোল করেছেন।
এ ম্যাচ জিতলেও এখনো নক আউট পর্ব নিশ্চিত হয়নি আর্জেন্টিনার। তবে তারা যদি শেষ ম্যাচে পোল্যান্ডকে হারাতে পারে তাহলে নক আউটে খেলা নিশ্চিত হয়ে যাবে।
ম্যাচ শেষে মেসি বলেন, ‘আমাদের বিশ্বকাপ শুরু হলো আজ। আমি সমর্থকদের একই কথা বলবো যে আমাদের উপর আস্থা রাখুন। আজ আমাদের যা করার দরকার ছিল তাই করেছি। আমাদের অন্য কোন পথ ছিল না। আমরা ম্যাচ জিতলে অন্যদের উপর নির্ভর করতে হবে না। প্রথমার্ধে আমরা ভাল খেলতে পারিনি। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা শান্ত থেকে ভাল খেলার চেষ্টা করেছি।’
মেক্সিকো এ নিয়ে বিশ্বকাপে চারবার আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হয়ে প্রতিবারই পরাজিত হলো। তারা পোল্যান্ডের সাথে প্রথম ম্যাচ ড্র করায় এক পয়েন্ট পেয়েছিল। শেষ ম্যাচে মেক্সিকো খেলবে সৌদি আরবের সাথে। দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার আশা বাচিয়ে রাখতে তাদেরকে শেষ ম্যাচে সৌদি আরবের বিপক্ষে জিততেই হবে। সৌদি আরবের সংগ্রহ তিন পয়েন্ট। তারা যদি মেক্সিকোকে পরাজিত করতে পারে তাহলে তারও উঠে যাবে শেষ ষোলতে।
প্রথমার্ধে উভয় দলই সতর্ক ফুটবল খেলেছে। যে কারণে সেভাবে কোন দলই সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেনি। লিওনেল মেসি প্রথমার্ধে ছিলেন বেশ নিষ্প্রভই। দ্বিতীয়ার্ধে তিনি গোল করলেও তার খেলায় ক্লান্তির ছাপ ছিল। তার পরেও তিনি মাঠে থেকে খেলোয়াড়দের উজ্জীবিত রেখেছেন। ডি মারিয়ার পাস থেকে বল পেয়ে ২০ মিটার দূর থেকে চমৎকারভাবে তিনি পরাস্ত করেন মেক্সিকোর গোলরক্ষক ওচোয়াকে। এ গোলই ম্যাচের পরিস্থিতি বদলে দেয়। আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়রা। তাছাড়া মাঠে উপস্থিত ৮০ হাজার দর্শকের বেশীরভাগই উ্জ্জীবিত করতে থাকে আর্জেন্টিনাকে। সব মিলিয়ে অনুকূল পরিবেশ পেয়ে তা কাজে লাগাতে সক্ষম হয় আর্জেন্টিনা।
এ ম্যাচ জেতায় আর্জেন্টিনার হিসাব এখন বদলে গেছে। তারা আরো আত্মবিশ্বাসী হয়ে মাঠে নামতে পারবে। ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ক্যামেরুনের কাছে হেরে যাওয়ার পরও ফাইনালে খেলেছিল আর্জেন্টিনা। সেই স্মৃতি মনে করে নতুন ভাবে উজ্জীবিত হচেছ আর্জেন্টিনা।
কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল
রোববার, ২৭ নভেম্বর ২০২২
লিওনেল মেসি শনিবার রাতে মেক্সিকোর বিরুদ্ধে এক জাদুকরী গোল করে নিজ দলকে জয় এনে দিয়ে তার প্রথম বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন বাচিয়ে রেখেছেন। মেসি প্রথম গোল করে দলকে উজ্জীবিত করে তোলেন এবং ফার্নান্ডেজ আরেকটি গোল করলে আর্জেন্টিনা ২-০ গোলে পরাজিত করে মেক্সিকোকে। মেসি দারুন গোল করে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে ফুটবলকে এখনো তার দেয়া বাকি আছে।
প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের কাছে হেরে যাওয়ায় বেশ চাপের মধ্যে পড়ে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। তাই মেক্সিকোর বিপক্ষে ম্যাচটি হয়ে পড়েছিল টিকে থাকার লড়াইয়ে। সে লড়াইয়ে তারা জিতে আপাতত টিকে থাকলো। বিশ্বকাপের আগেই মেসি জানিয়েছিলেন এটাই তার শেষ বিশ্বকাপ। ২০১৪ সালে ফাইনালে উঠলেও তিনি বিশ্বকাপ জিততে পারেননি। এবার শেষবারের মতো বিশ্বকাপ জেতার লক্ষ্য নিয়ে কাতার বিশ্বকাপে খেলছেন মেসি। মেক্সিকোর বিপক্ষে জয় তাদের সে আশা বাচিয়ে রেখেছে।
মেসি ৬৪ মিনিটে চমৎকার এক গোল করে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন এবং খেলা শেষ হওয়ার কয়েক মিনিট থাকতে বদলি খেলোয়াড় ফার্নান্ডেজ গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন। মেসি এ ম্যাচ খেলে ও গোল করে দিয়েগো ম্যারাডোনার রেকর্ড স্পর্শ করেন। তিনি ও ম্যারাডোনা উভয় বিশ্বকাপে ২১টি করে ম্যাচ খেলেছেন এবং ৮টি গোল করেছেন।
এ ম্যাচ জিতলেও এখনো নক আউট পর্ব নিশ্চিত হয়নি আর্জেন্টিনার। তবে তারা যদি শেষ ম্যাচে পোল্যান্ডকে হারাতে পারে তাহলে নক আউটে খেলা নিশ্চিত হয়ে যাবে।
ম্যাচ শেষে মেসি বলেন, ‘আমাদের বিশ্বকাপ শুরু হলো আজ। আমি সমর্থকদের একই কথা বলবো যে আমাদের উপর আস্থা রাখুন। আজ আমাদের যা করার দরকার ছিল তাই করেছি। আমাদের অন্য কোন পথ ছিল না। আমরা ম্যাচ জিতলে অন্যদের উপর নির্ভর করতে হবে না। প্রথমার্ধে আমরা ভাল খেলতে পারিনি। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা শান্ত থেকে ভাল খেলার চেষ্টা করেছি।’
মেক্সিকো এ নিয়ে বিশ্বকাপে চারবার আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হয়ে প্রতিবারই পরাজিত হলো। তারা পোল্যান্ডের সাথে প্রথম ম্যাচ ড্র করায় এক পয়েন্ট পেয়েছিল। শেষ ম্যাচে মেক্সিকো খেলবে সৌদি আরবের সাথে। দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার আশা বাচিয়ে রাখতে তাদেরকে শেষ ম্যাচে সৌদি আরবের বিপক্ষে জিততেই হবে। সৌদি আরবের সংগ্রহ তিন পয়েন্ট। তারা যদি মেক্সিকোকে পরাজিত করতে পারে তাহলে তারও উঠে যাবে শেষ ষোলতে।
প্রথমার্ধে উভয় দলই সতর্ক ফুটবল খেলেছে। যে কারণে সেভাবে কোন দলই সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেনি। লিওনেল মেসি প্রথমার্ধে ছিলেন বেশ নিষ্প্রভই। দ্বিতীয়ার্ধে তিনি গোল করলেও তার খেলায় ক্লান্তির ছাপ ছিল। তার পরেও তিনি মাঠে থেকে খেলোয়াড়দের উজ্জীবিত রেখেছেন। ডি মারিয়ার পাস থেকে বল পেয়ে ২০ মিটার দূর থেকে চমৎকারভাবে তিনি পরাস্ত করেন মেক্সিকোর গোলরক্ষক ওচোয়াকে। এ গোলই ম্যাচের পরিস্থিতি বদলে দেয়। আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়রা। তাছাড়া মাঠে উপস্থিত ৮০ হাজার দর্শকের বেশীরভাগই উ্জ্জীবিত করতে থাকে আর্জেন্টিনাকে। সব মিলিয়ে অনুকূল পরিবেশ পেয়ে তা কাজে লাগাতে সক্ষম হয় আর্জেন্টিনা।
এ ম্যাচ জেতায় আর্জেন্টিনার হিসাব এখন বদলে গেছে। তারা আরো আত্মবিশ্বাসী হয়ে মাঠে নামতে পারবে। ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ক্যামেরুনের কাছে হেরে যাওয়ার পরও ফাইনালে খেলেছিল আর্জেন্টিনা। সেই স্মৃতি মনে করে নতুন ভাবে উজ্জীবিত হচেছ আর্জেন্টিনা।