রিশার্লিসনের চোখজুড়ানো গোলের ঘোর তখনও কাটেনি। এর মধ্যেই উদযাপনে দেখা গেল নতুন চমক। ব্রাজিলের ফুটবলাররা এ দিন প্রতিটি গোলের পর পরই উদযাপন করছিলেন দৃষ্টিনন্দন নাচ দিয়ে। রিশার্লিসনের ওই গোলের পর নেচে উঠলেন কোচ তিতেও! ম্যাচের পর ব্রাজিলিয়ান কোচ বললেন, শিষ্যদের আনন্দে একাত্ম হতেই তার অমন উদযাপন।
বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার পথে সোমবার দক্ষিণ কোরিয়াকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার ম্যাচে ছন্দময় ও নান্দনিক ফুটবলের পসরা মেলে ধরে ব্রাজিল। বিশেষ করে প্রথমার্ধে। ঐতিহ্যগতভাবেই ব্রাজিলের কাছে সমর্থকদের ও ফুটবলবিশ্বের দাবি থাকে শুধু জয় নয়, সুন্দর ফুটবল খেলে জয়। এই ম্যাচে সেই দাবি পুরোপুরি মেটান নেইমার-রিশার্লিসনরা।
মরুর বুকে এই রাতে সাম্বার ফুল ফুটিয়ে তোলেন তারা। বিনোদনদায়ী ফুটবলে শুধু দর্শকের মন রাঙানোই নয়, তারা নিজেরাও মেতে ওঠেন উপভোগের আনন্দে। প্রতিটি গোলের পরই উদযাপনে দেখা যায় তাদের নাচের ছন্দ।
চোখধাঁধানো স্কিল ও সৌন্দর্যের ঘোর লাগিয়ে যখন দলের তৃতীয় গোলটি করেন রিশার্লিসন, মাঠের উদযাপন শেষে তিনি ছুটে যান ডাগ আউটের দিকে। সেখানে তাদের সঙ্গে নেচে ওঠেন তিতেও।
এভাবে মেতে উঠতে তাকে আগে দেখা গেছে কমই। ৬১ বছর বয়সী কোচ পরে বললেন, ম্যাচের আগেই শিষ্যরা তাকে কথা দিয়েছিলেন যে দুর্দান্ত ফুটবল খেলে তারা তাকে নাচিয়ে ছাড়বেন।
“ফুটবলারদের চরিত্র ও মানসিকতার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া ও ধারণ করার চেষ্টা করি আমরা। এই ছেলেরা খুবই তরুণ। আমি চেষ্টা করি ওদের সঙ্গে একাত্ম হতে। ওই নাচ ছিল ওদের চরিত্রকে ধারণ করারই অংশ।”
একের পর এক গোলের পর ব্রাজিলিয়ানদের অমন নাচ ভালো লাগেনি আইরিশ গ্রেট রয় কিনের। ইংল্যান্ডের আইটিভির আলোচনায় এই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড গ্রেট সমালোচনায় বিদ্ধ করেন তিতে-নেইমারদের।
“প্রতিবার গোল দিয়ে এরকম উদযাপন করাটা অপমানজনক। একটি গোলের পর এরকম হলে মানা যায়, প্রতি গোলের পরই নয়। পরে তাদের ম্যানেজারও সেখানে সামিল হলেন। আমার এটা ভালো লাগেনি।”
“লোকে বলে, এটা নাকি তাদের সংস্কৃতি। আমার তো মনে হয়, এটা প্রতিপক্ষকে অসম্মান করা।” তবে তিতে ম্যাচের পর বললেন, তাদের এই উদযাপন কেবলই নিজেদের উচ্ছ্বাস ফুটিয়ে তোলার মাধ্যম।
“নিজেদের সাফল্যের আনন্দ প্রকাশ করা ছাড়া এই উদযাপনের আর কোনো উদ্দেশ্য নেই। দলের জন্য আনন্দ, পারফরম্যান্সের খুশিই মিশে আছে এতে। প্রতিপক্ষের প্রতি বা প্রতিপক্ষ কোচ পাওলো বেন্তোর প্রতি অসম্মানের কোনো কিছু এতে নেই, বরং তাকে (বেন্তো) আমি অনেক সম্মান করি।”
ব্রাজিলের পরের চ্যালেঞ্জ সেমি-ফাইনালে ওঠার। সেই লড়াইয়ে শুক্রবার তারা মুখোমুখি হবে ক্রোয়েশিয়ার।
মঙ্গলবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২২
রিশার্লিসনের চোখজুড়ানো গোলের ঘোর তখনও কাটেনি। এর মধ্যেই উদযাপনে দেখা গেল নতুন চমক। ব্রাজিলের ফুটবলাররা এ দিন প্রতিটি গোলের পর পরই উদযাপন করছিলেন দৃষ্টিনন্দন নাচ দিয়ে। রিশার্লিসনের ওই গোলের পর নেচে উঠলেন কোচ তিতেও! ম্যাচের পর ব্রাজিলিয়ান কোচ বললেন, শিষ্যদের আনন্দে একাত্ম হতেই তার অমন উদযাপন।
বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার পথে সোমবার দক্ষিণ কোরিয়াকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার ম্যাচে ছন্দময় ও নান্দনিক ফুটবলের পসরা মেলে ধরে ব্রাজিল। বিশেষ করে প্রথমার্ধে। ঐতিহ্যগতভাবেই ব্রাজিলের কাছে সমর্থকদের ও ফুটবলবিশ্বের দাবি থাকে শুধু জয় নয়, সুন্দর ফুটবল খেলে জয়। এই ম্যাচে সেই দাবি পুরোপুরি মেটান নেইমার-রিশার্লিসনরা।
মরুর বুকে এই রাতে সাম্বার ফুল ফুটিয়ে তোলেন তারা। বিনোদনদায়ী ফুটবলে শুধু দর্শকের মন রাঙানোই নয়, তারা নিজেরাও মেতে ওঠেন উপভোগের আনন্দে। প্রতিটি গোলের পরই উদযাপনে দেখা যায় তাদের নাচের ছন্দ।
চোখধাঁধানো স্কিল ও সৌন্দর্যের ঘোর লাগিয়ে যখন দলের তৃতীয় গোলটি করেন রিশার্লিসন, মাঠের উদযাপন শেষে তিনি ছুটে যান ডাগ আউটের দিকে। সেখানে তাদের সঙ্গে নেচে ওঠেন তিতেও।
এভাবে মেতে উঠতে তাকে আগে দেখা গেছে কমই। ৬১ বছর বয়সী কোচ পরে বললেন, ম্যাচের আগেই শিষ্যরা তাকে কথা দিয়েছিলেন যে দুর্দান্ত ফুটবল খেলে তারা তাকে নাচিয়ে ছাড়বেন।
“ফুটবলারদের চরিত্র ও মানসিকতার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া ও ধারণ করার চেষ্টা করি আমরা। এই ছেলেরা খুবই তরুণ। আমি চেষ্টা করি ওদের সঙ্গে একাত্ম হতে। ওই নাচ ছিল ওদের চরিত্রকে ধারণ করারই অংশ।”
একের পর এক গোলের পর ব্রাজিলিয়ানদের অমন নাচ ভালো লাগেনি আইরিশ গ্রেট রয় কিনের। ইংল্যান্ডের আইটিভির আলোচনায় এই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড গ্রেট সমালোচনায় বিদ্ধ করেন তিতে-নেইমারদের।
“প্রতিবার গোল দিয়ে এরকম উদযাপন করাটা অপমানজনক। একটি গোলের পর এরকম হলে মানা যায়, প্রতি গোলের পরই নয়। পরে তাদের ম্যানেজারও সেখানে সামিল হলেন। আমার এটা ভালো লাগেনি।”
“লোকে বলে, এটা নাকি তাদের সংস্কৃতি। আমার তো মনে হয়, এটা প্রতিপক্ষকে অসম্মান করা।” তবে তিতে ম্যাচের পর বললেন, তাদের এই উদযাপন কেবলই নিজেদের উচ্ছ্বাস ফুটিয়ে তোলার মাধ্যম।
“নিজেদের সাফল্যের আনন্দ প্রকাশ করা ছাড়া এই উদযাপনের আর কোনো উদ্দেশ্য নেই। দলের জন্য আনন্দ, পারফরম্যান্সের খুশিই মিশে আছে এতে। প্রতিপক্ষের প্রতি বা প্রতিপক্ষ কোচ পাওলো বেন্তোর প্রতি অসম্মানের কোনো কিছু এতে নেই, বরং তাকে (বেন্তো) আমি অনেক সম্মান করি।”
ব্রাজিলের পরের চ্যালেঞ্জ সেমি-ফাইনালে ওঠার। সেই লড়াইয়ে শুক্রবার তারা মুখোমুখি হবে ক্রোয়েশিয়ার।