কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল
বিশ্বকাপ ফুটবলে ফ্রান্সের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার খেলার প্রসঙ্গ উঠলেই সবার মনে চলে আসে ২০১৮ সালের স্মৃতি। যা আর্জেন্টিনা এবং মেসির জন্য মোটেও ভাল কিছু না। তখন কিলিয়ান এমবাপ্পে একজন তরুন খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে পরিচিতি দিয়েছিলেন। এখন যিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন এ সময়কার সেরা প্রতিভা হিসেবে। গত বিশ^কাপেই তাকে তুলনা করা হয়েছিল পেলের সাথে। ২০ বছর পূর্ণ করার আগেই বিশ^কাপে ফাইনালে গোল করেন এমবাপ্পে।
গত বিশ^কাপের ম্যাচে ফ্রান্স দেখিয়ে দিয়েছিল আর্জেন্টিনার দুর্বলতাগুলো কোথায়। আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশন সে দুর্বলতাগুলো নিয়ে বসে থাকেনি। সেগুলো দূর করার জন্য চেষ্টা শুরু করে এবং তার ফলও পায়। প্রথমেই কোচ পরিবর্তন করে দায়িত্ব দেয়া হয় লিওনেল স্ক্যালোনিকে। তিনি নতুনভাবে দল গঠন করে পান সাফল্য। গত বছর জয় করেন কোপা আমেরিকা। এবার বিশ^কাপে সৌদি আরবের সাথে হেরে গেলেও পরে দারুন খেলে উঠেছে ফাইনালে। জাতীয় দলের হয়ে মেসিও পার করছেন নিজের সেরা সময়।
গত বিশ^কাপে দলদুটি মুখোমুখি হয়ে ছিল কোয়ার্টার ফাইনালে। আর্জেন্টিনা এক পর্যায়ে ২-১ গোলে এগিয়ে গিয়েও হার মানে ৪-৩ গোলে। এমবাপ্পে করেন জোড়া গোল। তখন মেসি এবং এমবাপ্পে খেলতেন আলাদা ক্লাবে। কিন্তু এখন খেলেন একই ক্লাবে। একে অপরকে জানেন আরো ভালভাবে।
মেসি জানেন এবার যদি ফাইনালে তার দল ব্যর্থ হয় তাহলে তিনি আর বিশ্বকাপ জেতার সুযোগ পাবেন না। তিনি এ কথা জানিয়েও দিয়েছেন। ফাইনাল ম্যাচটিই তার বিশ^কাপের শেষ ম্যাচ। নিজের বর্নিল ক্যারিয়ারকে চূড়ান্ত সাফল্য এনে দিতে বিশ^কাপ ট্রফির বিকল্প নেই। দলের খেলোয়াড়রাও মেসির জন্য ট্রফিটা জিততে চান। কিন্তু বললেইতো আর হবে না । এ জন্য ফাইনালে হারাতে হবে ফ্রান্সকে।
বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা এ পর্যন্ত যতগুলো দলের সাথে খেলেছে সেগুলো কোনটিই ফ্রান্সের মতো শক্তিশালী ছিল না। তাই বলা যায় ফাইনালটি হবে মেসিদের সত্যিকারের পরীক্ষা।
এমবাপ্পে ফ্রান্স দলের বড় তারকা হলেও দলের বাকিরা কোন অংশেই পিছিয়ে নেই। ফুটবল দলের খেলা। মাঠের ১১জনের মধ্যে সমন্বয়টা ঠিক না হলে একার পক্ষে কোন কিছুই করা সম্ভব না। গত বিশ^কাপে এনগোলো কান্টে ছিলেন মেসির মার্কার। এবার মাঝ মাঠে সে দায়িত্ব পালন করবেন অরলিয়েন চুয়ামেনি। এখন পর্যন্ত এ তরুন নিজের সামর্থের পরিচয় দিতে পেরেছেন সফলভাবে। ইনজুরির কারণে দলে থাকতে না পারা পল পগবার জায়গায় অবিশ^াস্যরকম ভাল খেলছেন অ্যাতোয়া গ্রিজম্যান। করিম বেনজেমা ইনজুরিতে ছিটকে গেলেও অভিজ্ঞ অলিভার জিরু খেলছেন দারুন, করেছেন চার গোল।
আর্জেন্টিনা দলের খেলোয়াড়দের টিম স্পিরিট অসাধারণ। জুলিয়েন আলভারেজ সবাইকে চমকে দিয়েছেন এ বিশ^কাপে। ভাল করছেন ম্যাক অ্যালিস্টার। অভিজ্ঞ ডি মারিয়ার অভাব বুঝতে দিচ্ছেন না তরুনরা। তাই গত বিশ^কাপে যত সহজে আর্জেন্টিনাকে নাস্তানাবুদ করেছিল ফ্রান্স এবার তা পারবে না। এমবাপ্পের ব্যক্তিগত স্কিল অকার্যকর করে দিতে পারলে আর্জেন্টিনার জন্য ম্যাচটি কিছুটা সহজ হতে পারে। কিন্তু এমবাপ্পের যে গতি, তাকে আটকে রাখা খুবই কঠিন কাজ। রবিবারের ফাইনালে কে জিতবে তা বলা খুবই কঠিন। তবে একটি বিষয় নিশ্চিত করেই বলা যায় মেসি কিংবা এমবাপ্পে যিনিই শেষ হাসিটা হাসবেন তিনিই ইতিহাস রচনা করবেন।
কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল
বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২
বিশ্বকাপ ফুটবলে ফ্রান্সের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার খেলার প্রসঙ্গ উঠলেই সবার মনে চলে আসে ২০১৮ সালের স্মৃতি। যা আর্জেন্টিনা এবং মেসির জন্য মোটেও ভাল কিছু না। তখন কিলিয়ান এমবাপ্পে একজন তরুন খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে পরিচিতি দিয়েছিলেন। এখন যিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন এ সময়কার সেরা প্রতিভা হিসেবে। গত বিশ^কাপেই তাকে তুলনা করা হয়েছিল পেলের সাথে। ২০ বছর পূর্ণ করার আগেই বিশ^কাপে ফাইনালে গোল করেন এমবাপ্পে।
গত বিশ^কাপের ম্যাচে ফ্রান্স দেখিয়ে দিয়েছিল আর্জেন্টিনার দুর্বলতাগুলো কোথায়। আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশন সে দুর্বলতাগুলো নিয়ে বসে থাকেনি। সেগুলো দূর করার জন্য চেষ্টা শুরু করে এবং তার ফলও পায়। প্রথমেই কোচ পরিবর্তন করে দায়িত্ব দেয়া হয় লিওনেল স্ক্যালোনিকে। তিনি নতুনভাবে দল গঠন করে পান সাফল্য। গত বছর জয় করেন কোপা আমেরিকা। এবার বিশ^কাপে সৌদি আরবের সাথে হেরে গেলেও পরে দারুন খেলে উঠেছে ফাইনালে। জাতীয় দলের হয়ে মেসিও পার করছেন নিজের সেরা সময়।
গত বিশ^কাপে দলদুটি মুখোমুখি হয়ে ছিল কোয়ার্টার ফাইনালে। আর্জেন্টিনা এক পর্যায়ে ২-১ গোলে এগিয়ে গিয়েও হার মানে ৪-৩ গোলে। এমবাপ্পে করেন জোড়া গোল। তখন মেসি এবং এমবাপ্পে খেলতেন আলাদা ক্লাবে। কিন্তু এখন খেলেন একই ক্লাবে। একে অপরকে জানেন আরো ভালভাবে।
মেসি জানেন এবার যদি ফাইনালে তার দল ব্যর্থ হয় তাহলে তিনি আর বিশ্বকাপ জেতার সুযোগ পাবেন না। তিনি এ কথা জানিয়েও দিয়েছেন। ফাইনাল ম্যাচটিই তার বিশ^কাপের শেষ ম্যাচ। নিজের বর্নিল ক্যারিয়ারকে চূড়ান্ত সাফল্য এনে দিতে বিশ^কাপ ট্রফির বিকল্প নেই। দলের খেলোয়াড়রাও মেসির জন্য ট্রফিটা জিততে চান। কিন্তু বললেইতো আর হবে না । এ জন্য ফাইনালে হারাতে হবে ফ্রান্সকে।
বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা এ পর্যন্ত যতগুলো দলের সাথে খেলেছে সেগুলো কোনটিই ফ্রান্সের মতো শক্তিশালী ছিল না। তাই বলা যায় ফাইনালটি হবে মেসিদের সত্যিকারের পরীক্ষা।
এমবাপ্পে ফ্রান্স দলের বড় তারকা হলেও দলের বাকিরা কোন অংশেই পিছিয়ে নেই। ফুটবল দলের খেলা। মাঠের ১১জনের মধ্যে সমন্বয়টা ঠিক না হলে একার পক্ষে কোন কিছুই করা সম্ভব না। গত বিশ^কাপে এনগোলো কান্টে ছিলেন মেসির মার্কার। এবার মাঝ মাঠে সে দায়িত্ব পালন করবেন অরলিয়েন চুয়ামেনি। এখন পর্যন্ত এ তরুন নিজের সামর্থের পরিচয় দিতে পেরেছেন সফলভাবে। ইনজুরির কারণে দলে থাকতে না পারা পল পগবার জায়গায় অবিশ^াস্যরকম ভাল খেলছেন অ্যাতোয়া গ্রিজম্যান। করিম বেনজেমা ইনজুরিতে ছিটকে গেলেও অভিজ্ঞ অলিভার জিরু খেলছেন দারুন, করেছেন চার গোল।
আর্জেন্টিনা দলের খেলোয়াড়দের টিম স্পিরিট অসাধারণ। জুলিয়েন আলভারেজ সবাইকে চমকে দিয়েছেন এ বিশ^কাপে। ভাল করছেন ম্যাক অ্যালিস্টার। অভিজ্ঞ ডি মারিয়ার অভাব বুঝতে দিচ্ছেন না তরুনরা। তাই গত বিশ^কাপে যত সহজে আর্জেন্টিনাকে নাস্তানাবুদ করেছিল ফ্রান্স এবার তা পারবে না। এমবাপ্পের ব্যক্তিগত স্কিল অকার্যকর করে দিতে পারলে আর্জেন্টিনার জন্য ম্যাচটি কিছুটা সহজ হতে পারে। কিন্তু এমবাপ্পের যে গতি, তাকে আটকে রাখা খুবই কঠিন কাজ। রবিবারের ফাইনালে কে জিতবে তা বলা খুবই কঠিন। তবে একটি বিষয় নিশ্চিত করেই বলা যায় মেসি কিংবা এমবাপ্পে যিনিই শেষ হাসিটা হাসবেন তিনিই ইতিহাস রচনা করবেন।