alt

এবারের আসরে বাংলাদেশের ভিন্ন কিছুর আশা রিশাদের

ক্রীড়া বার্তা পরিবেশক : মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪

লেগ স্পিনার নিয়ে বাংলাদেশের হাহাকার বহুদিনের। সাদা বলের ক্রিকেটে অবশ্য আপাতত সমাধান একটা মিলেছে। সেই সমাধান হয়ে আসা রিশাদ হোসেন আছেন টি-২০ বিশ্বকাপ দলে। বিশ্বকাপের আগে তিনি মেলে ধরেছেন স্বপ্নের ডানা। আসন্ন বিশ্বকাপে একবারে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী হতে চান ২১ পেরুনো তরুণ।

গত বছর আন্তর্জাতিক অভিষেকের পর ১৭টি টি-২০ খেলেছেন রিশাদ। তাতে আছে ১৫ উইকেট, ওভাররপ্রতি রান দিয়েছেন ৭.১৭ করে। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে ৩ ম্যাচে নেন ৪ উইকেট। একাদশে নিয়মিত সুযোগ পাচ্ছেন, তার উপর ভরসা থাকবে বিশ্বকাপেও।

টি-২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বড় সাফল্য না থাকলেও এবার ভিন্ন কিছুর আশা রিশাদের। বিশ্বকাপের আগে পুরো দলের অবস্থা নড়বড়ে, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সিরিজ হারের তেতো অভিজ্ঞতাও হয়েছে। তবে এসবের মাঝেও বিসিবির প্রকাশিত ভিডিওতে তাকে দেখা গেল বড় স্বপ্নের কথা জানাতে, ‘আগের আসর গুলো থেকে ভিন্ন ফল হবে আশা করি। নামের পেছনে আমি বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি এটা দেখতে চাই যেহেতু মূলত আমি বোলার। অলরাউন্ডার হিসেবেও নিজেকে অনেক দূর এগিয়ে দেখতে চাই।’

বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্নপূরণ হচ্ছে, এবার পারফরম্যান্স দিয়ে প্রত্যাশা পূরণের পণ করেছেন তিনি, ‘এটা (বিশ্বকাপ) সবার জন্য সারাজীবনের স্বপ্ন। বিশ্বকাপে খেলা আমার জন্য অনেক গর্বের ব্যাপার। চেষ্টা করব সামর্থ্যের সর্বোচ্চটা দিতে।’

নিজের ব্যাটিং নিয়ে বলেন, ‘আমি চেষ্টা করেছি ব্যাটিংয়ে আরও উন্নতি করার। সব ব্যাটারই চায় বড় বড় শট খেলতে। আমিও সবসময় চাই যে বাউন্ডারির দিকে বেশি শট খেলতে। ছক্কা মারার জন্য নিজের ওপর বিশ্বাস সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কে বল করছে সেদিকে আমি খুব একটা ভ্রূক্ষেপ করি না। আমি শুধু বল বিবেচনা করি এবং সে অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করি।’

বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশ দল সাবেক পাকিস্তানি লেগ স্পিনার মুশতাক আহমেদকে স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। মুশতাকের কাছ থেকে বড় মঞ্চে পারফর্ম করার কৌশল বুঝে নিচ্ছেন রিশাদ, ‘উনি উনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। বড় মঞ্চে কীভাবে পারফর্ম করা যায় এসব নিয়ে কথা হয়েছে। উনি বলছে বিশ্ব মঞ্চে যত ঠান্ডা থাকা যায় তত পারফর্ম করা যায়।’

বিসিবির ভিডিও বার্তায় এর আগে মিডল অর্ডার ব্যাটার তওহিদ হৃদয় বলেন, ‘এবারের বিশ্বকাপে নিজের নামের পাশে কিছু দেখতে চাই । আমি চাই, দল ভালো করুক। আমার জায়গা থেকে অবশ্যই নিজের সেরাটা দিয়ে অবদান রাখার চেষ্টা করবো। আমি চাই আমার দল যেন অন্ততপক্ষে সেমিফাইনাল খেলুক।’

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে জয়ী দলের সদস্য হৃদয় বলেন, ‘চোখ খুলেও সেটাই অনুভব করি যে কি করেছিলাম সেই বিশ্বকাপে। এখন আমাদের সময় এসেছে জাতীয় দলের হয়ে এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপের মতো ইভেন্টে ভালো করা। কাপ নেয়া বা ভালো করা না, কাপ নিতে চাই আমরা। শুধু আমি না, আমরা সবাই চাই। আমরা যদি আমাদের দিক থেকে ভালো করতে পারি, তাহলে বেশি দেরি নেই।’

আইসিসি ইভেন্ট জিতলে, বড় খেলোয়াড় হিসেবে মূল্যায়ন করা হয় বলে মন্তব্য করেন হৃদয়। এজন্য বিশ^কাপ জয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ, মনে করছেন হৃদয়, ‘আইসিসি ইভেন্ট জেতাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, শিরোপা জিতলে আমাদের সেভাবেই মূল্যায়ন করা হবে। এখন যেমন অস্ট্রেলিয়া বা বড় বড় দলের খেলোয়াড়দের মূল্যায়ন করা হয়। আমরা যদি দুই, একটি ট্রফি জিততে পারি, তাহলে আমাদের মানসিক সন্তুষ্টি, আত্মবিশ্বাস বাড়বে। আমাদের নতুন প্রজন্মকেও সেভাবে সবাই মূল্যায়ন করবে। এজন্য এই বিষয়টা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। শুধুমাত্র গুরুত্বপূর্ণ বললেই হবে না, আমাদের যে প্রক্রিয়া আছে, সেগুলো সবসময় বাস্তবায়ন করতে হবে। কঠোর পরিশ্রমের বিকল্প নেই। আমার কাছে মনে হয়েছে, আমরা সবাই যদি নিজেদের জায়গা থেকে উন্নতি করি, তাহলে খুবই সহজেই পাবো।’

হৃদয়ের মত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের অনেকেই এখন জাতীয় দলে নিয়মিত। তানজিদ হাসান, তানজিম হাসান, শরিফুল ইসলামরা জাতীয় দলে বড় অবদান রাখতে পারবেন বলে মনে করেন হৃদয়। তাদের মধ্যে আক্রমণাত্মক মনোভাব আছে, যারা যেকোনো মুর্হূতে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন। হৃদয় বলেন, ‘অনূর্ধ্ব-১৯ এ যারা ছিল, শুধু অনূর্ধ্ব-১৯ নয়, এই দলে যারা আছে, মনে হয় যে প্রত্যেকেই ফাইটার। সবার মধ্যে আক্রমণাত্মক মনোভাব আছে। তামিম, সাকিব, রিশাদ যারাই আছে, আমার মনে হয় তারা এমন খেলোয়াড়, যেকোনো দিন একজন-দু’জন খেলার চেহারাটা পরিবর্তন করে দিতে পারে। এদের মধ্যে সেই সামর্থ্য আছে। প্রত্যেকের মধ্যে একটা জেদ আছে। আমরা যেভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি, এখানেও তেমন কিছু করবো বলে আশা করি।’

তবে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পার্থক্যটা বিশাল। ‘দুটিই তো দেশের জন্য খেলা। দু’টিই গর্বের। জাতীয় দলে চ্যালেঞ্জ বেশি। যেখানে চ্যালেঞ্জ বেশি, সেখানেই আমার ভালো লাগে। কারণ চ্যালেঞ্জটা নিতেই আমার ভালো লাগে।’

ছবি

টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি আরও ভালো করার লক্ষ্য বাংলাদেশের

ছবি

অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান কাপে বাংলাদেশের হ্যাটট্রিক জয়

ছবি

আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ে তাইজুলের উন্নতি, এগিয়েছেন মুশফিক ও লিটন

ছবি

বিপিএলের নতুন দল নোয়াখালী এক্সপ্রেস

ছবি

ভারতের মাঠে ২৫ বছর পর টেস্ট সিরিজ জিতলো দক্ষিণ আফ্রিকা

ছবি

বার্সাকে উড়িয়ে দিয়েছে চেলসি, অপ্রত্যাশিত হার সিটির

ছবি

যুব বিশ্বকাপ হকি: প্রস্তুতি ম্যাচে দ্বিতীয় জয় বাংলাদেশের

ছবি

দল নির্বাচনে অধিনায়ক বা কোচের অনুমতি বাধ্যবাধকতা নয়: লিপু

ছবি

বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া উদ্বোধনী ম্যাচ বুধবার

ছবি

তিন কোচেরই দল পরখ করে নেয়ার মঞ্চ

ছবি

বাংলাদেশের তিন ম্যাচ কলকাতায় টি-২০ বিশ্বকাপ

ছবি

এনসিএলে তানভিরের ৭ উইকেট আল আমিনের সেঞ্চুরি

ছবি

সুপার ওভারে হাইরিস্ক শটই খেলতে হয়: আকবর আল

ছবি

৫৪৯ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় বিপদে ভারত

ছবি

নারী কাবাডি বিশ্বকাপের সফল আয়োজনে বাংলাদেশের সক্ষমতার বার্তা

ছবি

ঢাকায় মালয়েশিয়া ও আজারবাইজানকে নিয়ে ত্রিদেশীয় নারী ফুটবল শুরু ২৬ নভেম্বর

ছবি

রোমাঞ্চকর ম্যাচে আবাহনীকে হারালো মোহামেডান

ছবি

নারী কাবাডি বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় শিরোপা ভারতের

ছবি

ব্রুনাইয়ের জালেও গোল উৎসব লাল-সবুজদের

ছবি

জাতীয় খেলোয়াড়রা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না

ছবি

ইয়ানসেনের তোপে নিজেদের মাঠে ‘ধবলধোলাইয়ের’ শঙ্কায় ভারত

ছবি

সুপার ওভারে বাংলাদেশকে হারিয়ে শিরোপা পাকিস্তানের

ছবি

মুশফিকের শততম টেস্টে আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে সিরিজ জয় বাংলাদেশের

ছবি

এএফসিতে বাংলাদেশের ব্রুনাই চ্যালেঞ্জ সোমবার

ছবি

টি-টোয়েন্টি সিরিজে নেই তাসকিন, নতুন মুখ মাহিদুল

ছবি

‘১০ টেস্ট খেলা ক্রিকেটারও এখন স্বপ্ন দেখছে ১০০ টেস্ট খেলার’

ছবি

সেমিতে হেরে ব্রোঞ্জ নিয়েই শেষ বাংলাদেশের

ছবি

গৌহাটি টেস্টে মুথুসামির সেঞ্চুরিতে দক্ষিণ আফ্রিকার ১ম ইনিংসে ৪৮৯

ছবি

সোমবার আবাহনীর সামনে মোহামেডান!

ছবি

গোল করে রোমাঞ্চিত লেভানদোস্কি

ছবি

দ্বিতীয় টেস্টে জয়ের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ

ছবি

হেডের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডকে দুই দিনে উড়িয়ে দিলো অস্ট্রেলিয়া

ছবি

সাকিবকে ছাড়িয়ে চূড়ায় তাইজুল

ছবি

জাতীয় ক্রিকেট লীগে রাজশাহীর ২৬৮ রান

ছবি

বাছাইপর্বে দুর্দান্ত শুরু বাংলাদেশের

ছবি

মুশফিকের সেঞ্চুরির অপেক্ষা করেনি যে কারণে

tab

এবারের আসরে বাংলাদেশের ভিন্ন কিছুর আশা রিশাদের

ক্রীড়া বার্তা পরিবেশক

মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪

লেগ স্পিনার নিয়ে বাংলাদেশের হাহাকার বহুদিনের। সাদা বলের ক্রিকেটে অবশ্য আপাতত সমাধান একটা মিলেছে। সেই সমাধান হয়ে আসা রিশাদ হোসেন আছেন টি-২০ বিশ্বকাপ দলে। বিশ্বকাপের আগে তিনি মেলে ধরেছেন স্বপ্নের ডানা। আসন্ন বিশ্বকাপে একবারে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী হতে চান ২১ পেরুনো তরুণ।

গত বছর আন্তর্জাতিক অভিষেকের পর ১৭টি টি-২০ খেলেছেন রিশাদ। তাতে আছে ১৫ উইকেট, ওভাররপ্রতি রান দিয়েছেন ৭.১৭ করে। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে ৩ ম্যাচে নেন ৪ উইকেট। একাদশে নিয়মিত সুযোগ পাচ্ছেন, তার উপর ভরসা থাকবে বিশ্বকাপেও।

টি-২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বড় সাফল্য না থাকলেও এবার ভিন্ন কিছুর আশা রিশাদের। বিশ্বকাপের আগে পুরো দলের অবস্থা নড়বড়ে, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সিরিজ হারের তেতো অভিজ্ঞতাও হয়েছে। তবে এসবের মাঝেও বিসিবির প্রকাশিত ভিডিওতে তাকে দেখা গেল বড় স্বপ্নের কথা জানাতে, ‘আগের আসর গুলো থেকে ভিন্ন ফল হবে আশা করি। নামের পেছনে আমি বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি এটা দেখতে চাই যেহেতু মূলত আমি বোলার। অলরাউন্ডার হিসেবেও নিজেকে অনেক দূর এগিয়ে দেখতে চাই।’

বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্নপূরণ হচ্ছে, এবার পারফরম্যান্স দিয়ে প্রত্যাশা পূরণের পণ করেছেন তিনি, ‘এটা (বিশ্বকাপ) সবার জন্য সারাজীবনের স্বপ্ন। বিশ্বকাপে খেলা আমার জন্য অনেক গর্বের ব্যাপার। চেষ্টা করব সামর্থ্যের সর্বোচ্চটা দিতে।’

নিজের ব্যাটিং নিয়ে বলেন, ‘আমি চেষ্টা করেছি ব্যাটিংয়ে আরও উন্নতি করার। সব ব্যাটারই চায় বড় বড় শট খেলতে। আমিও সবসময় চাই যে বাউন্ডারির দিকে বেশি শট খেলতে। ছক্কা মারার জন্য নিজের ওপর বিশ্বাস সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কে বল করছে সেদিকে আমি খুব একটা ভ্রূক্ষেপ করি না। আমি শুধু বল বিবেচনা করি এবং সে অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করি।’

বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশ দল সাবেক পাকিস্তানি লেগ স্পিনার মুশতাক আহমেদকে স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। মুশতাকের কাছ থেকে বড় মঞ্চে পারফর্ম করার কৌশল বুঝে নিচ্ছেন রিশাদ, ‘উনি উনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। বড় মঞ্চে কীভাবে পারফর্ম করা যায় এসব নিয়ে কথা হয়েছে। উনি বলছে বিশ্ব মঞ্চে যত ঠান্ডা থাকা যায় তত পারফর্ম করা যায়।’

বিসিবির ভিডিও বার্তায় এর আগে মিডল অর্ডার ব্যাটার তওহিদ হৃদয় বলেন, ‘এবারের বিশ্বকাপে নিজের নামের পাশে কিছু দেখতে চাই । আমি চাই, দল ভালো করুক। আমার জায়গা থেকে অবশ্যই নিজের সেরাটা দিয়ে অবদান রাখার চেষ্টা করবো। আমি চাই আমার দল যেন অন্ততপক্ষে সেমিফাইনাল খেলুক।’

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে জয়ী দলের সদস্য হৃদয় বলেন, ‘চোখ খুলেও সেটাই অনুভব করি যে কি করেছিলাম সেই বিশ্বকাপে। এখন আমাদের সময় এসেছে জাতীয় দলের হয়ে এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপের মতো ইভেন্টে ভালো করা। কাপ নেয়া বা ভালো করা না, কাপ নিতে চাই আমরা। শুধু আমি না, আমরা সবাই চাই। আমরা যদি আমাদের দিক থেকে ভালো করতে পারি, তাহলে বেশি দেরি নেই।’

আইসিসি ইভেন্ট জিতলে, বড় খেলোয়াড় হিসেবে মূল্যায়ন করা হয় বলে মন্তব্য করেন হৃদয়। এজন্য বিশ^কাপ জয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ, মনে করছেন হৃদয়, ‘আইসিসি ইভেন্ট জেতাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, শিরোপা জিতলে আমাদের সেভাবেই মূল্যায়ন করা হবে। এখন যেমন অস্ট্রেলিয়া বা বড় বড় দলের খেলোয়াড়দের মূল্যায়ন করা হয়। আমরা যদি দুই, একটি ট্রফি জিততে পারি, তাহলে আমাদের মানসিক সন্তুষ্টি, আত্মবিশ্বাস বাড়বে। আমাদের নতুন প্রজন্মকেও সেভাবে সবাই মূল্যায়ন করবে। এজন্য এই বিষয়টা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। শুধুমাত্র গুরুত্বপূর্ণ বললেই হবে না, আমাদের যে প্রক্রিয়া আছে, সেগুলো সবসময় বাস্তবায়ন করতে হবে। কঠোর পরিশ্রমের বিকল্প নেই। আমার কাছে মনে হয়েছে, আমরা সবাই যদি নিজেদের জায়গা থেকে উন্নতি করি, তাহলে খুবই সহজেই পাবো।’

হৃদয়ের মত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের অনেকেই এখন জাতীয় দলে নিয়মিত। তানজিদ হাসান, তানজিম হাসান, শরিফুল ইসলামরা জাতীয় দলে বড় অবদান রাখতে পারবেন বলে মনে করেন হৃদয়। তাদের মধ্যে আক্রমণাত্মক মনোভাব আছে, যারা যেকোনো মুর্হূতে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন। হৃদয় বলেন, ‘অনূর্ধ্ব-১৯ এ যারা ছিল, শুধু অনূর্ধ্ব-১৯ নয়, এই দলে যারা আছে, মনে হয় যে প্রত্যেকেই ফাইটার। সবার মধ্যে আক্রমণাত্মক মনোভাব আছে। তামিম, সাকিব, রিশাদ যারাই আছে, আমার মনে হয় তারা এমন খেলোয়াড়, যেকোনো দিন একজন-দু’জন খেলার চেহারাটা পরিবর্তন করে দিতে পারে। এদের মধ্যে সেই সামর্থ্য আছে। প্রত্যেকের মধ্যে একটা জেদ আছে। আমরা যেভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি, এখানেও তেমন কিছু করবো বলে আশা করি।’

তবে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পার্থক্যটা বিশাল। ‘দুটিই তো দেশের জন্য খেলা। দু’টিই গর্বের। জাতীয় দলে চ্যালেঞ্জ বেশি। যেখানে চ্যালেঞ্জ বেশি, সেখানেই আমার ভালো লাগে। কারণ চ্যালেঞ্জটা নিতেই আমার ভালো লাগে।’

back to top