মাঠে ঢোকার পর বল মোকাবিলা করতে তৈরি হতে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দেরি করেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। শ্রীলঙ্কার এই ডানহাতি ব্যাটারের বিপক্ষে আউটের আবেদন করেন বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ‘টাইমড আউট’ হয়ে যান ম্যাথিউস। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো দেখা গেল এমন কিছু।
গতকাল দিল্লিতে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার মধ্যকার বিশ্বকাপের ম্যাচে ঘটেছে এমন চমকপ্রদ ঘটনা। কোনো বলের মুখোমুখি না হয়েই ‘টাইমড আউট’ হয়ে সাজঘরে ফেরেন ম্যাথিউস।
আইসিসির নিয়ম ও বিশ্বকাপের প্লেয়িং কন্ডিশন অনুসারে, কোনো ব্যাটার আউট হওয়ার পর কিংবা অবসরে যাওয়ার পর দুই মিনিটের মধ্যে নতুন ব্যাটারকে বা ক্রিজে থাকা অন্য ব্যাটারকে বলের মুখোমুখি হওয়ার জন্য তৈরি থাকতে হবে। যদি এই শর্ত পূরণ না হয়, সেক্ষেত্রে তিনি ‘টাইমড আউট’ ঘোষিত হবেন।
লঙ্কানদের ইনিংসে ২৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে সাদিরা সামারাবিক্রমা সীমানার কাছে ক্যাচ দেন মাহমুদউল্লাহর হাতে। তার আউটের পর মাঠে প্রবেশ করে বল মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত হতে দেরি করেন ম্যাথিউস। তখন সাকিব আবেদন করলে কিছুটা সময় নিয়ে আউটের সিদ্ধান্ত দেন আম্পায়ার। ভারতের স্থানীয় সময় অনুসারে, ৩টা ৪৯ মিনিটে আউট হন সামারাবিক্রমা। এরপর ৩টা ৫৪ মিনিটে ‘টাইমড আউট’ ঘোষণা করা হয় ম্যাথিউসকে। এর মাঝে কোনো বল গড়ায়নি মাঠে।
ক্রিজে গেলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বলের মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে পারেননি ম্যাথিউস। তিনি দেখানোর চেষ্টা করেন যে তার হেলমেট ঠিকঠাক নেই। স্ট্র্যাপে সমস্যা হয়েছে। কিন্তু তার কথা আমলে না নিয়ে সাকিব ও বাংলাদেশ দল আবেদন করে। এতে নিয়ম অনুযায়ী, আম্পায়ার তাকে ‘টাইমড আউট’ দেন।
বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিবের আবেদনের পরে ম্যাথিউজের সঙ্গে আম্পায়ারেরা কথা বলেন। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটার বার বার বোঝানোর চেষ্টা করেন যে তার হেলমেটের স্ট্র্যাপ ছিঁড়ে যাওয়ায় দেরি হয়েছে। নইলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ব্যাট করতে নেমেছিলেন তিনি। বাংলাদেশের আবেদনের পরে অনেকক্ষণ ম্যাথিউজ, সাকিব ও আম্পায়ারদের মধ্যে আলোচনা হয়। কিন্তু আম্পায়ারেরা ক্রিকেটের নিয়মের মধ্যে থেকে ম্যাথেউজকে আউট দেন। একমাত্র যদি বাংলাদেশ আবেদন তুলে নিত তাহলে ম্যাথিউজ বেঁচে যেতেন। কিন্তু সাকিব নিজের আবেদন থেকে সরেননি।
অর্থ-বাণিজ্য: নির্বাচনের প্রার্থীদের জন্য শনিবার সব ব্যাংক খোলা থাকবে