alt

ক্যাসেমিরোয় ভর করে শেষ ১৬তে ব্রাজিল

সংবাদ স্পোর্টস ডেস্ক : মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর ২০২২

টপ ফেবারিট ব্রাজিল এক ম্যাচ হাতে রেখেই বিশ্বকাপ ফুটবলের নক আউট পর্বে খেলা নিশ্চিত করেছে। গতকাল সোমবার দ্বিতীয় ম্যাচে তারা সুইজারল্যান্ডকে ১-০ গোলে পরাজিত করে পরের রাউন্ডে খেলা নিশ্চিত করে ফেলেছে। ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন ক্যাসেমিরো। বিশ্বকাপে এই প্রথম সুইজারল্যান্ডকে পরাজিত করলো ব্রাজিল। দুই ম্যাচ থেকে তাদের সংগ্রহ ছয় পয়েন্ট। আগের ম্যাচে ক্যামেরুনকে পরাজিত করা সুইজারল্যান্ডের সংগ্রহ দুই ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট। ব্রাজিল তাদের প্রথম ম্যাচে ২-০ গোলে পরাজিত করেছিল সার্বিয়াকে। গ্রুপের বাকি দুই দলের সংগ্রহ এক পয়েন্ট করে।

ইনজুরির কারণে এ ম্যাচে ব্রাজিল দলে ছিলেন না নেইমার এবং ডিফেন্ডার দানিলো। তাদের পরিবর্তে ফ্রেড এবং এডার মিলিটাও সুযোগ পান। প্রথমার্ধে মিলিটাও ভালো খেললেও ফ্রেড ছিলেন নিস্প্রভ।

বিশ্বকাপে এর আগে একবারও সুইজারল্যান্ডকে হারাতে না পারার হতাশাজনক রেকর্ড নিয়ে এ ম্যাচ শুরু করে ব্রাজিল। প্রথম ১৫ মিনিটের মধ্যে তারা দুইবার সুযোগ সৃষ্টি করেছিল। প্রথমবার রিশার্লিসনের কাটব্যাক ভিনিসিয়ুসের কাছে যাওয়ার আগেই ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করেন। এর দুই মিনিটের মধ্যে রিশার্লিসন বল নিয়ে ঢুকে পড়েও সেটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যর্থ হন। দুই উইঙ্গার ভিনিসিয়ুস এবং রাফিনিয়া বল পেলেই সুইস দলে আতঙ্ক ছড়াতে সক্ষম হচ্ছিল ব্রাজিল। ২৬ মিনিটে সুইজারল্যান্ডের পোস্টে প্রথম শট মারতে সক্ষম হয় ব্রাজিল। রাফিনিয়ার ক্রস ভলি মেরেছিলেন ভিনিসিয়ুস, কিন্তু সেটি দুই হাতে ফিরিয়ে দেন সুইজারল্যান্ডের গোলরক্ষক সোমার।

এরপর থেকে সুইজারল্যান্ডের ওপর বেশ চাপ সৃষ্টি করে ব্রাজিল। ৩০ মিনিটে বেশ দূর থেকে চমৎকার একটি শট মারেন রাফিনিয়া, তবে সেটি সরাসরি চলে যায় গোলরক্ষকের হাতে। ৩৯ মিনিটে প্রথমবারের মতো ব্রাজিলের পেনাল্টি বক্সে বিপজ্জনকভাবে ঢুকে পড়েছিলেন ভার্গাস, তবে কোন বিপদ হওয়ার আগেই বল ধরে নেন গোলরক্ষক অ্যালিসন। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ সময়ে দারুণ একটি সুযোগ সৃষ্টি করেছিল ব্রাজিল। কর্নার-কিক থেকে হেড নিয়েছিলেন থিয়াগো সিলভা। কিন্তু গোললাইন থেকে সেটি বাঁচিয়ে দেন গোলরক্ষক। গোলশূন্য অবস্থাতেই বিরতিতে যায় দুই দল। আগের ম্যাচে নেইমার যেভাবে মিডফিল্ড থেকে আক্রমণ গড়তে ভূমিকা রাখছিলেন এ ম্যাচে সুযোগ পাওয়া ফ্রেড তার কিছুই করতে পারেননি। বলা যায় ব্রাজিলের মিডফিল্ডে প্রথমার্ধে কোন সৃষ্টিশীলতা ছিল না।

ব্রাজিল দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই পাকেটার বদলে মাঠে নামায় রড্রিগোকে। তবে এতে ব্রাজিলের খেলায় খুব বেশি পরিবর্তন আসেনি। তাদের কিছুটা প্রাধান্য থাকলেও গোলের সুযোগ সেভাবে ব্রাজিল তৈরি করতে পারেনি। ৫৬ মিনিটে ম্যাচের সহজতম সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি রিচার্লিসন। ভিনিসিয়ুসের ক্রসে গোলমুখে বলে পা লাগাতে ব্যর্থ হন প্রথম ম্যাচে জোড়া গোল করা স্ট্রাইকার। প্রায় অকার্যকর ফ্রেডকে তুলে মাঠে নামানো হয় ব্রুনো গুইমারেসকে। জোড়া পরিবর্তন আসে সুইস দলেও। ব্রাজিল মনে করেছিল বহু কাক্সিক্ষত গোলটি তারা পেয়ে গেছে ৬৩ মিনিটে ভিনিসিয়ুসের মাধ্যমে। ক্যাসেমিরোর থ্রু পাস নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে চমৎকার প্লেসিং শটে বল জালে পাঠান ভিনিসিয়ুস। কিন্তু ভিএআর দেখে আক্রমণের শুরুতে অফসাইডের ঘটনায় গোলটি বাতিল করেন রেফারি। খেলার ২০ মিনিট বাকি থাকতে রাফিনিয়া এবং রিশার্লিসনকে তুলে মাঠে নামানো হয় অ্যান্টনি এবং গ্যাব্রিয়েল জেসুসকে। ব্রাজিলের মতো জোড়া পরিবর্তন আনা হয় সুইজারল্যান্ড দলেও। ৮২ মিনিটে আবার সুইজারল্যান্ডের জালে বল পাঠায় ব্রাজিল। চমৎকার এক দলীয় আক্রমন থেকে গোলটি করেন ক্যাসেমিরো। এবার আর কোন কারণে বাতিল হয়নি গোলটি। এ সময় বিশেষ বক্সে বসে খেলা দেখারত সাবেক তারকা রোনালদো, রবার্তো কার্লোস, কাকাদের উল্লাস করতে দেখা যায় সাধারণ দর্শকদের সঙ্গে।

গোল খাওয়ার পর সুইজারল্যান্ড ৫ম পরিবর্তনটি আনে। শেষ পরিবর্তন আসে ব্রাজিল দলেও। অ্যালেক্স স্যান্ড্রোর বদলে মাঠে নামানো নয় অ্যালেক্স টেলেসকে। ৮৬ মিনিটে পেনাল্টি বক্সে ঢুকে শট মেরেছিলেন রড্রিগো, তবে সেটি দুই হাত দিয়ে রুখে দেন সুইস কিপার। ব্যবধান বাড়ানোর জন্য চেষ্টা অব্যাহত রাখে ব্রাজিল অন্যদিকে সমতা ফেরানোর চেষ্টা করে সুইজারল্যান্ড। ফলে শেষ কয়েক মিনিট খেলায় বেশ উত্তেজনা দেখা যায়। ইনজুরি টাইমে ব্রাজিল দুটি সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করে। রড্রিগো প্রতিপক্ষের একজন ডিফেন্ডারে পায়ে মেরে সুযোগটি হাতছাড়া করেন। আরেকটি প্রচেষ্টা রুখে দেন গোলরক্ষক।

ফিফা বিশ্বকাপে ২০১০ সালের পর এই প্রথম ব্রাজিল টুর্নামেন্টে তাদের প্রথম দু’টি ম্যাচ জিতলো।

তাছাড়া ২০০৬ সালের পর এই প্রথম ব্রাজিল প্রথম দুই ম্যাচে কোন গোল খায়নি।

এই ব্রাজিল দল ১৯৯৮ সালের ফ্রান্স দলের পর প্রথম দুই ম্যাচে নিজেদের গোলে কোনও শট নিতে দেয়নি।

ব্রাজিল শেষবার কোনও বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচ হেরেছিল ১৯৯৮ সালে।

ছবি

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিশ্চিত করলো নেপাল-ওমান

ছবি

জাদরানের জরিমানা

ছবি

যুব বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্টিনা-মরক্কো

ছবি

শেষ হলো জাতীয় স্কোয়াশ

ছবি

বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের রিজিওনাল স্পন্সর ওয়ালটন

ছবি

ওয়ানডে দলে ফিরলেন সৌম্য, নতুন মুখ অঙ্কন

ছবি

সেমিফাইনালে থামলেন জারিফ

ছবি

আজ চাইনিজ তাইপের মুখোমুখি বাংলাদেশ

ছবি

নভেম্বরে ঢাকায় নারী কাবাডির বিশ্বকাপ

ছবি

শেরেবাংলার উইকেট দেখে স্যামির মুখে চওড়া হাসি

টিভিতে আজকের খেলা

ছবি

দেশে ফিরলেন স্কেটাররা

ছবি

বিওএ’র নির্বাচন ২৯ নভেম্বর

ছবি

বিমানবন্দরে দুয়ো ধ্বনি শুনলেন ক্রিকেটাররা

ছবি

‘নভেম্বরে ঢাকায় ভারত ম্যাচ হবে একটা ঐতিহাসিক দ্বৈরথ’

ছবি

নোমানের ঘূর্ণিতে দক্ষিণ আফ্রিকা ৯৩ রানে পরাজিত

ছবি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে দাবার পুরস্কার বিতরণ

ছবি

এবারের বিপিএলের চ্যাম্পিয়নরা পাবে ২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা

ছবি

বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড, অপেক্ষা বাড়লো পর্তুগালের

ছবি

তিন স্বাগতিকসহ টিকেট পেল ২৮ দেশ

টিভিতে আজকের খেলা

ছবি

পিছিয়ে পরেও হংকংয়ের মাঠে বাংলাদেশের ড্র

ছবি

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে লড়াকু পারফরম্যান্সে গর্বিত জ্যোতি

ছবি

বাংলাদেশের জয় আটকে দিলো জর্ডান

ছবি

জয়ের জন্য প্রোটিয়ার ২২৬ রান ও পাকিস্তানের ৮ উইকেট দরকার

ছবি

কামাল স্টেডিয়ামে নতুন কৃত্রিম টার্ফ উদ্বোধন

ছবি

সিরিজ জিতে বিশ্ব রেকর্ড স্পর্শ করলো ভারত

ছবি

দুই গোলে এগিয়েও জাপানের কাছে ব্রাজিলের প্রথম হার

টিভিতে আজকের খেলা

ছবি

বাংলাদেশ-হংকং ফিরতি ম্যাচ মঙ্গলবার

ছবি

হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের

ছবি

মিরাজদের ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে যা বললো বিসিবি

ছবি

বিশ্বকাপের দ্বারপ্রান্তে নেদারল্যান্ডস

ছবি

হংকং চায়নার মাঠে ৩ পয়েন্ট চান জামাল

ছবি

ক্যাম্পবেল-হোপের সেঞ্চুরিতে ইনিংস হার এড়ালো উইন্ডিজ দিল্লি টেস্ট

ছবি

জাতীয় স্কোয়াশ চ্যাম্পিয়নশিপ উদ্বোধন

tab

ক্যাসেমিরোয় ভর করে শেষ ১৬তে ব্রাজিল

সংবাদ স্পোর্টস ডেস্ক

মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর ২০২২

টপ ফেবারিট ব্রাজিল এক ম্যাচ হাতে রেখেই বিশ্বকাপ ফুটবলের নক আউট পর্বে খেলা নিশ্চিত করেছে। গতকাল সোমবার দ্বিতীয় ম্যাচে তারা সুইজারল্যান্ডকে ১-০ গোলে পরাজিত করে পরের রাউন্ডে খেলা নিশ্চিত করে ফেলেছে। ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন ক্যাসেমিরো। বিশ্বকাপে এই প্রথম সুইজারল্যান্ডকে পরাজিত করলো ব্রাজিল। দুই ম্যাচ থেকে তাদের সংগ্রহ ছয় পয়েন্ট। আগের ম্যাচে ক্যামেরুনকে পরাজিত করা সুইজারল্যান্ডের সংগ্রহ দুই ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট। ব্রাজিল তাদের প্রথম ম্যাচে ২-০ গোলে পরাজিত করেছিল সার্বিয়াকে। গ্রুপের বাকি দুই দলের সংগ্রহ এক পয়েন্ট করে।

ইনজুরির কারণে এ ম্যাচে ব্রাজিল দলে ছিলেন না নেইমার এবং ডিফেন্ডার দানিলো। তাদের পরিবর্তে ফ্রেড এবং এডার মিলিটাও সুযোগ পান। প্রথমার্ধে মিলিটাও ভালো খেললেও ফ্রেড ছিলেন নিস্প্রভ।

বিশ্বকাপে এর আগে একবারও সুইজারল্যান্ডকে হারাতে না পারার হতাশাজনক রেকর্ড নিয়ে এ ম্যাচ শুরু করে ব্রাজিল। প্রথম ১৫ মিনিটের মধ্যে তারা দুইবার সুযোগ সৃষ্টি করেছিল। প্রথমবার রিশার্লিসনের কাটব্যাক ভিনিসিয়ুসের কাছে যাওয়ার আগেই ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করেন। এর দুই মিনিটের মধ্যে রিশার্লিসন বল নিয়ে ঢুকে পড়েও সেটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যর্থ হন। দুই উইঙ্গার ভিনিসিয়ুস এবং রাফিনিয়া বল পেলেই সুইস দলে আতঙ্ক ছড়াতে সক্ষম হচ্ছিল ব্রাজিল। ২৬ মিনিটে সুইজারল্যান্ডের পোস্টে প্রথম শট মারতে সক্ষম হয় ব্রাজিল। রাফিনিয়ার ক্রস ভলি মেরেছিলেন ভিনিসিয়ুস, কিন্তু সেটি দুই হাতে ফিরিয়ে দেন সুইজারল্যান্ডের গোলরক্ষক সোমার।

এরপর থেকে সুইজারল্যান্ডের ওপর বেশ চাপ সৃষ্টি করে ব্রাজিল। ৩০ মিনিটে বেশ দূর থেকে চমৎকার একটি শট মারেন রাফিনিয়া, তবে সেটি সরাসরি চলে যায় গোলরক্ষকের হাতে। ৩৯ মিনিটে প্রথমবারের মতো ব্রাজিলের পেনাল্টি বক্সে বিপজ্জনকভাবে ঢুকে পড়েছিলেন ভার্গাস, তবে কোন বিপদ হওয়ার আগেই বল ধরে নেন গোলরক্ষক অ্যালিসন। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ সময়ে দারুণ একটি সুযোগ সৃষ্টি করেছিল ব্রাজিল। কর্নার-কিক থেকে হেড নিয়েছিলেন থিয়াগো সিলভা। কিন্তু গোললাইন থেকে সেটি বাঁচিয়ে দেন গোলরক্ষক। গোলশূন্য অবস্থাতেই বিরতিতে যায় দুই দল। আগের ম্যাচে নেইমার যেভাবে মিডফিল্ড থেকে আক্রমণ গড়তে ভূমিকা রাখছিলেন এ ম্যাচে সুযোগ পাওয়া ফ্রেড তার কিছুই করতে পারেননি। বলা যায় ব্রাজিলের মিডফিল্ডে প্রথমার্ধে কোন সৃষ্টিশীলতা ছিল না।

ব্রাজিল দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই পাকেটার বদলে মাঠে নামায় রড্রিগোকে। তবে এতে ব্রাজিলের খেলায় খুব বেশি পরিবর্তন আসেনি। তাদের কিছুটা প্রাধান্য থাকলেও গোলের সুযোগ সেভাবে ব্রাজিল তৈরি করতে পারেনি। ৫৬ মিনিটে ম্যাচের সহজতম সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি রিচার্লিসন। ভিনিসিয়ুসের ক্রসে গোলমুখে বলে পা লাগাতে ব্যর্থ হন প্রথম ম্যাচে জোড়া গোল করা স্ট্রাইকার। প্রায় অকার্যকর ফ্রেডকে তুলে মাঠে নামানো হয় ব্রুনো গুইমারেসকে। জোড়া পরিবর্তন আসে সুইস দলেও। ব্রাজিল মনে করেছিল বহু কাক্সিক্ষত গোলটি তারা পেয়ে গেছে ৬৩ মিনিটে ভিনিসিয়ুসের মাধ্যমে। ক্যাসেমিরোর থ্রু পাস নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে চমৎকার প্লেসিং শটে বল জালে পাঠান ভিনিসিয়ুস। কিন্তু ভিএআর দেখে আক্রমণের শুরুতে অফসাইডের ঘটনায় গোলটি বাতিল করেন রেফারি। খেলার ২০ মিনিট বাকি থাকতে রাফিনিয়া এবং রিশার্লিসনকে তুলে মাঠে নামানো হয় অ্যান্টনি এবং গ্যাব্রিয়েল জেসুসকে। ব্রাজিলের মতো জোড়া পরিবর্তন আনা হয় সুইজারল্যান্ড দলেও। ৮২ মিনিটে আবার সুইজারল্যান্ডের জালে বল পাঠায় ব্রাজিল। চমৎকার এক দলীয় আক্রমন থেকে গোলটি করেন ক্যাসেমিরো। এবার আর কোন কারণে বাতিল হয়নি গোলটি। এ সময় বিশেষ বক্সে বসে খেলা দেখারত সাবেক তারকা রোনালদো, রবার্তো কার্লোস, কাকাদের উল্লাস করতে দেখা যায় সাধারণ দর্শকদের সঙ্গে।

গোল খাওয়ার পর সুইজারল্যান্ড ৫ম পরিবর্তনটি আনে। শেষ পরিবর্তন আসে ব্রাজিল দলেও। অ্যালেক্স স্যান্ড্রোর বদলে মাঠে নামানো নয় অ্যালেক্স টেলেসকে। ৮৬ মিনিটে পেনাল্টি বক্সে ঢুকে শট মেরেছিলেন রড্রিগো, তবে সেটি দুই হাত দিয়ে রুখে দেন সুইস কিপার। ব্যবধান বাড়ানোর জন্য চেষ্টা অব্যাহত রাখে ব্রাজিল অন্যদিকে সমতা ফেরানোর চেষ্টা করে সুইজারল্যান্ড। ফলে শেষ কয়েক মিনিট খেলায় বেশ উত্তেজনা দেখা যায়। ইনজুরি টাইমে ব্রাজিল দুটি সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করে। রড্রিগো প্রতিপক্ষের একজন ডিফেন্ডারে পায়ে মেরে সুযোগটি হাতছাড়া করেন। আরেকটি প্রচেষ্টা রুখে দেন গোলরক্ষক।

ফিফা বিশ্বকাপে ২০১০ সালের পর এই প্রথম ব্রাজিল টুর্নামেন্টে তাদের প্রথম দু’টি ম্যাচ জিতলো।

তাছাড়া ২০০৬ সালের পর এই প্রথম ব্রাজিল প্রথম দুই ম্যাচে কোন গোল খায়নি।

এই ব্রাজিল দল ১৯৯৮ সালের ফ্রান্স দলের পর প্রথম দুই ম্যাচে নিজেদের গোলে কোনও শট নিতে দেয়নি।

ব্রাজিল শেষবার কোনও বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচ হেরেছিল ১৯৯৮ সালে।

back to top