alt

হারে শেষ হলো আফগান রূপকথা

ক্রীড়া ডেস্ক : শনিবার, ১১ নভেম্বর ২০২৩

শুরুটা হয়েছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে হার দিয়ে। শেষও হলো একই ফলাফল দিয়ে।

কিন্তু এর মাঝে বিশ্বকাপে রূপকথার গল্প লিখেছে আফগানিস্তান। গত আসরে একটি জয়ও না পাওয়া দলটি এবার আসরে জয় পেয়েছে চারটিতে। শুধু তা-ই নয়, হারিয়েছে ইংল্যান্ড, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়নকে। যদিও শেষটা প্রত্যাশামতো হয়নি। তবে সেখানেও ছিল লড়াইয়ের ছাপ।

আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে আফগানদের ৫ উইকেটে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ২৪৪ রান করে আফগানিস্তান। ধীরগতির শুরু করেন আফগান দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। তাদের ৪৯ বলে ৪১ রানের জুটি ভেঙে যায় গুরবাজ বিদায় নিলে। ২২ বলে ২৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। পরের ওভারেই ১৫ রান করে উইকেট হারান আরেক ওপেনার ইব্রাহিম। চারে নেমে ২ রান করে বিদায় নেন অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদি। তিনে নামা রহমত শাহ করেন ২৬ রান।

পাঁচে নেমে লড়াই চালাতে থাকেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। অপরপ্রান্তে একে একে বিদায় নেন ইকরাম (১২), মোহাম্মদ নবি (২) ও রশিদ খান (১২)। এরপর ওমরজাইকে কিছুক্ষণ সঙ্গ দেন নুর আহমাদ। গড়েন ৪৪ রানের জুটি। নুরকে ২৬ রানে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন জেরাল্ড কোজি। শেষদিকে মুজিব ও নাভিন বিদায় নিলেও টিকে থাকেন ওমরজাই। ৭১ বলে ফিফটি হাঁকানো এই ব্যাটার ১০৭ বলে ৯৭ রান করে অপরাজিত থাকেন।

দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ১০ ওভারে ৪৪ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ারসেরা বোলিং করেন কোজি। দুইটি করে শিকার ধরেন লুঙ্গি এনগিদি ও কেশভ মহারাজ।

জবাবে দিতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটা হয় দারুণ। প্রথম পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট হারায়নি তারা। কিন্তু এরপরই ম্যাচে ফিরতে শুরু করে আফগানিস্তান। ২৩ রান করা টেম্বা বাভুমাকে ফিরিয়ে ৬৪ রানের জুটি ভাঙেন মুজিব উর রহমান। ফর্মে থাকা কুইন্টন ডি ককও এরপর বেশি দূর যেতে পারেননি। নবির এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে ৪১ রানে বিদায় নেন তিনি।

কিছুটা বিরতি দিয়ে এইডেন মারক্রাম, হাইনরিখ ক্লাসেন ও ডেভিড মিলারকে হারালে চাপে পড়ে যায় প্রোটিয়ারা। তবে ষষ্ঠ উইকেটে ৬৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন রাসি ফন ডার ডুসেন ও আন্দিলে ফেলুকায়ো। তাতে ১৫ বল হাতে থাকতেই জয় নিশ্চিত করেন তারা। ৩৭ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন ফেলুকায়ো। আরেক প্রান্তে ৯৫ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৭৬ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচসেরা হন ডুসেন। আফগানদের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন নবি ও রশিদ।

ছবি

মোরসালিনের গোলে ভারতকে হারিয়ে ২২ বছরের অপেক্ষার অবসান বাংলাদেশের

ছবি

ফুটবল বিশ্বকাপে জার্মানি, নেদারল্যান্ডস

ছবি

২০২৬ বিশ্বকাপের পর ফ্রান্সের কোচ হতে পারেন জিদান

ছবি

বিশ্বকাপে সুযোগ না পেয়ে কঙ্গোকে নিশানা নাইজেরিয়া কোচের

ছবি

তানজিদ ও প্রিতমের সেঞ্চুরি, রাজশাহী ও ঢাকার ম্যাচ ড্র

ছবি

বাংলাদেশ-ভারত ফিরতি ম্যাচ মঙ্গলবার

ছবি

বর্ণিল আয়োজনে নারী কাবাডি বিশ্বকাপের উদ্বোধন

ছবি

‘বাংলাদেশের সব খেলোয়াড়ই ভালো, আমরা পুরো দলকে নিয়েই ভাবছি’

ছবি

উগান্ডাকে হারিয়ে কাবাডি বিশ্বকাপে শুভ সূচনা বাংলাদেশের

ছবি

ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে তো অনেক চাপ: ফিল সিমন্স

ছবি

২৮ বছর পর ফুটবল বিশ্বকাপে নরওয়ে, হেরে সমস্যায় ইতালি

ছবি

১০০তম টেস্ট খেলার জন্য মুশফিককে আইরিশ কোচের অভিনন্দন

ছবি

রাজশাহী-ঢাকা ম্যাচ ড্র’র পথে

ছবি

যুব হকি বিশ্বকাপ খেলতে মঙ্গলবার চেন্নাই যাচ্ছে যুব দল

ছবি

নারী বিশ্বকাপ কাবাডির ট্রফি উন্মোচন করলেন প্রধান উপদেষ্টা, আসর শুরু সোমবার

ছবি

ঢাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সন্তুষ্ট ভারতীয় খেলোয়াড়রা

ছবি

কলকাতা টেস্টে ভারতকে ৯৩ রানে থামিয়ে দ. আফ্রিকার স্মরণীয় জয়

ছবি

তিন ম্যাচে ২৬ গোল হজম বাংলাদেশের!

ছবি

জাতীয় ক্রিকেট লীগে আসিকের শতক

ছবি

ঠিক এমন পিচই চেয়েছিলাম: গম্ভীর

ছবি

চীনে এশিয়া কাপে চোখ ফয়সালদের

ছবি

বিশ্বকাপের দ্বারপ্রান্তে স্পেন, সুইজারল্যান্ড

ছবি

মেন্স ফিজিকসের সেরা ১৮ বডিবিল্ডার চূড়ান্ত

ছবি

প্রীতি ম্যাচে ব্রাজিলের জয়

ছবি

এনসিএল: প্রথম দিনে ময়মনসিংহ ৮ উইকেটে ২৭১, রবিউলের ৫ শিকার, বরিশাল ১৯৬ রানে অলআউট

ছবি

বাংলাদেশের জার্সিতে প্রথম জয়ের জন্য ব্যাকুল শমিত

ছবি

ডেভিস কাপে গেলো টেনিস দল

ছবি

এএফসি এশিয়ান কাপ ভারতীয় দলে অস্ট্রেলিয়ান ফুটবলার

ছবি

কাবাডি বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত ঢাকা

ছবি

সোহানের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে উড়ে গেল হংকং

ছবি

প্রথম বিশ্বকাপে পঞ্চম বাংলাদেশ এবার আরও ভালো করতে চায়

ছবি

কলকাতা টেস্ট: স্পিনারদের নৈপুণ্যে জয়ের পথে ভারত

ছবি

আন্তঃকলেজ ফুটবল

ছবি

’২৬ বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়া

ছবি

প্রদর্শনী ম্যাচে মেসির গোল

ছবি

ইনিংস ও ৪৭ রানে জিতে সিরিজে এগিয়ে গেল টাইগাররা

tab

হারে শেষ হলো আফগান রূপকথা

ক্রীড়া ডেস্ক

শনিবার, ১১ নভেম্বর ২০২৩

শুরুটা হয়েছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে হার দিয়ে। শেষও হলো একই ফলাফল দিয়ে।

কিন্তু এর মাঝে বিশ্বকাপে রূপকথার গল্প লিখেছে আফগানিস্তান। গত আসরে একটি জয়ও না পাওয়া দলটি এবার আসরে জয় পেয়েছে চারটিতে। শুধু তা-ই নয়, হারিয়েছে ইংল্যান্ড, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়নকে। যদিও শেষটা প্রত্যাশামতো হয়নি। তবে সেখানেও ছিল লড়াইয়ের ছাপ।

আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে আফগানদের ৫ উইকেটে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ২৪৪ রান করে আফগানিস্তান। ধীরগতির শুরু করেন আফগান দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। তাদের ৪৯ বলে ৪১ রানের জুটি ভেঙে যায় গুরবাজ বিদায় নিলে। ২২ বলে ২৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। পরের ওভারেই ১৫ রান করে উইকেট হারান আরেক ওপেনার ইব্রাহিম। চারে নেমে ২ রান করে বিদায় নেন অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদি। তিনে নামা রহমত শাহ করেন ২৬ রান।

পাঁচে নেমে লড়াই চালাতে থাকেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। অপরপ্রান্তে একে একে বিদায় নেন ইকরাম (১২), মোহাম্মদ নবি (২) ও রশিদ খান (১২)। এরপর ওমরজাইকে কিছুক্ষণ সঙ্গ দেন নুর আহমাদ। গড়েন ৪৪ রানের জুটি। নুরকে ২৬ রানে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন জেরাল্ড কোজি। শেষদিকে মুজিব ও নাভিন বিদায় নিলেও টিকে থাকেন ওমরজাই। ৭১ বলে ফিফটি হাঁকানো এই ব্যাটার ১০৭ বলে ৯৭ রান করে অপরাজিত থাকেন।

দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ১০ ওভারে ৪৪ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ারসেরা বোলিং করেন কোজি। দুইটি করে শিকার ধরেন লুঙ্গি এনগিদি ও কেশভ মহারাজ।

জবাবে দিতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটা হয় দারুণ। প্রথম পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট হারায়নি তারা। কিন্তু এরপরই ম্যাচে ফিরতে শুরু করে আফগানিস্তান। ২৩ রান করা টেম্বা বাভুমাকে ফিরিয়ে ৬৪ রানের জুটি ভাঙেন মুজিব উর রহমান। ফর্মে থাকা কুইন্টন ডি ককও এরপর বেশি দূর যেতে পারেননি। নবির এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে ৪১ রানে বিদায় নেন তিনি।

কিছুটা বিরতি দিয়ে এইডেন মারক্রাম, হাইনরিখ ক্লাসেন ও ডেভিড মিলারকে হারালে চাপে পড়ে যায় প্রোটিয়ারা। তবে ষষ্ঠ উইকেটে ৬৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন রাসি ফন ডার ডুসেন ও আন্দিলে ফেলুকায়ো। তাতে ১৫ বল হাতে থাকতেই জয় নিশ্চিত করেন তারা। ৩৭ বলে ১ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন ফেলুকায়ো। আরেক প্রান্তে ৯৫ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৭৬ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচসেরা হন ডুসেন। আফগানদের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন নবি ও রশিদ।

back to top