গত ২৯ এপ্রিল ছিল ‘আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস’। এই দিন সারা বিশ্বের মতো দিবসটি বিশেষভাবে উদযাপিত হয়েছে। রাজধানী ঢাকা শহরের শিল্পকলা একাডেমি, জাতীয় যাদুঘরসহ বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সংগঠন বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেই ধারাবাহিকতায ‘বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থা’ ও
‘বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি’র যৌথ আয়োজনে আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানে গত ২৯ এপ্রিল ঢাকার শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভা, সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান ও নৃত্যানুষ্ঠানে বাংলাদেশের নৃত্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের বিশিষ্ট নৃত্য পরিচালক ও নৃত্যশিল্পী শামীম আরা নিপা’র হাতে সম্মাননা তুলে দেয়া হয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গ্রাম থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুর হাত থেকে সম্মাননা গ্রহণ করেন শামীম আরা নীপা। এ সময় পাশে ছিলেন ‘বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থা’র সভাপতি মিনু হক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী ও নৃত্যগুরু শিবলী মোহাম্মদ। অনুষ্ঠানের সভাপতি শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, তিনি সম্মাননা প্রদান পর্বে উপস্থিত হতে পারেননি। শামীম আরা নীপা বলেন, ‘আমি সত্যি সত্যিই ভীষণভাবে আপ্লুত। কারণ, সবসময় বাইরেই পুরস্কার পেয়েছি। কিন্তু নিজের ঘরে নিজের লোকেরা যখন সম্মান দেন তখন তাতে অন্যরকম এক মাত্রা যোগ হয়, যা গত ২৯ এপ্রিল হলো।
আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ নৃত্যশিল্পী সংস্থার কাছে, বিশেষ করে মিনু আপার কাছে। নৃত্যশিল্পী সংস্থা অনেক ভালো কাজ করছে, আমি হয়ত সবসময় পাশে থাকতে পারি না। আমি চাই আরো অনেক মৌলিক কাজ এই সংস্থার মাধ্যমে হোক। সব নৃত্য যোদ্ধাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা, যারা সাধনা করছেন নিজের জীবন বিসর্জন দিয়ে এই নাচকে অবলম্বন করে। সব নৃত্য প্রিয় দর্শকের প্রতি আন্তরিক ভালোবাসা। সবাইকে আল্লাহ ভালো রাখুন।’ শামীম আরা নীপা গত শতকের আশির দশক থেকে এদেশের লোক ও সৃজনশীল নৃত্যে তিনি একটি নতুন ধারার প্রবর্তন করেন।
বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান ও ৫০টিরও অধিক দেশে বাংলার মৌলিক ধারার নৃত্যকে উপস্থাপন, পরিচালনা ও পরিবেশন করেছেন। তিনি এ যাবত প্রায় পনেরোটি নৃত্যনাট্য ও দুই শত’রও বেশি খণ্ড নৃত্য সফলতার সঙ্গে পরিচালনায়র মাধ্যমে নিজেকে একজন সফল নৃত্য পরিচালক হিসেবে সর্বজন প্রশংসিত হয়েছেন। শিল্পকলা-নৃত্যে গৌরবজনক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ শামীম আরা নীপাকে ২০১৭ সালের ‘একুশে পদক’-এ ভূষিত করা হয়।
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
গত ২৯ এপ্রিল ছিল ‘আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস’। এই দিন সারা বিশ্বের মতো দিবসটি বিশেষভাবে উদযাপিত হয়েছে। রাজধানী ঢাকা শহরের শিল্পকলা একাডেমি, জাতীয় যাদুঘরসহ বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সংগঠন বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেই ধারাবাহিকতায ‘বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থা’ ও
‘বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি’র যৌথ আয়োজনে আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানে গত ২৯ এপ্রিল ঢাকার শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভা, সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান ও নৃত্যানুষ্ঠানে বাংলাদেশের নৃত্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের বিশিষ্ট নৃত্য পরিচালক ও নৃত্যশিল্পী শামীম আরা নিপা’র হাতে সম্মাননা তুলে দেয়া হয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গ্রাম থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুর হাত থেকে সম্মাননা গ্রহণ করেন শামীম আরা নীপা। এ সময় পাশে ছিলেন ‘বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থা’র সভাপতি মিনু হক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী ও নৃত্যগুরু শিবলী মোহাম্মদ। অনুষ্ঠানের সভাপতি শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, তিনি সম্মাননা প্রদান পর্বে উপস্থিত হতে পারেননি। শামীম আরা নীপা বলেন, ‘আমি সত্যি সত্যিই ভীষণভাবে আপ্লুত। কারণ, সবসময় বাইরেই পুরস্কার পেয়েছি। কিন্তু নিজের ঘরে নিজের লোকেরা যখন সম্মান দেন তখন তাতে অন্যরকম এক মাত্রা যোগ হয়, যা গত ২৯ এপ্রিল হলো।
আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ নৃত্যশিল্পী সংস্থার কাছে, বিশেষ করে মিনু আপার কাছে। নৃত্যশিল্পী সংস্থা অনেক ভালো কাজ করছে, আমি হয়ত সবসময় পাশে থাকতে পারি না। আমি চাই আরো অনেক মৌলিক কাজ এই সংস্থার মাধ্যমে হোক। সব নৃত্য যোদ্ধাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা, যারা সাধনা করছেন নিজের জীবন বিসর্জন দিয়ে এই নাচকে অবলম্বন করে। সব নৃত্য প্রিয় দর্শকের প্রতি আন্তরিক ভালোবাসা। সবাইকে আল্লাহ ভালো রাখুন।’ শামীম আরা নীপা গত শতকের আশির দশক থেকে এদেশের লোক ও সৃজনশীল নৃত্যে তিনি একটি নতুন ধারার প্রবর্তন করেন।
বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান ও ৫০টিরও অধিক দেশে বাংলার মৌলিক ধারার নৃত্যকে উপস্থাপন, পরিচালনা ও পরিবেশন করেছেন। তিনি এ যাবত প্রায় পনেরোটি নৃত্যনাট্য ও দুই শত’রও বেশি খণ্ড নৃত্য সফলতার সঙ্গে পরিচালনায়র মাধ্যমে নিজেকে একজন সফল নৃত্য পরিচালক হিসেবে সর্বজন প্রশংসিত হয়েছেন। শিল্পকলা-নৃত্যে গৌরবজনক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ শামীম আরা নীপাকে ২০১৭ সালের ‘একুশে পদক’-এ ভূষিত করা হয়।